গড়তে পারেন পর্যটনপ্রতিষ্ঠান by আল-আমিন হক
শীতের আগমন মানে ভ্রমণের মৌসুম শুরু। অনেকেই সারা বছর মুখিয়ে থাকেন কবে শীত আসবে। কেননা, বর্ষায় আকাশ প্রায়শই বেরসিক হওয়ায় আর যা-ই হোক ভ্রমণে বিপত্তি ঘটাবেই। গ্রীষ্মে আবার গরমের কারণে মানুষ দূরে কোথাও যেতে চায় না।
বছরজুড়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ভ্রমণের প্রবণতা দেখা গেলেও শীতেই তা যেন নতুন মাত্রা পায়। আর ভ্রমণপিয়াসীদের দেশ-বিদেশের দর্শনীয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দেখার অনবিল আনন্দ ও অভিজ্ঞতা দিতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে গড়ে উঠেছে অনেক ট্যুর অপারেটর কিংবা পর্যটনপ্রতিষ্ঠান। চাইলে আপনিও স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে গড়ে তুলতে পারেন একটি পর্যটনপ্রতিষ্ঠান।
পর্যটনপ্রতিষ্ঠান যা করে: মূলত পর্যটনপ্রতিষ্ঠানগুলো দেশে-বিদেশে নানা ভ্রমণ প্যাকেজের আয়োজন করে থাকে। পর্যটন স্থানের সব খোঁজখবর, স্থান নির্ধারণ, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, গাইড বা পথনির্দেশক দেওয়া থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই করে। এর মাধ্যমে বেশ ভালো আয়-রোজগার হয় বলে জানান বিভিন্ন পর্যটনপ্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বা শীর্ষ কর্মকর্তারা। যে কারণে তাঁরা নানা রকম সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় ঘটিয়ে ভ্রমণ প্যাকেজ হাতে নেন।
যেভাবে গড়ে তুলবেন: একটি সত্য ঘটনা দিয়েই বলা যাক, ১৯৯৪ সালে এক যুবক সপরিবারে সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে রাতটা কাটিয়ে ভোরের সেন্ট মার্টিনকে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাতে থাকার কোনো ব্যবস্থা করতে না পেরে মন খারাপ করে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছিল। যে কারণে সেদিনই তিনি এমন কিছু করার চিন্তাভাবনা করলেন, যা পর্যটকদের আয়েশে ভ্রমণের আনন্দ দেবে। যে-ই ভাবা, সে-ই কাজ। ব্যস, শিবলুল আজম কোরাইশী নামের সেই যুবক এখন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক ও অবকাশ পর্যটন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
শিবলুল আজম জানান, একটি পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ২০০ বর্গফুটের একটি অফিস দরকার। আর যোগাযোগের জন্য ই-মেইল, ওয়েবসাইট ও দু-চারজন অভিজ্ঞ গাইড থাকতে হবে। আবার ঘরে বসেও ব্যবসাটা করা যায়। তিনি জানান, একটু বেশি পুঁজি নিয়ে নামলে পর্যটনপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিজস্ব রিসোর্টও গড়ে তোলা যায়।এতে আয়ের পরিমাণ বাড়ে।
রিভার অ্যান্ড গ্রিন ট্যুরসের প্রধান নির্বাহী মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়তে এ বিষয়ে পূর্বাভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে একটি একটি নীতিমালা থাকলে নতুনদের জন্য পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহজ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাজের সুযোগ সৃষ্টি: একটি পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা মানে শুধু নিজের আয় নিশ্চিত হওয়া নয়, বরং আরও কয়েকজনের কাজের সংস্থান।বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মকসুদুল হাসান খান জানান, দেশে পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে এই খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। কারণ, ভ্রমণআয়োজন ও পর্যটকদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে গাইডসহ কয়েকজন লোকের প্রয়োজন হয়।
মূলধন ও আয়: কমিটমেন্ট বা প্রতিশ্রুতিকেই এ ব্যবসার প্রধান ভিত্তি বলে মনে করেন শিবলুল আজম। তাঁর মতে, ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বিভাগীয় শহরগুলোয় অফিস নিয়ে পর্যটন ব্যবসা করতে হলে সাধারণত লাখ পাঁচেক টাকা লাগে। জেলা শহরে আরও কম লাগবে। আর ঘরে বসে ওয়েবসাইট খুলেও এ ব্যবসায় নামা যায়। এতে অবশ্য আয় কম হবে।
কয়েকজন উদ্যোক্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, পর্যটক যত বেশি হয়, আয়ের পরিমাণটাও তত বাড়ে। তবে শীত মৌসুমেই আয়টা বেশি হয়। তখন মাসে গড়ে এক লাখ টাকারও বেশি আয় করা যায়। যেসব পর্যটনপ্রতিষ্ঠান দেশের বাইরেও ভ্রমণপ্যাকেজের আয়োজন করে, তাদের আয় আরও অনেক বেশি হয়।
পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ: দেশে এখন পর্যটন বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নেওয়ারও সুযোগ আছে। বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, দিন দিন পর্যটনে কাজের সুযোগ বাড়ছে। যে কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। তিনি জানান, বিপিসির অধীনে চারটি বিষয়ে এক বছর ও দুই বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ভর্তির ব্যাপারে সারা বছরই যোগাযোগ করা যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যবসায় অনুষদের অধীনে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া জাতীয় পর্যটন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানও স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়।
পর্যটনপ্রতিষ্ঠান যা করে: মূলত পর্যটনপ্রতিষ্ঠানগুলো দেশে-বিদেশে নানা ভ্রমণ প্যাকেজের আয়োজন করে থাকে। পর্যটন স্থানের সব খোঁজখবর, স্থান নির্ধারণ, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, গাইড বা পথনির্দেশক দেওয়া থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থাই করে। এর মাধ্যমে বেশ ভালো আয়-রোজগার হয় বলে জানান বিভিন্ন পর্যটনপ্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বা শীর্ষ কর্মকর্তারা। যে কারণে তাঁরা নানা রকম সুযোগ-সুবিধার সমন্বয় ঘটিয়ে ভ্রমণ প্যাকেজ হাতে নেন।
যেভাবে গড়ে তুলবেন: একটি সত্য ঘটনা দিয়েই বলা যাক, ১৯৯৪ সালে এক যুবক সপরিবারে সেন্ট মার্টিনে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে রাতটা কাটিয়ে ভোরের সেন্ট মার্টিনকে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাতে থাকার কোনো ব্যবস্থা করতে না পেরে মন খারাপ করে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছিল। যে কারণে সেদিনই তিনি এমন কিছু করার চিন্তাভাবনা করলেন, যা পর্যটকদের আয়েশে ভ্রমণের আনন্দ দেবে। যে-ই ভাবা, সে-ই কাজ। ব্যস, শিবলুল আজম কোরাইশী নামের সেই যুবক এখন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক ও অবকাশ পর্যটন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
শিবলুল আজম জানান, একটি পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ২০০ বর্গফুটের একটি অফিস দরকার। আর যোগাযোগের জন্য ই-মেইল, ওয়েবসাইট ও দু-চারজন অভিজ্ঞ গাইড থাকতে হবে। আবার ঘরে বসেও ব্যবসাটা করা যায়। তিনি জানান, একটু বেশি পুঁজি নিয়ে নামলে পর্যটনপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিজস্ব রিসোর্টও গড়ে তোলা যায়।এতে আয়ের পরিমাণ বাড়ে।
রিভার অ্যান্ড গ্রিন ট্যুরসের প্রধান নির্বাহী মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়তে এ বিষয়ে পূর্বাভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে একটি একটি নীতিমালা থাকলে নতুনদের জন্য পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহজ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাজের সুযোগ সৃষ্টি: একটি পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা মানে শুধু নিজের আয় নিশ্চিত হওয়া নয়, বরং আরও কয়েকজনের কাজের সংস্থান।বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মকসুদুল হাসান খান জানান, দেশে পর্যটনপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে এই খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। কারণ, ভ্রমণআয়োজন ও পর্যটকদের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে গাইডসহ কয়েকজন লোকের প্রয়োজন হয়।
মূলধন ও আয়: কমিটমেন্ট বা প্রতিশ্রুতিকেই এ ব্যবসার প্রধান ভিত্তি বলে মনে করেন শিবলুল আজম। তাঁর মতে, ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো বিভাগীয় শহরগুলোয় অফিস নিয়ে পর্যটন ব্যবসা করতে হলে সাধারণত লাখ পাঁচেক টাকা লাগে। জেলা শহরে আরও কম লাগবে। আর ঘরে বসে ওয়েবসাইট খুলেও এ ব্যবসায় নামা যায়। এতে অবশ্য আয় কম হবে।
কয়েকজন উদ্যোক্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, পর্যটক যত বেশি হয়, আয়ের পরিমাণটাও তত বাড়ে। তবে শীত মৌসুমেই আয়টা বেশি হয়। তখন মাসে গড়ে এক লাখ টাকারও বেশি আয় করা যায়। যেসব পর্যটনপ্রতিষ্ঠান দেশের বাইরেও ভ্রমণপ্যাকেজের আয়োজন করে, তাদের আয় আরও অনেক বেশি হয়।
পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণ: দেশে এখন পর্যটন বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নেওয়ারও সুযোগ আছে। বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, দিন দিন পর্যটনে কাজের সুযোগ বাড়ছে। যে কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। তিনি জানান, বিপিসির অধীনে চারটি বিষয়ে এক বছর ও দুই বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ভর্তির ব্যাপারে সারা বছরই যোগাযোগ করা যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যবসায় অনুষদের অধীনে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া জাতীয় পর্যটন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানও স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়।
No comments