ভাগ-বাঁটোয়ারার আকাঙ্ক্ষা থেকে আর প্রকল্প নয়- রাজনৈতিক প্রকল্প ও ১২টি জীবন
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া একটি প্রকল্পে যত ধরনের ত্রুটি থাকতে পারে, তার সবই বহদ্দারহাট উড়ালসড়ক প্রকল্পে রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু ত্রুটি থাকে যেগুলোর জন্য সাধারণ মানুষ সরাসরি ক্ষতির শিকার হয় না।
কিন্তু এই উড়ালসড়ক প্রকল্পে দ্বিতীয়বারের মতো দুর্ঘটনা ঘটল, কেড়ে নিল ১২ জনের জীবন। যাঁদের ‘রাজনৈতিক’ ইচ্ছা-অনিচ্ছার করুণ বলি হলেন এই লোকগুলো, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যাশা কি আমরা করতে পারি?
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পে প্রথম যে বিষয়টি থাকে, তা হচ্ছে দুর্নীতির আকাঙ্ক্ষা। দুর্নীতি করার ইচ্ছা থেকেই এসব প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা নয়। বহদ্দারহাট উড়ালসড়কের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। নগর পরিকল্পনাবিদের পক্ষ থেকে এই উড়ালসড়কের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও একতরফাভাবে প্রকল্পটি নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। এর চেয়ারম্যান রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া সরকারদলীয় নেতা। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন চউকের কাজ না হলেও তারাই সেই দায়িত্ব নিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পেয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়, তাদের কাজ করার যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা আছে কি না, সেটা বিবেচনাই নয়। মূল বিষয়টি যেহেতু ভাগ-বাঁটোয়ারা ও লুটপাট, তাই দুর্নীতির ‘সুনাম’ আছে এমন একজনকেই প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে চউক। দুদকের ১২টি দুর্নীতির মামলা যাঁর মাথায় ঝুলছে, দুর্নীতির প্রমাণ হোক বা না হোক, এমন একজন ব্যক্তি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কেন ও কী উদ্দেশ্যে নিয়োগ পান, তা অনুমান করা কঠিন নয়।
এই যে দুর্ঘটনাটি ঘটল, ১২ জনের মৃত্যু হলো, এর আগেও এই প্রকল্পে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সৌভাগ্য যে সে সময় বড় ক্ষয়ক্ষতি বা জীবনহানির ঘটনা ঘটেনি। এর পরও এই উড়ালসড়ক নির্মাণকাজে জড়িত মহলগুলোর টনক নড়েনি। এটাকে তাই দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। এই ১২ জনের মৃত্যু আসলে হত্যাকাণ্ড। আর এঁদের ঘাতক হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ও তাদের কর্তাব্যক্তিরা। এখন কেউ নিতে চাইছে না গার্ডার ভেঙে পড়ার দায়—না রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ পাওয়া অনভিজ্ঞ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, না জোর করে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্ব নেওয়া চউক, না অনভিজ্ঞ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক কর্তাব্যক্তির এখন মোবাইল ফোন বন্ধ, তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আমরা মনে করি, ১২ জনের এই জীবনহানি, অনেকের আহত হওয়া ও পঙ্গুত্ব বরণ করার দায় এসব প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। শুধু সাময়িক বরখাস্ত ধরনের মামুলি শাস্তি নয়, যাঁদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য এতগুলো হতাহতের ঘটনা ঘটল, তদন্ত করে তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এ ঘটনার শিক্ষা হচ্ছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় লুটপাট আর দুর্নীতির আকাঙ্ক্ষা থেকে প্রকল্প নেওয়া বন্ধ করতে হবে। সরকার এই শিক্ষা নেবে তো?
রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্পে প্রথম যে বিষয়টি থাকে, তা হচ্ছে দুর্নীতির আকাঙ্ক্ষা। দুর্নীতি করার ইচ্ছা থেকেই এসব প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা নয়। বহদ্দারহাট উড়ালসড়কের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। নগর পরিকল্পনাবিদের পক্ষ থেকে এই উড়ালসড়কের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও একতরফাভাবে প্রকল্পটি নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। এর চেয়ারম্যান রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া সরকারদলীয় নেতা। এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন চউকের কাজ না হলেও তারাই সেই দায়িত্ব নিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পেয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়, তাদের কাজ করার যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা আছে কি না, সেটা বিবেচনাই নয়। মূল বিষয়টি যেহেতু ভাগ-বাঁটোয়ারা ও লুটপাট, তাই দুর্নীতির ‘সুনাম’ আছে এমন একজনকেই প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে চউক। দুদকের ১২টি দুর্নীতির মামলা যাঁর মাথায় ঝুলছে, দুর্নীতির প্রমাণ হোক বা না হোক, এমন একজন ব্যক্তি প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কেন ও কী উদ্দেশ্যে নিয়োগ পান, তা অনুমান করা কঠিন নয়।
এই যে দুর্ঘটনাটি ঘটল, ১২ জনের মৃত্যু হলো, এর আগেও এই প্রকল্পে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সৌভাগ্য যে সে সময় বড় ক্ষয়ক্ষতি বা জীবনহানির ঘটনা ঘটেনি। এর পরও এই উড়ালসড়ক নির্মাণকাজে জড়িত মহলগুলোর টনক নড়েনি। এটাকে তাই দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। এই ১২ জনের মৃত্যু আসলে হত্যাকাণ্ড। আর এঁদের ঘাতক হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ও তাদের কর্তাব্যক্তিরা। এখন কেউ নিতে চাইছে না গার্ডার ভেঙে পড়ার দায়—না রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ পাওয়া অনভিজ্ঞ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, না জোর করে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে দায়িত্ব নেওয়া চউক, না অনভিজ্ঞ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক কর্তাব্যক্তির এখন মোবাইল ফোন বন্ধ, তাঁদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আমরা মনে করি, ১২ জনের এই জীবনহানি, অনেকের আহত হওয়া ও পঙ্গুত্ব বরণ করার দায় এসব প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। শুধু সাময়িক বরখাস্ত ধরনের মামুলি শাস্তি নয়, যাঁদের দায়িত্বে অবহেলার জন্য এতগুলো হতাহতের ঘটনা ঘটল, তদন্ত করে তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে এ ঘটনার শিক্ষা হচ্ছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় লুটপাট আর দুর্নীতির আকাঙ্ক্ষা থেকে প্রকল্প নেওয়া বন্ধ করতে হবে। সরকার এই শিক্ষা নেবে তো?
No comments