পরীক্ষার জন্য আরাফাতের দেহাবশেষ তোলা হয়েছে- মৃত্যুরহস্যের কিনারা হবে কি?
অনেক রহস্যের কিনারা করতে গতকাল মঙ্গলবার কবর থেকে তোলা হয়েছে ফিলিস্তিনের অবিসংবাদী নেতা ইয়াসির আরাফাতের দেহাবশেষ। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল, নাকি বিষ প্রয়োগে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল—এ প্রশ্নের সুরাহা করতেই তাঁর দেহাবশেষ তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই তদন্ত শেষ করতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।
পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের মুকাতা কমপ্লেক্স চত্বরের কবর থেকে গতকাল আরাফাতের দেহাবশেষ তোলা হয়। মুকাতা কমপ্লেক্স থেকেই তিনি শাসন করতেন ফিলিস্তিন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সদর দপ্তরও সেখানে।
আরাফাতের দেহাবশেষ তোলার পর তা নেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে। এরপর কবর ও দেহাবশেষ থেকে নমুন সংগ্রহ করেন ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা। পরে যথাযোগ্য মর্যাদায় আবার সমাহিত করা হয় আরাফাতের দেহাবশেষ। বিশেষজ্ঞরা নিজ নিজ দেশে আলাদাভাবে নমুনা পরীক্ষা করবেন।
ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) ৩৫ বছর নেতৃত্ব দেন আরাফাত। ১৯৯৬ সালে তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন।
২০০৪ সালের অক্টোবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরাফাত। দুই সপ্তাহ পরে তাঁকে নেওয়া হয় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কাছে একটি সামরিক হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। ১১ নভেম্বর তিনি ৭৫ বছর বয়সে মারা যান। কিন্তু তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়া, দ্রুত অবস্থার অবনতি এবং শেষে মৃত্যুকে ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক কী কারণে আরাফাতের মৃত্যু হয়েছিল, তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি ফরাসি চিকিৎসকেরা। আরাফাতের স্ত্রী সুহার অনুরোধে তখন মরদেহের ময়নাতদন্তও করা হয়নি।
কিন্তু অনেক ফিলিস্তিনি বিশ্বাস করেন, আরাফাতের মৃত্যুর পেছনে ইসরায়েলের হাত ছিল। বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে। গত জুলাইয়ে আল-জাজিরায় একটি প্রতিবেদন সম্প্রচারের পর তাদের এই বিশ্বাস আরও জোরালো ভিত্তি পায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের একটি তদন্তে আরাফাতের ব্যক্তিগত কিছু জিনিসপত্রে অস্বাভাবিক মাত্রায় তেজস্ক্রিয় পলোনিয়াম পাওয়া গেছে। এরপর আগস্টে সুহার অনুরোধে তদন্ত শুরু করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছে।
আরাফাতের দেহাবশেষ তোলার আগে তাঁর স্ত্রী সুহা বলেন, ‘এটি খুবই বেদনাদায়ক। আমি বা আমার মেয়ের পক্ষে এটি সহ্য করা খুব সহজ নয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিয়ে যে ঘোর রহস্য রয়েছে, তা উদ্ঘাটনে এটি আমাদের করতেই হবে।’
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এত বছর পর আরাফাতের দেহাবশেষের যৎসামান্য হয়তো পাওয়া গেছে। অথবা পাওয়া গেছে তাঁর দাফনের কাপড়ের সুতা। এসব থেকে পলোনিয়ামের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অনেক বিশেষজ্ঞ। কেননা, অন্যান্য তেজস্ক্রিয় পদার্থের তুলনায় পলোনিয়াম অনেক দ্রুত মিলিয়ে যায়। এএফপি।
ইয়াসির আরাফাতের শেষ দিনগুলো
২ এপ্রিল ২০০৪
ইসরায়েল আরাফাতকে মেরে ফেলতে পারে—এমন আভাস দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন
২৯ জুন ২০০৪
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিশেল বার্নার
রামাল্লা গিয়ে
আরাফাতের
সঙ্গে সাক্ষাৎ
করেন। এতে
ইসরায়েল
প্রতিবাদ
জানায়
২৯ অক্টোবর ২০০৪
গুরুতর অসুস্থ আরাফাতকে প্যারিসের হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়। ১১ নভেম্বর তিনি এ হাসপাতালে
মারা যান
পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের মুকাতা কমপ্লেক্স চত্বরের কবর থেকে গতকাল আরাফাতের দেহাবশেষ তোলা হয়। মুকাতা কমপ্লেক্স থেকেই তিনি শাসন করতেন ফিলিস্তিন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সদর দপ্তরও সেখানে।
আরাফাতের দেহাবশেষ তোলার পর তা নেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে। এরপর কবর ও দেহাবশেষ থেকে নমুন সংগ্রহ করেন ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা। পরে যথাযোগ্য মর্যাদায় আবার সমাহিত করা হয় আরাফাতের দেহাবশেষ। বিশেষজ্ঞরা নিজ নিজ দেশে আলাদাভাবে নমুনা পরীক্ষা করবেন।
ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) ৩৫ বছর নেতৃত্ব দেন আরাফাত। ১৯৯৬ সালে তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন।
২০০৪ সালের অক্টোবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরাফাত। দুই সপ্তাহ পরে তাঁকে নেওয়া হয় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কাছে একটি সামরিক হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। ১১ নভেম্বর তিনি ৭৫ বছর বয়সে মারা যান। কিন্তু তাঁর অসুস্থ হয়ে পড়া, দ্রুত অবস্থার অবনতি এবং শেষে মৃত্যুকে ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক কী কারণে আরাফাতের মৃত্যু হয়েছিল, তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি ফরাসি চিকিৎসকেরা। আরাফাতের স্ত্রী সুহার অনুরোধে তখন মরদেহের ময়নাতদন্তও করা হয়নি।
কিন্তু অনেক ফিলিস্তিনি বিশ্বাস করেন, আরাফাতের মৃত্যুর পেছনে ইসরায়েলের হাত ছিল। বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে। গত জুলাইয়ে আল-জাজিরায় একটি প্রতিবেদন সম্প্রচারের পর তাদের এই বিশ্বাস আরও জোরালো ভিত্তি পায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের একটি তদন্তে আরাফাতের ব্যক্তিগত কিছু জিনিসপত্রে অস্বাভাবিক মাত্রায় তেজস্ক্রিয় পলোনিয়াম পাওয়া গেছে। এরপর আগস্টে সুহার অনুরোধে তদন্ত শুরু করে ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেছে।
আরাফাতের দেহাবশেষ তোলার আগে তাঁর স্ত্রী সুহা বলেন, ‘এটি খুবই বেদনাদায়ক। আমি বা আমার মেয়ের পক্ষে এটি সহ্য করা খুব সহজ নয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিয়ে যে ঘোর রহস্য রয়েছে, তা উদ্ঘাটনে এটি আমাদের করতেই হবে।’
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এত বছর পর আরাফাতের দেহাবশেষের যৎসামান্য হয়তো পাওয়া গেছে। অথবা পাওয়া গেছে তাঁর দাফনের কাপড়ের সুতা। এসব থেকে পলোনিয়ামের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অনেক বিশেষজ্ঞ। কেননা, অন্যান্য তেজস্ক্রিয় পদার্থের তুলনায় পলোনিয়াম অনেক দ্রুত মিলিয়ে যায়। এএফপি।
ইয়াসির আরাফাতের শেষ দিনগুলো
২ এপ্রিল ২০০৪
ইসরায়েল আরাফাতকে মেরে ফেলতে পারে—এমন আভাস দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন
২৯ জুন ২০০৪
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিশেল বার্নার
রামাল্লা গিয়ে
আরাফাতের
সঙ্গে সাক্ষাৎ
করেন। এতে
ইসরায়েল
প্রতিবাদ
জানায়
২৯ অক্টোবর ২০০৪
গুরুতর অসুস্থ আরাফাতকে প্যারিসের হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়। ১১ নভেম্বর তিনি এ হাসপাতালে
মারা যান
১২ নভেম্বর ২০০৪
রামাল্লায় নিজ সদর দপ্তরের চত্বরে আরাফাতের দাফন
সম্পন্ন হয়
No comments