রেমিট্যান্স শীর্ষে বাংলাদেশ-নতুন শ্রমবাজারের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে
বাংলাদেশের হতাশার চিত্র যে কারো দৃষ্টি কাড়বে যৌক্তিক কারণেই। এখানে 'মারী ও মড়ক হানা দেয় বারবার'। আর সে কারণেই '...এই দেশে মৃত্যুরই কারবার'- কবির এই পঙ্ক্তি শত বছরেও পুরনো হয় না।
যেখানে খবরের কাগজের পৃষ্ঠাজুড়ে থাকে অপমৃত্যু আর দুর্ঘটনার খবর, সেখানে অন্য ধরনের খবরে আমাদের প্রত্যাশার আকাশে উঁকি দেয় নতুন সূর্য। মন ভালো করে দেওয়ার মতো তেমনই এক খবর প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবারের পত্রিকায়। ইউনাইটেড নেশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-আঙ্কটাডের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের স্বল্পোন্নত ৪৮টি দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাচ্ছে বাংলাদেশ। এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৪৪ শতাংশ। ওদিকে বাংলাদেশের জন্য খুলে গেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দুই সরকারের ব্যবস্থাপনায় এখন মালয়েশিয়ায়ও বাংলাদেশের জনশক্তি যাবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ৩০ হাজার কর্মী নেবে মালয়েশিয়া সরকার।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নানা ধরনের সংকট আছে। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আশা জাগানোর মতো কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বিনিয়োগ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। কিন্তু অবকাঠামোর অভাবসহ নানা ক্ষেত্রে সৃষ্ট সংকট বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বারবার বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করলেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে তোলা যায়নি। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নপ্রত্যাশী দেশে বিদেশি বিনিয়োগ না থাকলে রেমিট্যান্স কমে যায়। সে ক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, প্রবাসীদের আয় থেকে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তা থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু স্বল্পমেয়াদি প্রবাসী নন, দীর্ঘমেয়াদি প্রবাসীদের দিকে দৃষ্টি দেওয়া গেলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আরো বাড়বে। অর্থনীতির বিবেচনায় বাংলাদেশ মূলত আমদানিনির্ভর দেশ। এখানে আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম। তার পরও যে রেমিট্যান্স প্রবাহ রয়েছে, তা আশাব্যঞ্জক। এক বছরে ১২.৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স একটি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য অনেক বড় পাওয়া বলেই ধরে নেওয়া হয়। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে যখন মন্দার প্রভাব এখনো রয়েছে, অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ইউরোপের অনেক দেশ। এ অবস্থায় বাংলাদেশ যে রেমিট্যান্স পেয়েছে, তাতে এটুকু বলা চলে যে অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশের মতো ঝুঁকিতে নেই বাংলাদেশ।
এই রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন আশার সঞ্চার করেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসছিল। নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছিল। এ অবস্থায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বাড়বে বলে আশা করা যায়। রেমিট্যান্সের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছে অভিবাসীদের কাছ থেকে। মালয়েশিয়ার জনশক্তি রপ্তানি দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন গতি আনবে। যে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে, সেটাকে আরো বিস্তৃত করে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে গতির সঞ্চার হবে দেশের অর্থনীতির চাকায়। আমরা আশা করব, সরকার দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মতো পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি বিদেশে নতুন কর্মসংস্থানের দিকেও দৃষ্টি দেবে। নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টিতে সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নানা ধরনের সংকট আছে। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আশা জাগানোর মতো কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বিনিয়োগ ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। কিন্তু অবকাঠামোর অভাবসহ নানা ক্ষেত্রে সৃষ্ট সংকট বিদেশি বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বারবার বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান করলেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে তোলা যায়নি। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নপ্রত্যাশী দেশে বিদেশি বিনিয়োগ না থাকলে রেমিট্যান্স কমে যায়। সে ক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, প্রবাসীদের আয় থেকে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তা থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু স্বল্পমেয়াদি প্রবাসী নন, দীর্ঘমেয়াদি প্রবাসীদের দিকে দৃষ্টি দেওয়া গেলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আরো বাড়বে। অর্থনীতির বিবেচনায় বাংলাদেশ মূলত আমদানিনির্ভর দেশ। এখানে আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম। তার পরও যে রেমিট্যান্স প্রবাহ রয়েছে, তা আশাব্যঞ্জক। এক বছরে ১২.৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স একটি স্বল্পোন্নত দেশের জন্য অনেক বড় পাওয়া বলেই ধরে নেওয়া হয়। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে যখন মন্দার প্রভাব এখনো রয়েছে, অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ইউরোপের অনেক দেশ। এ অবস্থায় বাংলাদেশ যে রেমিট্যান্স পেয়েছে, তাতে এটুকু বলা চলে যে অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশের মতো ঝুঁকিতে নেই বাংলাদেশ।
এই রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন আশার সঞ্চার করেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসছিল। নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছিল। এ অবস্থায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বাড়বে বলে আশা করা যায়। রেমিট্যান্সের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছে অভিবাসীদের কাছ থেকে। মালয়েশিয়ার জনশক্তি রপ্তানি দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে নতুন গতি আনবে। যে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে, সেটাকে আরো বিস্তৃত করে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে গতির সঞ্চার হবে দেশের অর্থনীতির চাকায়। আমরা আশা করব, সরকার দেশের অর্থনীতির স্বার্থে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার মতো পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি বিদেশে নতুন কর্মসংস্থানের দিকেও দৃষ্টি দেবে। নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টিতে সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি।
No comments