পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি পেয়েছে দুদক
পদ্মা সেতুর কাজ পেতে 'ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্র' হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। এ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার এক বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের তথ্য পাওয়ার কথা জানাল দুদক।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে কিছু লোক ষড়যন্ত্র করেছে। আমাদের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা এসব তথ্য পেয়েছেন।' ঘুষের বিষয়ে কথাবার্তা ও আকার-ইঙ্গিত হয়েছে, তবে লেনদেন না হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, 'সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, ডালমে কুছ কালা হ্যায়।'
এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীসহ ১৪ জনকে তলব করেছে দুদক। সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসান চৌধুরীকে আগামী ৩ ডিসেম্বর দুদকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ৩ ডিসেম্বর অনুসন্ধানকাজ শেষ করা হবে। এর পরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখানে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে। এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে দুদক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আগাম কিছু বলতে চাই না, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছি।' আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেল বাংলাদেশে আসবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দ্বিতীয়বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে গতকাল পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্যরা যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তাঁরা হলেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. রজ্জব আলী, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবু সিদ্দিক, সেতু বিভাগের উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. মনিরুজ্জামান, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য সানোয়ার হোসেন ও সেতু বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফরউল্লাহ।
আজ বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী তরুণ তপন দেওয়ান, পিডাব্লিউডিবির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মকবুল হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ এবং ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. দলিল উদ্দিন।
এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, নিঙ্ন চৌধুরী ও ইপিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জিয়াউল হককে এবং ২ ডিসেম্বর অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আইনুুন নিশাত ও অধ্যাপক ড. আ ন ম সফিউল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগে তাঁদের আবার জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে মনে করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। সেজন্য তাঁদেরকে আবার ডাকা হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করে চার সদস্যের অনুসন্ধানী দল। দলের সদস্যরা হলেন দুদকের চার উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ, মীর মো. জয়নাল আবেদীন শিবলী, গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও মির্জা জাহিদুল আলম।
এদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীসহ ১৪ জনকে তলব করেছে দুদক। সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসান চৌধুরীকে আগামী ৩ ডিসেম্বর দুদকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ৩ ডিসেম্বর অনুসন্ধানকাজ শেষ করা হবে। এর পরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখানে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে। এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে দুদক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'আগাম কিছু বলতে চাই না, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছি।' আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ প্যানেল বাংলাদেশে আসবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দ্বিতীয়বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে গতকাল পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্যরা যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তাঁরা হলেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. রজ্জব আলী, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবু সিদ্দিক, সেতু বিভাগের উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. মনিরুজ্জামান, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য সানোয়ার হোসেন ও সেতু বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফরউল্লাহ।
আজ বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী তরুণ তপন দেওয়ান, পিডাব্লিউডিবির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মকবুল হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ এবং ইস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক মো. দলিল উদ্দিন।
এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, নিঙ্ন চৌধুরী ও ইপিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জিয়াউল হককে এবং ২ ডিসেম্বর অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আইনুুন নিশাত ও অধ্যাপক ড. আ ন ম সফিউল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগে তাঁদের আবার জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে মনে করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। সেজন্য তাঁদেরকে আবার ডাকা হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রাথমিক অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করে চার সদস্যের অনুসন্ধানী দল। দলের সদস্যরা হলেন দুদকের চার উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল জাহিদ, মীর মো. জয়নাল আবেদীন শিবলী, গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও মির্জা জাহিদুল আলম।
No comments