আবারও বাংলাদেশি হত্যা-ভারত সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য কাম্য
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী তথা বিএসএফের বাংলাদেশি হত্যা কোনোভাবেই থামছে না। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেক নেতাই এই হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে কোনো প্রতিশ্রুতিই কাজে আসছে না। সেগুলো যেন কেবলই কথার কথা।
সর্বশেষ গত রবিবার খুব ভোরে লালমনিরহাটের বুড়িমারী এলাকায় আবদুল লতিফ নামে আরেকজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। আর এবার তা করেছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর তছনছ করে দিয়ে যায়। কাজেই এ শুধু কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা নয়, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকেও অগ্রাহ্য করার শামিল। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে বিএসএফের অনুপ্রবেশ এবং বাংলাদেশিকে হত্যার জন্য কূটনৈতিক পর্যায়ে ভারতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া প্রয়োজন।
প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, গত ১০ বছরে ভারতীয় সীমান্তে ৭০০ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসেই ২৫ জনের বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছে, ৭০ জন আহত হয়েছে এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। জানা যায়, এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই সীমান্তে পাঁচ শতাধিক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের মানুষ হিসেবেই ভাবতে পারে না। তাই মানবাধিকারের প্রশ্নটি তাদের কাছে নিতান্তই গৌণ। গত সেপ্টেম্বরে ঢাকায় বিএসএফ ও বিজিবির (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) মহাপরিচালক পর্যায়ে চার দিনব্যাপী বৈঠক হয়। এর আগে স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তারও আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলোতেও সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ভারত সফরের সময়ও বিষয়টিতে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বৈঠকেই বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ করা হবে। চোরাচালানি বা এ ধরনের অপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে রাবার বুলেট ব্যবহার করা হবে। কিন্তু কোথায় সেসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন? বরং বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে গত রবিবার ভোরে খুব কাছে থেকে গুলি করে নিরস্ত্র রাখাল আবদুল লতিফকে যে হত্যা করা হয়েছে এবং তার লাশ টেনে সীমান্তের ওপারে নেওয়া হয়েছে তার বেশ কিছু প্রমাণ রয়েছে। যেখানে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে এখনো জমাটবাঁধা রক্ত পড়ে আছে। কাছেই পাওয়া গেছে তিনটি গুলির খোসা। অবশ্য এরপর অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু আর কত দুঃখ প্রকাশ, আর কত প্রতিশ্রুতির কথা আমাদের শুনতে হবে! নিরীহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিটি ঘটনা আমাদের হৃদয়কে শোকাভিভূত করে। সেই শোকবিধ্বস্ত হৃদয় নিয়েও আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় এবং সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আর কত? দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক রক্ষার প্রয়োজনেই এ ঘটনায় আমরা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছি।
প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, গত ১০ বছরে ভারতীয় সীমান্তে ৭০০ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসেই ২৫ জনের বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছে, ৭০ জন আহত হয়েছে এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে। জানা যায়, এ বছরের প্রথম ছয় মাসেই সীমান্তে পাঁচ শতাধিক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের মানুষ হিসেবেই ভাবতে পারে না। তাই মানবাধিকারের প্রশ্নটি তাদের কাছে নিতান্তই গৌণ। গত সেপ্টেম্বরে ঢাকায় বিএসএফ ও বিজিবির (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) মহাপরিচালক পর্যায়ে চার দিনব্যাপী বৈঠক হয়। এর আগে স্বরাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তারও আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলোতেও সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ভারত সফরের সময়ও বিষয়টিতে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বৈঠকেই বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ করা হবে। চোরাচালানি বা এ ধরনের অপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে রাবার বুলেট ব্যবহার করা হবে। কিন্তু কোথায় সেসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন? বরং বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে ঢুকে গত রবিবার ভোরে খুব কাছে থেকে গুলি করে নিরস্ত্র রাখাল আবদুল লতিফকে যে হত্যা করা হয়েছে এবং তার লাশ টেনে সীমান্তের ওপারে নেওয়া হয়েছে তার বেশ কিছু প্রমাণ রয়েছে। যেখানে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে এখনো জমাটবাঁধা রক্ত পড়ে আছে। কাছেই পাওয়া গেছে তিনটি গুলির খোসা। অবশ্য এরপর অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু আর কত দুঃখ প্রকাশ, আর কত প্রতিশ্রুতির কথা আমাদের শুনতে হবে! নিরীহ ও নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিটি ঘটনা আমাদের হৃদয়কে শোকাভিভূত করে। সেই শোকবিধ্বস্ত হৃদয় নিয়েও আমরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় এবং সম্পর্কের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আর কত? দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক রক্ষার প্রয়োজনেই এ ঘটনায় আমরা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করছি।
No comments