গোলটেবিল বৈঠক- ধূমপান নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন ও সঠিক প্রয়োগ জরুরি
ধূমপানের ক্ষতির দিক সম্পর্কে মানুষ জানে। এ বিষয়ে জনসচেতনতার ঘাটতি নেই। কিন্তু ধূমপান আশানুরূপ কমছে না। তাই এখন দরকার ধূমপানবিরোধী শক্ত আইন প্রণয়ন ও এর সঠিক প্রয়োগ।
গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন: প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারী আলোচকেরা এ কথা বলেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা এই বৈঠক আয়োজনে প্রথম আলোকে সহায়তা করে।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১২-এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদন হয়েছে গত সোমবার। বৈঠকে উপস্থিত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে শাস্তি ও ধূমপান প্রতিরোধ—এই দুটো বিষয়কেই সংশোধনীতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী শীতকালীন অধিবেশনে আইনটি সংসদে উঠবে। তার আগে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ বিবেচনার সুযোগ আছে।
বৈঠকে একাধিক অংশগ্রহণকারী অভিযোগ করেছেন, সিগারেট উৎপাদনকারী বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আইনটি দুর্বল করার জন্য ভূমিকা রেখেছে। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী তাইফুর রহমান বলেন, ধূমপানমুক্ত এলাকায় ধূমপানের জন্য একটি নির্দিষ্ট কক্ষ ও পৃথক জায়গা (ডেজিগনেটেড এরিয়া) রেখে দিলে অধূমপায়ীদের ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কার্যকরভাবে রক্ষা করা যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জাতীয় পেশাদার কর্মকর্তা (ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার) মুস্তফা জামানও সংশোধনীতে ‘নির্দিষ্ট জায়গা’ রেখে দেওয়ার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ধূমপায়ীদের জন্য একটি কক্ষ নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্বাস্থ্যসচিবের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, এক কক্ষে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একসঙ্গে ধূমপান করবেন এমন সংস্কৃতি নেই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ধূমপান নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। তবে কোনো সংগঠনের সক্রিয় কর্মীর মতো সরকার কাজ করতে পারে না। তিনি জানান, দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধি তৈরি করতে ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসচিব আরও বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ২০২৫ সালের মধ্যে সে দেশে ধূমপান সম্পূর্ণ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরাও একটা পর্যায়ে গিয়ে এ রকম কোনো উদ্যোগ নিতে পারব।’
বৈঠকের সঞ্চালক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, অস্ট্রেলিয়াতে আইন হয়েছে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিগারেটের মোড়ক একই রকম হবে, পৃথকভাবে আকর্ষণীয় করা যাবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশেও বিড়ি, সিগারেট, পান, জর্দাকে নিরুৎসাহিত করতে সৃজনশীল পন্থা বের করতে হবে।
সাংসদ নাজমা আক্তার বলেন, সংসদলবিতে অধূমপায়ী সাংসদদের খুবই অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। নারী সাংসদদের তো নাকে কাপড় নিয়ে থাকতে হয়। তিনি সংসদকে ধূমপানমুক্ত এলাকা করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আইন করব অথচ আমরা তা মানব না, তা হবে না।’ নাজমা আক্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আইন নিয়ে আলোচনার সময় কোনো নারী সাংসদ সিগারেট বা ধূমপানের পক্ষে কথা বলবে না।
বৈঠকের শুরুতে প্রজ্ঞার চেয়ারম্যান সাইদ বদরুল করিম বলেন, প্রতিদিন দেশে ১৫৬ জন মানুষের মৃত্যু হয় ধূমপানজনিত কারণে। তিনি বলেন, একটা সিগারেট সহজে কেনা যায়। খুচরা সিগারেট ধূমপায়ী তৈরি করে। তাই খুচরা সিগারেট বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
বিড়ি বা সিগারেটের মতো পান-জর্দাও সমান ক্ষতিকর। ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, পান-জর্দার ব্যবহার কমাতে হলে এগুলোকেও খোলা বিক্রির অনুমতি দেওয়া যাবে না। মোড়ক ব্যবহারের আইনি বিধান করতে হবে।
বারডেমের অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, প্রায় ৫০ বছর হলো তামাক বা ধূমপানবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে। মানুষ নিজের ক্ষতি বুঝতে পারে। এখন দরকার আইনটি সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ। তিনি বলেন, অনেক সাংসদ কঠোর ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে নন।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১২-এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদন হওয়াতে বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সবাই আইনমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবকে ধন্যবাদ জানান। মুস্তাফা জামান বলেন, আগামী বছরের তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ধূমপানের ক্ষতির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকছে।
তামাকবিরোধী সাংবাদিক জোটের আহ্বায়ক ও বাংলাভিশনের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক রুহুল আমিন রুশদ বলেন, বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে চারাগাছ বিতরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে প্রতারণা করছে। এটা দুঃখজনক যে প্রত্যেক গণমাধ্যমে তাদের পক্ষে কাজ করার লোক আছে।
তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেইনস্ট টিবি অ্যান্ড লাং ডিজিজেসের কারিগরি পরামর্শক ইশরাত চৌধুরী। তিনি বলেন, সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে চাহিদা নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, সিগারেটের মোড়কে ভীতিকর ছবি ব্যবহার করে মানুষকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে অনেক দেশ উদ্যোগ নিয়েছে। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এমন ছবি ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ এখনো নিরক্ষর। তারা সিগারেটের মোড়কে লেখা সতর্কবাণী পড়তে পারে না। তাই ওই ধরনের ভীতিকর ছবি এখানে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আলোচনায় একাধিক আলোচক সিগারেটের মোড়কে ভীতিকর ছবি ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেন।
গোলটেবিল বৈঠকে একাধিক আলোচক অভিযোগ করেন, সিগারেট ব্যবসায়ীরা মানুষকে সচেতন করার কথা বলেন, কঠোর আইন প্রণয়ন করার বিপক্ষে অবস্থান নেন। কিন্তু কোনো দেশে আইন ছাড়া ধূমপান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। আলোচকেরা মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া খসড়া আইনটির কিছু সংশোধনীও দাবি করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, আইনে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় থাকলে নিরসন করতে হবে। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট সুপারিশ লিখিত আকারে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো যাবে। কমিটি তা বিবেচনায় নিয়ে রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত করলে তা সংশোধনীসহ পাস হবে।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১২-এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদন হয়েছে গত সোমবার। বৈঠকে উপস্থিত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে শাস্তি ও ধূমপান প্রতিরোধ—এই দুটো বিষয়কেই সংশোধনীতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী শীতকালীন অধিবেশনে আইনটি সংসদে উঠবে। তার আগে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ বিবেচনার সুযোগ আছে।
বৈঠকে একাধিক অংশগ্রহণকারী অভিযোগ করেছেন, সিগারেট উৎপাদনকারী বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আইনটি দুর্বল করার জন্য ভূমিকা রেখেছে। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের গণমাধ্যম সমন্বয়কারী তাইফুর রহমান বলেন, ধূমপানমুক্ত এলাকায় ধূমপানের জন্য একটি নির্দিষ্ট কক্ষ ও পৃথক জায়গা (ডেজিগনেটেড এরিয়া) রেখে দিলে অধূমপায়ীদের ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কার্যকরভাবে রক্ষা করা যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জাতীয় পেশাদার কর্মকর্তা (ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার) মুস্তফা জামানও সংশোধনীতে ‘নির্দিষ্ট জায়গা’ রেখে দেওয়ার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ধূমপায়ীদের জন্য একটি কক্ষ নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্বাস্থ্যসচিবের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, এক কক্ষে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একসঙ্গে ধূমপান করবেন এমন সংস্কৃতি নেই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ধূমপান নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। তবে কোনো সংগঠনের সক্রিয় কর্মীর মতো সরকার কাজ করতে পারে না। তিনি জানান, দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধি তৈরি করতে ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সহকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যসচিব আরও বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ২০২৫ সালের মধ্যে সে দেশে ধূমপান সম্পূর্ণ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরাও একটা পর্যায়ে গিয়ে এ রকম কোনো উদ্যোগ নিতে পারব।’
বৈঠকের সঞ্চালক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, অস্ট্রেলিয়াতে আইন হয়েছে সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিগারেটের মোড়ক একই রকম হবে, পৃথকভাবে আকর্ষণীয় করা যাবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশেও বিড়ি, সিগারেট, পান, জর্দাকে নিরুৎসাহিত করতে সৃজনশীল পন্থা বের করতে হবে।
সাংসদ নাজমা আক্তার বলেন, সংসদলবিতে অধূমপায়ী সাংসদদের খুবই অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। নারী সাংসদদের তো নাকে কাপড় নিয়ে থাকতে হয়। তিনি সংসদকে ধূমপানমুক্ত এলাকা করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আইন করব অথচ আমরা তা মানব না, তা হবে না।’ নাজমা আক্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, আইন নিয়ে আলোচনার সময় কোনো নারী সাংসদ সিগারেট বা ধূমপানের পক্ষে কথা বলবে না।
বৈঠকের শুরুতে প্রজ্ঞার চেয়ারম্যান সাইদ বদরুল করিম বলেন, প্রতিদিন দেশে ১৫৬ জন মানুষের মৃত্যু হয় ধূমপানজনিত কারণে। তিনি বলেন, একটা সিগারেট সহজে কেনা যায়। খুচরা সিগারেট ধূমপায়ী তৈরি করে। তাই খুচরা সিগারেট বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
বিড়ি বা সিগারেটের মতো পান-জর্দাও সমান ক্ষতিকর। ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, পান-জর্দার ব্যবহার কমাতে হলে এগুলোকেও খোলা বিক্রির অনুমতি দেওয়া যাবে না। মোড়ক ব্যবহারের আইনি বিধান করতে হবে।
বারডেমের অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, প্রায় ৫০ বছর হলো তামাক বা ধূমপানবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে। মানুষ নিজের ক্ষতি বুঝতে পারে। এখন দরকার আইনটি সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ। তিনি বলেন, অনেক সাংসদ কঠোর ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে নন।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০১২-এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় অনুমোদন হওয়াতে বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সবাই আইনমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবকে ধন্যবাদ জানান। মুস্তাফা জামান বলেন, আগামী বছরের তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ধূমপানের ক্ষতির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকছে।
তামাকবিরোধী সাংবাদিক জোটের আহ্বায়ক ও বাংলাভিশনের জ্যেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক রুহুল আমিন রুশদ বলেন, বহুজাতিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে চারাগাছ বিতরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে প্রতারণা করছে। এটা দুঃখজনক যে প্রত্যেক গণমাধ্যমে তাদের পক্ষে কাজ করার লোক আছে।
তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের পক্ষে বলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেইনস্ট টিবি অ্যান্ড লাং ডিজিজেসের কারিগরি পরামর্শক ইশরাত চৌধুরী। তিনি বলেন, সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে চাহিদা নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, সিগারেটের মোড়কে ভীতিকর ছবি ব্যবহার করে মানুষকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে অনেক দেশ উদ্যোগ নিয়েছে। নেপাল, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এমন ছবি ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ এখনো নিরক্ষর। তারা সিগারেটের মোড়কে লেখা সতর্কবাণী পড়তে পারে না। তাই ওই ধরনের ভীতিকর ছবি এখানে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। আলোচনায় একাধিক আলোচক সিগারেটের মোড়কে ভীতিকর ছবি ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেন।
গোলটেবিল বৈঠকে একাধিক আলোচক অভিযোগ করেন, সিগারেট ব্যবসায়ীরা মানুষকে সচেতন করার কথা বলেন, কঠোর আইন প্রণয়ন করার বিপক্ষে অবস্থান নেন। কিন্তু কোনো দেশে আইন ছাড়া ধূমপান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। আলোচকেরা মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া খসড়া আইনটির কিছু সংশোধনীও দাবি করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, আইনে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় থাকলে নিরসন করতে হবে। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট সুপারিশ লিখিত আকারে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো যাবে। কমিটি তা বিবেচনায় নিয়ে রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত করলে তা সংশোধনীসহ পাস হবে।
No comments