কলকাতার চিঠি- মমতাকে রাজনৈতিক ধাক্কা by অমর সাহা
এমনটা স্বপ্নেও ভাবেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেবেছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক চালের কাছে মাথা নোয়াবে কংগ্রেস। কিন্তু ১২৭ বছরের পুরোনো দল কংগ্রেস মাথা নোয়াল না, বরং ভারতের সংসদে আনা অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে নাস্তানাবুদ হলো মমতার দল।
ফলে ভারতের রাজনৈতিক মঞ্চে একা হয়ে গেলেন মমতা এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস।
অথচ ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল বিজয়ে মমতার দলীয় নেতা-কর্মীরা স্বপ্ন দেখা শুরু করেন, ২০১৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবেন মমতা। আর তাতে করে মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগও এসে যেতে পারে। এই স্বপ্ন নিয়েই এগোচ্ছিল মমতার দল। মমতার দলের নেতা-কর্মীরা মমতাকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাও শুরু করেন। মমতাও কংগ্রেসবিরোধী একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের জন্যও দুই পা এগোতে থাকেন। কথাও বলেন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, বিজেডি, এআইএডিএমকে নেতাদের সঙ্গে। মমতা দেশব্যাপী এমন একটা রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে প্রচারে তৎপর হন যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বা বিজেপি—কারোর পক্ষে সরকার গড়ার মতো শক্তি থাকবে না। আর নির্ণায়ক শক্তি হবে তৃণমূল। ফলে মমতার একটা সুযোগ এসে যেতে পারে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার।
এই লক্ষ্য নিয়েই এগোতে থাকেন মমতা। বিভিন্ন রাজ্যের ছোটখাটো রাজনৈতিক দলকে পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি নতুন করে জাতীয় পর্যায়ে নিজের একটা ভাবমূর্তি তৈরি করতেও তৎপর হন। সেই লক্ষ্যে তিনি গত জুলাই মাসের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরই ইউপিএ জোটের শরিক কংগ্রেসপ্রার্থী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় নামেন। শুধু তা-ই নয়, ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর প্রার্থী প্রণবকে প্রত্যাখ্যান করে নিজে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি যখন বুঝতে পারেন জয়ের পাল্লা প্রণবের দিকে তখন তিনি সমর্থন দেন প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। একই খেলা খেলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও।
এভাবে ইউপিএ জোটের শরিক হওয়া সত্ত্বেও মমতা একের পর এক ইউপিএ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে থাকেন। প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনেরও। এসব ঘটনায় মমতাকে নিয়ে দেশব্যাপী একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি কমানো এবং খুচরা ব্যবসায়ে বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের বিরোধিতা করে গত সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে তাঁর দলের সমর্থন প্রত্যাহার করেন মমতা। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর দলের ছয় মন্ত্রীও পদত্যাগ করেন। এর ফলেই শুরু হয় কংগ্রেসের সঙ্গে মমতার সংঘাত।
মমতা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে গদিচ্যুত করার জন্য আদাজল খেয়ে নামেন। ১৭ নভেম্বর তিনি ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ঘোষণা দেন। সেই মতো ২২ নভেম্বর ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নিজের দলের ১৯ জন সাংসদকে নিয়ে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব তোলেন। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, ভারতের সংসদ লোকসভার ৫৪৫ সদস্যের মধ্যে ৫০ জন সাংসদ সম্মত হয়েই আনতে পারেন অনাস্থা প্রস্তাব। কিন্তু মমতা তাঁর দলের মাত্র ১৯ জন সাংসদকে নিয়ে ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার যুদ্ধে নামেন। মমতার ধারণা ছিল, বিজেপিসহ বেশ কিছু দল তাঁর পাশে এসে দাঁড়াবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য মমতার, কেবল ওডিশার বিজু জনতা দলের (বিজেডি) ১৮ সাংসদের মধ্যে মাত্র তিনজন সাংসদ মমতার পাশে এসে দাঁড়ান। আবার মমতার দলের ১৯ সাংসদের মধ্যে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সাংসদ কবীর সুমন এসে দাঁড়াননি মমতার পাশে। শুধু তা-ই নয়, গত ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতার জোটসঙ্গী এসইউসিআইয়ের একমাত্র সাংসদও মমতার পাশে দাঁড়াননি। ফলে মাত্র ২১ সাংসদকে নিয়ে সংসদে মমতা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে যুদ্ধে নেমে পরাস্ত হয়ে যান। লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর পরেই ২২ নভেম্বর মমতার অনাস্থা প্রস্তাবকে খারিজ করে দেন অনাস্থার পক্ষে প্রয়োজনীয় সাংসদের সমর্থন না থাকায়। ফলে রাজনৈতিকভাবে বিরাট এক ধাক্কা খান মমতা এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস।
এক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলেছেন, মমতাকে আর এখন কোনো রাজনৈতিক দল বিশ্বাস করতে পারছে না। সবারই ধারণা, মমতার কার্যসিদ্ধ হয়ে গেলেই তিনি যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারেন। যেমনটা মমতার জন্ম কংগ্রেসের আঁতুড়ঘর থেকে হলেও এই মমতা কখনো বিজেপি আবার কখনো কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়েছেন। নির্বাচন করেছেন। মন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির মন্ত্রিসভায় আবার কংগ্রেসের মন্ত্রিসভায়ও। সর্বশেষ ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা জোট বেঁধেছিলেন বিজেপির সঙ্গে। মমতার এই জোট বাঁধাকে মেনে নিতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমরা। সেবার মমতার বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার খেসারত দিতে হয়েছিল মমতাকে। লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসনে জিতেছিল মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। তাও মমতার নিজের আসনটি। এর পরেই মমতা সংবিৎ ফিরে পান। বিজেপিকে ছেড়ে হাত ধরেন কংগ্রেসের। সেই হাত ধরেই ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১০ সালের পৌরসভা নির্বাচন এবং ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট সাফল্য পান।
কিন্তু, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিভিন্ন নীতির প্রশ্নে মমতার শুরু হয় কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাত। ইতিমধ্যে দেশব্যাপী দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তাও কমতে শুরু করে। বিজেপিও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় মমতা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়া কোনো তৃতীয় শক্তির সরকার গড়ার। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নও দেখা দেয় তাঁর দলের মধ্যে। এরপর কংগ্রেস বিরোধিতায় নামেন তিনি। ছাড়েন ইউপিএ জোট। আর সর্বশেষ এই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তুলতে গিয়ে তিনি নাস্তানাবুদ হয়ে যান রাজনৈতিকভাবে। খান বিরাট এক রাজনৈতিক ধাক্কা।
অমর সাহা: প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি।
অথচ ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে বিপুল বিজয়ে মমতার দলীয় নেতা-কর্মীরা স্বপ্ন দেখা শুরু করেন, ২০১৪ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবেন মমতা। আর তাতে করে মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগও এসে যেতে পারে। এই স্বপ্ন নিয়েই এগোচ্ছিল মমতার দল। মমতার দলের নেতা-কর্মীরা মমতাকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাও শুরু করেন। মমতাও কংগ্রেসবিরোধী একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের জন্যও দুই পা এগোতে থাকেন। কথাও বলেন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, বিজেডি, এআইএডিএমকে নেতাদের সঙ্গে। মমতা দেশব্যাপী এমন একটা রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করে প্রচারে তৎপর হন যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বা বিজেপি—কারোর পক্ষে সরকার গড়ার মতো শক্তি থাকবে না। আর নির্ণায়ক শক্তি হবে তৃণমূল। ফলে মমতার একটা সুযোগ এসে যেতে পারে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার।
এই লক্ষ্য নিয়েই এগোতে থাকেন মমতা। বিভিন্ন রাজ্যের ছোটখাটো রাজনৈতিক দলকে পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি নতুন করে জাতীয় পর্যায়ে নিজের একটা ভাবমূর্তি তৈরি করতেও তৎপর হন। সেই লক্ষ্যে তিনি গত জুলাই মাসের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরই ইউপিএ জোটের শরিক কংগ্রেসপ্রার্থী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় নামেন। শুধু তা-ই নয়, ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর প্রার্থী প্রণবকে প্রত্যাখ্যান করে নিজে প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি যখন বুঝতে পারেন জয়ের পাল্লা প্রণবের দিকে তখন তিনি সমর্থন দেন প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। একই খেলা খেলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও।
এভাবে ইউপিএ জোটের শরিক হওয়া সত্ত্বেও মমতা একের পর এক ইউপিএ সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে থাকেন। প্রতিবাদ করেন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদনেরও। এসব ঘটনায় মমতাকে নিয়ে দেশব্যাপী একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি কমানো এবং খুচরা ব্যবসায়ে বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের বিরোধিতা করে গত সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে তাঁর দলের সমর্থন প্রত্যাহার করেন মমতা। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর দলের ছয় মন্ত্রীও পদত্যাগ করেন। এর ফলেই শুরু হয় কংগ্রেসের সঙ্গে মমতার সংঘাত।
মমতা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে গদিচ্যুত করার জন্য আদাজল খেয়ে নামেন। ১৭ নভেম্বর তিনি ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার ঘোষণা দেন। সেই মতো ২২ নভেম্বর ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নিজের দলের ১৯ জন সাংসদকে নিয়ে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব তোলেন। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, ভারতের সংসদ লোকসভার ৫৪৫ সদস্যের মধ্যে ৫০ জন সাংসদ সম্মত হয়েই আনতে পারেন অনাস্থা প্রস্তাব। কিন্তু মমতা তাঁর দলের মাত্র ১৯ জন সাংসদকে নিয়ে ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার যুদ্ধে নামেন। মমতার ধারণা ছিল, বিজেপিসহ বেশ কিছু দল তাঁর পাশে এসে দাঁড়াবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য মমতার, কেবল ওডিশার বিজু জনতা দলের (বিজেডি) ১৮ সাংসদের মধ্যে মাত্র তিনজন সাংসদ মমতার পাশে এসে দাঁড়ান। আবার মমতার দলের ১৯ সাংসদের মধ্যে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সাংসদ কবীর সুমন এসে দাঁড়াননি মমতার পাশে। শুধু তা-ই নয়, গত ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতার জোটসঙ্গী এসইউসিআইয়ের একমাত্র সাংসদও মমতার পাশে দাঁড়াননি। ফলে মাত্র ২১ সাংসদকে নিয়ে সংসদে মমতা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে যুদ্ধে নেমে পরাস্ত হয়ে যান। লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরুর পরেই ২২ নভেম্বর মমতার অনাস্থা প্রস্তাবকে খারিজ করে দেন অনাস্থার পক্ষে প্রয়োজনীয় সাংসদের সমর্থন না থাকায়। ফলে রাজনৈতিকভাবে বিরাট এক ধাক্কা খান মমতা এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস।
এক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলেছেন, মমতাকে আর এখন কোনো রাজনৈতিক দল বিশ্বাস করতে পারছে না। সবারই ধারণা, মমতার কার্যসিদ্ধ হয়ে গেলেই তিনি যেকোনো সময় পাল্টে যেতে পারেন। যেমনটা মমতার জন্ম কংগ্রেসের আঁতুড়ঘর থেকে হলেও এই মমতা কখনো বিজেপি আবার কখনো কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়েছেন। নির্বাচন করেছেন। মন্ত্রী হয়েছেন বিজেপির মন্ত্রিসভায় আবার কংগ্রেসের মন্ত্রিসভায়ও। সর্বশেষ ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা জোট বেঁধেছিলেন বিজেপির সঙ্গে। মমতার এই জোট বাঁধাকে মেনে নিতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমরা। সেবার মমতার বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার খেসারত দিতে হয়েছিল মমতাকে। লোকসভার ৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসনে জিতেছিল মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। তাও মমতার নিজের আসনটি। এর পরেই মমতা সংবিৎ ফিরে পান। বিজেপিকে ছেড়ে হাত ধরেন কংগ্রেসের। সেই হাত ধরেই ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১০ সালের পৌরসভা নির্বাচন এবং ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট সাফল্য পান।
কিন্তু, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিভিন্ন নীতির প্রশ্নে মমতার শুরু হয় কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাত। ইতিমধ্যে দেশব্যাপী দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তাও কমতে শুরু করে। বিজেপিও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় মমতা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়া কোনো তৃতীয় শক্তির সরকার গড়ার। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নও দেখা দেয় তাঁর দলের মধ্যে। এরপর কংগ্রেস বিরোধিতায় নামেন তিনি। ছাড়েন ইউপিএ জোট। আর সর্বশেষ এই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তুলতে গিয়ে তিনি নাস্তানাবুদ হয়ে যান রাজনৈতিকভাবে। খান বিরাট এক রাজনৈতিক ধাক্কা।
অমর সাহা: প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি।
No comments