শারীরিক শিক্ষায় পেশা গড়তে চাইলে by সাখাওয়াত হোসেন
ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন (বিপিএড) এক বছর মেয়াদি শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক একটি কোর্স। যাঁরা শরীরচর্চা ও খেলাধুলার নিয়মকানুনের বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে বা পেশা হিসেবে নিতে চান, তাঁদের জন্য কোর্সটি খুবই জরুরি। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কোর্সে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
ইতিমধ্যে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ২০১৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি কলেজে বিপিএড কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই কোর্স সম্পন্ন করে আপনি কর্মজীবন গড়তে পারেন।
ভর্তির যোগ্যতা: আগ্রহী ব্যক্তিদের ন্যূনতম স্নাতক বা সমমান পাস হতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়েরই আবেদনের সুযোগ রয়েছে। বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকেরাও আবেদন করতে পারবেন। তাঁদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। এখানে পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়। ভর্তির শেষ তারিখ আগামী ১৫ ডিসেম্বর। তবে বিলম্ব ফিসহ ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ আছে।
আবেদনের প্রক্রিয়া: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে দুই কপি ছবিসহ শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তি ও অভিজ্ঞতার সনদের ফটোকপি লাগবে। তবে ভর্তির সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সব মূল সনদপত্র ও নম্বরপত্র জমা দিতে হবে। কোর্স শেষে তা ফেরত দেওয়া হবে।
পড়ার সুযোগ যেখানে: খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রীড়া পরিদপ্তরের আওতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছয়টি সরকারি ও ২৩টি বেসরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে এ কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। সরকারি কলেজগুলো হলো: ১. সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
২. সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, সপুরা, রাজশাহী ৩. চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, হাউজিং এস্টেট, বড়পুল, চট্টগ্রাম ৪. খুলনা বিভাগীয় শারীরিক শিক্ষা কলেজ, বাগেরহাট ডাকঘর: সায়েড়া, শ্রীঘাট, জেলা: বাগেরহাট ৫. ময়মনসিংহ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, উপজেলা: মুক্তাগাছা, জেলা: ময়মনসিংহ
৬. বরিশাল বিভাগীয় শারীরিক শিক্ষা কলেজ, গ্রাম: নরকাঠি, টঙ্গীবাড়ি, বরিশাল সদর, বরিশাল। প্রতি কলেজে আসনসংখ্যা ২৫০। এর মধ্যে ৫০টি আসন নারীদের জন্য নির্ধারিত।
যা শেখানো হয়: ঢাকা সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ মো. তারেক ইকবাল খান জানান, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিকে মোট এক হাজার নম্বর পড়তে হয়। তাত্ত্বিকে শারীরিক শিক্ষার ইতিহাস, তত্ত্বনীতি, শিক্ষাদান পদ্ধতি, খেলাধুলার আইন-কানুন, ক্রীড়া মনোবিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা বা ফিজিওলজি, সংগঠন ও প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিদ্যা ও প্রাথমিক চিকিৎসা—এই আট বিষয়ে পড়ানো হয়।
ব্যবহারিকের ক্ষেত্রে খেলা প্রথম পত্রে ফুটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেট ও হকি—এই পাঁচ খেলা নিয়ে একটি বিষয়। খেলা দ্বিতীয় পত্রে কাবাডি, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন—এই চার খেলা নিয়ে একটি বিষয়। এ ছাড়া জিমন্যাস্টিকস, অ্যাথলেটিকস, রিপনিকস, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা, স্কোয়াড ড্রিল ও প্র্যাকটিস ট্রেনিং লেসন বা পাঠদান—সব মিলিয়ে আটটি বিষয় শেখানো হয়। মোট কথা, শারীরিক শিক্ষাসহ প্রায় সব খেলাধুলার বিষয়ে শেখানো হয় এই কোর্সে।
কাজের ক্ষেত্র: এ প্রসঙ্গে ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস সালাম জানান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক শরীরচর্চার শিক্ষকের প্রয়োজন আছে। যাঁরা এ শিক্ষায় শিক্ষিত, তাঁরা কাজ করতে পারেন এসব প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া হতে পারবেন বিভিন্ন ক্লাব, ক্রীড়া পরিষদ, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশনের প্রশিক্ষক। বিকেএসপি ও শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবেও কাজের সুযোগ রয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা (শারীরিক শিক্ষা) লিপি বেগম জানান, খেলাধুলা বা শরীরচর্চার বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের এই কোর্সে আসা উচিত। কোর্স শেষে রয়েছে খেলাধুলা নিয়ে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ।
সুযোগ-সুবিধা: মো. তারেক ইকবাল খান জানান, এই কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে থাকার সুব্যবস্থা, খেলাধুলার আধুনিক সরঞ্জাম ও চিকিৎসার সুবিধা। রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে ৩৩০ টাকা হারে বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ: ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম, ঢাকা, ফোন-৭১৭০৬৩১। ই-মেইল: sportsdte@yahoo.com, দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইট: www.ds.gov.bd
ভর্তির যোগ্যতা: আগ্রহী ব্যক্তিদের ন্যূনতম স্নাতক বা সমমান পাস হতে হবে। নারী-পুরুষ উভয়েরই আবেদনের সুযোগ রয়েছে। বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকেরাও আবেদন করতে পারবেন। তাঁদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। এখানে পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়। ভর্তির শেষ তারিখ আগামী ১৫ ডিসেম্বর। তবে বিলম্ব ফিসহ ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ আছে।
আবেদনের প্রক্রিয়া: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে দুই কপি ছবিসহ শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে। শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এমপিওভুক্তি ও অভিজ্ঞতার সনদের ফটোকপি লাগবে। তবে ভর্তির সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সব মূল সনদপত্র ও নম্বরপত্র জমা দিতে হবে। কোর্স শেষে তা ফেরত দেওয়া হবে।
পড়ার সুযোগ যেখানে: খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্রীড়া পরিদপ্তরের আওতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছয়টি সরকারি ও ২৩টি বেসরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে এ কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। সরকারি কলেজগুলো হলো: ১. সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
২. সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, সপুরা, রাজশাহী ৩. চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, হাউজিং এস্টেট, বড়পুল, চট্টগ্রাম ৪. খুলনা বিভাগীয় শারীরিক শিক্ষা কলেজ, বাগেরহাট ডাকঘর: সায়েড়া, শ্রীঘাট, জেলা: বাগেরহাট ৫. ময়মনসিংহ সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, উপজেলা: মুক্তাগাছা, জেলা: ময়মনসিংহ
৬. বরিশাল বিভাগীয় শারীরিক শিক্ষা কলেজ, গ্রাম: নরকাঠি, টঙ্গীবাড়ি, বরিশাল সদর, বরিশাল। প্রতি কলেজে আসনসংখ্যা ২৫০। এর মধ্যে ৫০টি আসন নারীদের জন্য নির্ধারিত।
যা শেখানো হয়: ঢাকা সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ মো. তারেক ইকবাল খান জানান, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিকে মোট এক হাজার নম্বর পড়তে হয়। তাত্ত্বিকে শারীরিক শিক্ষার ইতিহাস, তত্ত্বনীতি, শিক্ষাদান পদ্ধতি, খেলাধুলার আইন-কানুন, ক্রীড়া মনোবিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা বা ফিজিওলজি, সংগঠন ও প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিদ্যা ও প্রাথমিক চিকিৎসা—এই আট বিষয়ে পড়ানো হয়।
ব্যবহারিকের ক্ষেত্রে খেলা প্রথম পত্রে ফুটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেট ও হকি—এই পাঁচ খেলা নিয়ে একটি বিষয়। খেলা দ্বিতীয় পত্রে কাবাডি, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন—এই চার খেলা নিয়ে একটি বিষয়। এ ছাড়া জিমন্যাস্টিকস, অ্যাথলেটিকস, রিপনিকস, ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা, স্কোয়াড ড্রিল ও প্র্যাকটিস ট্রেনিং লেসন বা পাঠদান—সব মিলিয়ে আটটি বিষয় শেখানো হয়। মোট কথা, শারীরিক শিক্ষাসহ প্রায় সব খেলাধুলার বিষয়ে শেখানো হয় এই কোর্সে।
কাজের ক্ষেত্র: এ প্রসঙ্গে ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মো. আবদুস সালাম জানান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক শরীরচর্চার শিক্ষকের প্রয়োজন আছে। যাঁরা এ শিক্ষায় শিক্ষিত, তাঁরা কাজ করতে পারেন এসব প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া হতে পারবেন বিভিন্ন ক্লাব, ক্রীড়া পরিষদ, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশনের প্রশিক্ষক। বিকেএসপি ও শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবেও কাজের সুযোগ রয়েছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা (শারীরিক শিক্ষা) লিপি বেগম জানান, খেলাধুলা বা শরীরচর্চার বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের এই কোর্সে আসা উচিত। কোর্স শেষে রয়েছে খেলাধুলা নিয়ে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ।
সুযোগ-সুবিধা: মো. তারেক ইকবাল খান জানান, এই কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে থাকার সুব্যবস্থা, খেলাধুলার আধুনিক সরঞ্জাম ও চিকিৎসার সুবিধা। রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে ৩৩০ টাকা হারে বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ: ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম, ঢাকা, ফোন-৭১৭০৬৩১। ই-মেইল: sportsdte@yahoo.com, দেখতে পারেন এই ওয়েবসাইট: www.ds.gov.bd
No comments