আইইউবি জব ফেয়ার- চাকরি তোমায় খুঁজে নেবে by ফয়সাল হাসান
ইন্টারভিউ বোর্ড থেকে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বের হলেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) এমবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী প্রজ্ঞা ঈশিতা। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর বন্ধু শাহরিয়ার। দুজনের সে কী আনন্দ! ইন্টারভিউয়ের প্রাথমিক বাধা পার করে ফেলেছেন ঈশিতা।
এখন পরবর্তী ধাপের জন্য ডেকেছেন চাকরিদাতারা। আইইউবিতে ১৯-২০ নভেম্বর এমন আনন্দময় ঘটনার যেন শেষ ছিল না। পাঠক, বলছিলাম বিডি জবস আয়োজিত ক্যাম্পাস জব ফেয়ারের কথা। মোট ২৩টি প্রতিষ্ঠান এসেছিল এই মেলায়। দুই দিনব্যাপী এই চাকরির মেলায় প্রথম দিন ছিল সিভি জমা দেওয়ার সুযোগ। আর দ্বিতীয় দিন প্রায় এক হাজার ২০০ সিভি থেকে বাছাই করা চাকরিপ্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য স্নাতক শাহেলা দেওয়ান ডাক পেয়েছিলেন দুটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য। একটির ইন্টারভিউ দিয়ে অন্যটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই ফাঁকে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। প্রথমেই বললেন, ‘এই ফেয়ারের সবচেয়ে ভালো দিক আমার কাছে হলো যে এর কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রতা নেই। গতকাল সিভি জমা দিয়েছি, আজ ইন্টারভিউ।’ আইইউবির বিবিএ চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তালহা হাওলাদার ডাক পেয়েছেন খণ্ডকালীন চাকরির জন্য। তাঁর ভাষায়, ‘চাকরি যে পেতেই হবে তার চেয়েও আমার বড় লক্ষ্য হলো এই বয়সেই চাকরির ইন্টারভিউ ফেস করা। আজ একটা ইন্টারভিউ দিয়েই আমার মনে হচ্ছে, সামনে যত বড় ইন্টারভিউই হোক না কেন, নার্ভাসনেস কাজ করবে না।’
এ তো গেল চাকরিপ্রার্থীদের কথা, এবার একটু শোনা যাক চাকরিদাতাদের কথা। এই জব ফেয়ারে স্পেলন্ডর আইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুল আলম খান তাঁর প্রতিষ্ঠানের হয়ে ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন। তিনি জানালেন,‘এ ধরনের জব ফেয়ারে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো একেবারে কাছ থেকে যাচাই-বাছাই করে ট্যালেন্টদের খুঁজে বের করা। একাডেমিকভাবে একজন চাকরিপ্রার্থীর সিজিপিএ হয়তো একটু কম, কিন্তু অন্য বিভিন্ন দিক থেকে সেই প্রার্থী হয়তো বা সত্যিকার অর্থেই মেধাবী, এখন শুধু সিভি দেখে যাচাই করলে যোগ্য কর্মী নিয়োগে বিভ্রান্ত হতে পারেন চাকরিদাতারা। কিন্তু জব ফেয়ারে এই বিভ্রান্তি দূর হয়। কারণ, সেখানে চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে একটা সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা সম্ভব।
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) হাসান সাইমুম ওয়াহাব জানালেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাকরি নিয়ে যেসব ভয়-ভীতি কাজ করে, সেসব দূর করতে এ ধরনের চাকরির মেলা অনেক সহায়ক।’
এই মেলার আয়োজক বিডি জবসের ইভেন্ট ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলী ফিরোজ বলেন, ‘আমরা এই একই ধরনের আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, ইস্ট ওয়েস্ট, আহসানউল্লাহ, ইউল্যাব— এই ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে যাচ্ছি অচিরেই। সেখানে আরও বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে আশা করছি।’
অতএব শিক্ষার্থী বন্ধুরা, একটু চোখ-কান খোলা রাখুন, বলা তো যায় না, চাকরিটা হয়তো বা আপনাকেই খুঁজছে।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য স্নাতক শাহেলা দেওয়ান ডাক পেয়েছিলেন দুটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য। একটির ইন্টারভিউ দিয়ে অন্যটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই ফাঁকে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। প্রথমেই বললেন, ‘এই ফেয়ারের সবচেয়ে ভালো দিক আমার কাছে হলো যে এর কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রতা নেই। গতকাল সিভি জমা দিয়েছি, আজ ইন্টারভিউ।’ আইইউবির বিবিএ চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তালহা হাওলাদার ডাক পেয়েছেন খণ্ডকালীন চাকরির জন্য। তাঁর ভাষায়, ‘চাকরি যে পেতেই হবে তার চেয়েও আমার বড় লক্ষ্য হলো এই বয়সেই চাকরির ইন্টারভিউ ফেস করা। আজ একটা ইন্টারভিউ দিয়েই আমার মনে হচ্ছে, সামনে যত বড় ইন্টারভিউই হোক না কেন, নার্ভাসনেস কাজ করবে না।’
এ তো গেল চাকরিপ্রার্থীদের কথা, এবার একটু শোনা যাক চাকরিদাতাদের কথা। এই জব ফেয়ারে স্পেলন্ডর আইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুল আলম খান তাঁর প্রতিষ্ঠানের হয়ে ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন। তিনি জানালেন,‘এ ধরনের জব ফেয়ারে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো একেবারে কাছ থেকে যাচাই-বাছাই করে ট্যালেন্টদের খুঁজে বের করা। একাডেমিকভাবে একজন চাকরিপ্রার্থীর সিজিপিএ হয়তো একটু কম, কিন্তু অন্য বিভিন্ন দিক থেকে সেই প্রার্থী হয়তো বা সত্যিকার অর্থেই মেধাবী, এখন শুধু সিভি দেখে যাচাই করলে যোগ্য কর্মী নিয়োগে বিভ্রান্ত হতে পারেন চাকরিদাতারা। কিন্তু জব ফেয়ারে এই বিভ্রান্তি দূর হয়। কারণ, সেখানে চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে একটা সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা সম্ভব।
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) হাসান সাইমুম ওয়াহাব জানালেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাকরি নিয়ে যেসব ভয়-ভীতি কাজ করে, সেসব দূর করতে এ ধরনের চাকরির মেলা অনেক সহায়ক।’
এই মেলার আয়োজক বিডি জবসের ইভেন্ট ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলী ফিরোজ বলেন, ‘আমরা এই একই ধরনের আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, ইস্ট ওয়েস্ট, আহসানউল্লাহ, ইউল্যাব— এই ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে যাচ্ছি অচিরেই। সেখানে আরও বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে আশা করছি।’
অতএব শিক্ষার্থী বন্ধুরা, একটু চোখ-কান খোলা রাখুন, বলা তো যায় না, চাকরিটা হয়তো বা আপনাকেই খুঁজছে।
No comments