মুরসির বিরুদ্ধে মিসরজুড়ে বিক্ষোভ সংঘর্ষ
মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ হয়েছে। রাজধানীর কেন্দ্রস্থল তাহরির স্কয়ারের কাছে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ঘোষিত বিতর্কিত ডিক্রি (আদেশ) প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাহরির স্কয়ারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
আহমেদ ফাহমি (৩৪) নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘মুরসি তাঁর ঘোষণা বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা তাহরির স্কয়ারে অবস্থান করব।’
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি আদেশ জারি করেন মুরসি। ওই আদেশের বলে প্রেসিডেন্টের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না; এমনকি দেশের বিচার বিভাগও প্রেসিডেন্ট গৃহীত কোনো পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। এই আদেশকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ‘কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা’ বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তাঁরা আবার ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন বিচারকেরা। এ অবস্থায় গত সোমবার বিচারকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মুরসি।
বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইয়াসির আলী সাংবাদিকদের বলেন, সাংবিধানিক যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বিচারকদের একটি বিষয় স্পষ্ট করেছেন, আর তা হলো, কেবল সার্বভৌম ক্ষমতার ক্ষেত্রে আদেশ প্রয়োগ করা হবে। তিনি জানান, সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) এক বিবৃতিতে বিচারকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ বলে দাবি করেছে।
তবে বিচারকেরা বলেছেন, সংকট এখনো কাটেনি। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত বিচারক আবদুল রহমান বাহলুল দেশটির নিরপেক্ষ দৈনিক আল-মাসরি আল ইয়ুমকে বলেন, বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। আরেক বিচারক আহমেদ আবদুল রহমান বলেন, বিচারকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সংকট নিরসন হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
সার্বভৌম ক্ষমতার দায়মুক্তি সীমিত করা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও বিচারকদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিচারকদের একটি সূত্র বলেছে, এই ক্ষমতা সীমিত করা হলেও প্রেসিডেন্টের ঘোষণা করা আদেশের পরিবর্তন নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
মুরসির আদেশ জারির প্রতিবাদে কিছু আদালতে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। বিচারকদের এই পদক্ষেপের প্রতি নীতিগত সমর্থন জানিয়েছেন সাংবাদিকেরাও। গতকাল আন্দোলনকারীদের হাতে বিভিন্ন দাবিসংবলিত ব্যানার ছিল। একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বিপ্লব চুরি করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট জনগণকে অসহযোগ আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।’ এএফপি
আহমেদ ফাহমি (৩৪) নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘মুরসি তাঁর ঘোষণা বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা তাহরির স্কয়ারে অবস্থান করব।’
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার একটি আদেশ জারি করেন মুরসি। ওই আদেশের বলে প্রেসিডেন্টের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না; এমনকি দেশের বিচার বিভাগও প্রেসিডেন্ট গৃহীত কোনো পদক্ষেপের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। এই আদেশকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ‘কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা’ বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তাঁরা আবার ঐতিহাসিক তাহরির স্কয়ারকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন বিচারকেরা। এ অবস্থায় গত সোমবার বিচারকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মুরসি।
বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইয়াসির আলী সাংবাদিকদের বলেন, সাংবিধানিক যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট বিচারকদের একটি বিষয় স্পষ্ট করেছেন, আর তা হলো, কেবল সার্বভৌম ক্ষমতার ক্ষেত্রে আদেশ প্রয়োগ করা হবে। তিনি জানান, সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) এক বিবৃতিতে বিচারকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বৈঠককে ‘ফলপ্রসূ’ বলে দাবি করেছে।
তবে বিচারকেরা বলেছেন, সংকট এখনো কাটেনি। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত বিচারক আবদুল রহমান বাহলুল দেশটির নিরপেক্ষ দৈনিক আল-মাসরি আল ইয়ুমকে বলেন, বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। আরেক বিচারক আহমেদ আবদুল রহমান বলেন, বিচারকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সংকট নিরসন হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
সার্বভৌম ক্ষমতার দায়মুক্তি সীমিত করা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ও বিচারকদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিচারকদের একটি সূত্র বলেছে, এই ক্ষমতা সীমিত করা হলেও প্রেসিডেন্টের ঘোষণা করা আদেশের পরিবর্তন নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
মুরসির আদেশ জারির প্রতিবাদে কিছু আদালতে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। বিচারকদের এই পদক্ষেপের প্রতি নীতিগত সমর্থন জানিয়েছেন সাংবাদিকেরাও। গতকাল আন্দোলনকারীদের হাতে বিভিন্ন দাবিসংবলিত ব্যানার ছিল। একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বিপ্লব চুরি করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট জনগণকে অসহযোগ আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।’ এএফপি
No comments