বেআইনি মহাজনি ব্যবসা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন- সুদের হার ৫২১ শতাংশ!
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ-ব্যবস্থা যখন সারা বিশ্বের মনোযোগ কাড়ছে এবং তা গ্রহণ করে অনেকেই ভাগ্য বদল করেছেন, তখন বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে উচ্চ সুদে মহাজনি কারবার চালু থাকার বিষয়টি আমাদের উদ্বিগ্ন করে বৈকি।
মঙ্গলবার প্রথম আলোয় রাজশাহী প্রতিনিধির পাঠানো খবরে জানা যায়, রাজশাহী শহরে মহাজনেরা ১০০ টাকায় সাত দিনে সুদ নেন ১০ টাকা; যাতে বার্ষিক সুদের হার দাঁড়ায় ৫২১ টাকা। মহাজনেরা এ জন্য গাঁটের পয়সাও বিনিয়োগ করছেন না। তাঁরা বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে পরিচিত দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করছেন। আবার মহাজনি ঋণগ্রহীতারা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে এই মহাজনেরাই তাঁদের বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। মহাজনি ঋণের সুদের হার থেকে এসব সংস্থার সুদের হার অনেক কম। ফলে একদিকে গ্রহীতারা কঠিন ঋণচক্রে বাঁধা পড়ছেন, অন্যদিকে মহাজনেরা মোটা অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এ ঘটনায় ক্ষুদ্রঋণ-ব্যবস্থার বেশ কিছু দুর্বলতা প্রতিভাত হচ্ছে। প্রথমত, এত উদ্যোগ আয়োজনের পরও দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একাংশ এখনো ক্ষুদ্রঋণ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। দ্বিতীয়ত, গরিবের জন্য বরাদ্দ ঋণ যদি মহাজনেরা হাতিয়ে নিয়ে সুদের কারবার করে থাকেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার ক্ষুদ্রঋণের পরিধি বাড়িয়েছে।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রীর বর্ধিত পরিধির বাইরেও বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষ রয়ে গেছেন, যাঁরা ক্ষুদ্রঋণ-সুবিধা পাচ্ছেন না। প্রায় সব ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা গ্রামাঞ্চলে কার্যক্রম চালানোয় শহরের দরিদ্ররা নিরুপায় হয়ে মহাজনদের কাছে ধরনা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ অবস্থায় রাজশাহীতে ৫২১ শতাংশ সুদে মহাজনি ঋণের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার। যাঁরা এই বেআইনি সুদের কারবার করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বেআইনি মহাজনি ব্যবসা চলতে পারে না। মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার সম্প্রতি যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। বেআইনি মহাজনি সুদের কারবার বন্ধেও যে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ ঘটনায় ক্ষুদ্রঋণ-ব্যবস্থার বেশ কিছু দুর্বলতা প্রতিভাত হচ্ছে। প্রথমত, এত উদ্যোগ আয়োজনের পরও দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একাংশ এখনো ক্ষুদ্রঋণ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। দ্বিতীয়ত, গরিবের জন্য বরাদ্দ ঋণ যদি মহাজনেরা হাতিয়ে নিয়ে সুদের কারবার করে থাকেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার ক্ষুদ্রঋণের পরিধি বাড়িয়েছে।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রীর বর্ধিত পরিধির বাইরেও বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষ রয়ে গেছেন, যাঁরা ক্ষুদ্রঋণ-সুবিধা পাচ্ছেন না। প্রায় সব ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা গ্রামাঞ্চলে কার্যক্রম চালানোয় শহরের দরিদ্ররা নিরুপায় হয়ে মহাজনদের কাছে ধরনা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ অবস্থায় রাজশাহীতে ৫২১ শতাংশ সুদে মহাজনি ঋণের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার। যাঁরা এই বেআইনি সুদের কারবার করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বেআইনি মহাজনি ব্যবসা চলতে পারে না। মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার সম্প্রতি যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। বেআইনি মহাজনি সুদের কারবার বন্ধেও যে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
No comments