পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব-* এহসানকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা -* তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান ও লস্কর-ই-জাংভির মতো জঙ্গি সংগঠনও ক্ষমার আওতায় পড়বে
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ত্যাগ করলে নিষিদ্ধ ঘোষিত সব ধরনের সংগঠনকে সাধারণ ক্ষমা করা হবে। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও লস্কর-ই-জাংভির মতো জঙ্গি সংগঠনও এ ক্ষমার আওতায় পড়বে।
যারা এ সুযোগ নেবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া টিটিপির মুখপাত্র এহসানুল্লাহ এহসানকে ধরিয়ে দিতে তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে ২০ কোটি রুপি পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মালিক গতকাল মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন। গত সোমবার নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তিনি। টিটিপি ইতিমধ্যেই ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত রবিবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পাকিস্তানজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় সরকার। এর মধ্যেও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দেরা ইসমাইল খান শহরে আশুরার মিছিলে বোমা হামলা করা হয়। সোমবার ইসলামাবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মালিক। পরে সংবাদ সম্মেলনে মালিক বলেন, 'নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো যদি সরকারকে সহযোগিতা করে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ত্যাগ করে, তবে কালো তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে।' তিনি টিটিপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
টিটিপি নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদকে উদ্দেশ করে বলেন, হাকিমুল্লাহ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকুন আর অসুস্থ থাকুন, এখনই সময় তাঁর পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং পাকিস্তানবিরোধী শক্তিগুলোর সঙ্গে মিত্রতা বন্ধ করার। নিরীহ লোকজনকে হত্যা বন্ধ করে মেহসুদের সামনে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের সুযোগ এসেছে। মালিক বলেন, 'হাকিমুল্লাহ, আপনি বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকবেন না। যদি নিরীহ লোকজন হত্যা বন্ধ করেন তবে আজ আমি আপনার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছি। যে শত্রুদের হয়ে আপনি কাজ করছেন একদিন তারাই আপনাকে হত্যা করবে।' মালিক জানান, টিটিপি কাদের স্বার্থে কাজ করছে সেসব সরকারের নখদর্পনে আছে। 'আমরা জানি তারা কারা? আমরা জানি বেনজির ভুট্টোকে হত্যাকারীরা আপনাকে ব্যবহার করছে।'
মালিক আরো জানান, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। আর তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
মালিক জানান, সম্প্রতি মহররমের মিছিলে সহিংসতার ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-জাংভি সংগঠন জড়িত বলে সরকারের কাছে প্রমাণ আছে। মালিক গতকাল সাংবাদিকদের জানান, টিটিপির মুখপাত্র এহসানের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে ২০ কোটি রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে। এহসান পাকিস্তানের বিদেশি শত্রুদের হয়ে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর ব্যাপারে সরকার শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে বলেও অঙ্গীকার করেন মালিক।
এদিকে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেরা ইসমাইল খান ও রাওয়ালপিন্ডিতে বোমা হামলার ঘটনার সমন্বিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই হামলাকে তিনি গোষ্ঠীগত শান্তি ও সংহতিকে নস্যাৎ করার চেষ্টা বলে অভিহিত করেন। সূত্র : ডন।
এ ছাড়া টিটিপির মুখপাত্র এহসানুল্লাহ এহসানকে ধরিয়ে দিতে তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে ২০ কোটি রুপি পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মালিক গতকাল মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন। গত সোমবার নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তিনি। টিটিপি ইতিমধ্যেই ওই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত রবিবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পাকিস্তানজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয় সরকার। এর মধ্যেও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দেরা ইসমাইল খান শহরে আশুরার মিছিলে বোমা হামলা করা হয়। সোমবার ইসলামাবাদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মালিক। পরে সংবাদ সম্মেলনে মালিক বলেন, 'নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো যদি সরকারকে সহযোগিতা করে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ত্যাগ করে, তবে কালো তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে।' তিনি টিটিপিসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
টিটিপি নেতা হাকিমুল্লাহ মেহসুদকে উদ্দেশ করে বলেন, হাকিমুল্লাহ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকুন আর অসুস্থ থাকুন, এখনই সময় তাঁর পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং পাকিস্তানবিরোধী শক্তিগুলোর সঙ্গে মিত্রতা বন্ধ করার। নিরীহ লোকজনকে হত্যা বন্ধ করে মেহসুদের সামনে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের সুযোগ এসেছে। মালিক বলেন, 'হাকিমুল্লাহ, আপনি বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকবেন না। যদি নিরীহ লোকজন হত্যা বন্ধ করেন তবে আজ আমি আপনার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছি। যে শত্রুদের হয়ে আপনি কাজ করছেন একদিন তারাই আপনাকে হত্যা করবে।' মালিক জানান, টিটিপি কাদের স্বার্থে কাজ করছে সেসব সরকারের নখদর্পনে আছে। 'আমরা জানি তারা কারা? আমরা জানি বেনজির ভুট্টোকে হত্যাকারীরা আপনাকে ব্যবহার করছে।'
মালিক আরো জানান, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে। আর তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
মালিক জানান, সম্প্রতি মহররমের মিছিলে সহিংসতার ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-জাংভি সংগঠন জড়িত বলে সরকারের কাছে প্রমাণ আছে। মালিক গতকাল সাংবাদিকদের জানান, টিটিপির মুখপাত্র এহসানের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে ২০ কোটি রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে। এহসান পাকিস্তানের বিদেশি শত্রুদের হয়ে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর ব্যাপারে সরকার শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে বলেও অঙ্গীকার করেন মালিক।
এদিকে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেরা ইসমাইল খান ও রাওয়ালপিন্ডিতে বোমা হামলার ঘটনার সমন্বিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই হামলাকে তিনি গোষ্ঠীগত শান্তি ও সংহতিকে নস্যাৎ করার চেষ্টা বলে অভিহিত করেন। সূত্র : ডন।
No comments