আরাফাতের দেহাবশেষ উত্তোলন, নমুনা সংগ্রহ-* নমুনা পরীক্ষার ফল পেতে কয়েক মাস লাগবে -* মৃত্যুর কারণ নিয়ে সৃষ্ট রহস্যের জট খোলার আশা
ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের দেহাবশেষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সমাহিত করার আট বছর পর রামাল্লার মুকাতা প্রেসিডেন্ট ভবন চত্বরে অবস্থিত তাঁর কবর থেকে এ নমুনা সংগ্রহ করেন ফরাসি, সুইস ও রুশ তদন্তকারীরা।
'পলোনিয়াম-২১০' নামের তেজস্ক্রিয় উপাদানে ফিলিস্তিনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আরাফাতের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। ফ্রান্সের একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর মারা যান আরাফাত (৭৫)। ধারণা করা হচ্ছে, পরীক্ষার ফল পেতে কয়েক মাস সময় লাগবে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে আরাফাতের দেহাবশেষের নমুনা সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণ জনগণের সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল না। সংবাদকর্মীদেরও কাছে যেতে দেওয়া হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, 'স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় কবর থেকে দেহাবশেষ তোলার কাজ শুরু হয়। কবর থেকে দেহাবশেষের নমুনা সংগ্রহের পর তা পাশের একটি মসজিদে নেওয়া হয়।' তিনি জানান, দেহাবশেষ তোলার পর পুনরায় তা সামরিক মর্যাদায় দাফন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে পরে ওই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। কারণ, দেহাবশেষের সব অংশ করব থেকে তোলা হয়নি। মসজিদ থেকে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা নমুনা তিন দেশের তদন্তকারীদের দেন। ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের ছাড়া অন্য কাউকে সরাসরি দেহাবশেষ ধরতে দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরাফাতের মৃত্যুর সঠিক কারণ পরিষ্কার না হওয়ায় তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। অধিকাংশ ফিলিস্তিনির ধারণা, আরাফাতকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে ইসরায়েল। চলতি বছরের ৩ জুলাই কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে তাঁর মৃত্যু পলোনিয়ামে হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। এতে আরাফাতের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়। এ অবস্থায় তাঁর স্ত্রী সুহার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফান্সের একটি আদালত এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে আরাফাতের দেহাবশেষের নমুনা সংগ্রহ করা হলো। তদন্তে জড়িত তিন দেশ আলাদা আলাদাভাবে নমুনা পরীক্ষা করে দেখবে।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, 'স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় কবর থেকে দেহাবশেষ তোলার কাজ শুরু হয়। কবর থেকে দেহাবশেষের নমুনা সংগ্রহের পর তা পাশের একটি মসজিদে নেওয়া হয়।' তিনি জানান, দেহাবশেষ তোলার পর পুনরায় তা সামরিক মর্যাদায় দাফন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে পরে ওই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। কারণ, দেহাবশেষের সব অংশ করব থেকে তোলা হয়নি। মসজিদ থেকে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা নমুনা তিন দেশের তদন্তকারীদের দেন। ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের ছাড়া অন্য কাউকে সরাসরি দেহাবশেষ ধরতে দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরাফাতের মৃত্যুর সঠিক কারণ পরিষ্কার না হওয়ায় তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। অধিকাংশ ফিলিস্তিনির ধারণা, আরাফাতকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে ইসরায়েল। চলতি বছরের ৩ জুলাই কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে তাঁর মৃত্যু পলোনিয়ামে হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। এতে আরাফাতের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়। এ অবস্থায় তাঁর স্ত্রী সুহার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফান্সের একটি আদালত এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে আরাফাতের দেহাবশেষের নমুনা সংগ্রহ করা হলো। তদন্তে জড়িত তিন দেশ আলাদা আলাদাভাবে নমুনা পরীক্ষা করে দেখবে।
No comments