পেশা-পরামর্শ- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
এ বিভাগে পেশাসংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন পাঠাতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা সেসবের উত্তর দেবেন। চিঠি পাঠানোর ঠিকানা: পেশা-পরামর্শ, কাজের খবর, প্রথম আলো, ১০০ কাজী নজরুলইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
এ ছাড়া ই-মেইল পাঠাতে পারেন kajer_khabor@prothom-alo.info ঠিকানায়। আরও পেশা-পরামর্শ পাবেন প্রথম আলো জবসের ওয়েবসাইটে (www.prothom-alojobs.com)
প্রশ্ন: আমি এইচএসসি পাস করেছি। আমার খুব ইচ্ছা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বস্ত্র প্রকৌশল বিষয়ে পড়ব। আমাদের দেশে এর ভবিষ্যৎ কেমন?
দিদারুল ইসলাম
উত্তর: এটা একটা সুচিন্তিত ইচ্ছা। এখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা এখন সম্মানিত পেশা হিসেবে চিহ্নিত।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিক দিয়ে বস্ত্র খাত সবচেয়ে বড়। রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ উপার্জিত হয় এ খাত থেকে। বর্তমানে এক হাজার ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার উপার্জন হয় এ খাত থেকে। ২০২০ সালের মধ্যে এখান থেকে রপ্তানি আয় হবে চার হাজার ২০০ কোটি ডলার। অথচ ওই পরিমাণ উৎপাদনের জন্য শিল্প আমাদের নেই। তাই স্পষ্ট বোঝা যায়, আপাতত সমস্যা থাকলেও অচিরেই উৎপাদনক্ষমতা তিন গুণ বাড়াতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন দক্ষ অনেক বস্ত্র প্রকৌশলীর।
ওয়েট প্রসেসিং ও ফেব্রিক ছাড়াও স্পিনিং এবং গার্মেন্ট খাতে বস্ত্র প্রকৌশলীর চাহিদা রয়েছে। মার্চেন্ডাইজার হিসেবেও তাঁদের চাহিদা রয়েছে। ব্যাংকগুলোয়ও বস্ত্র প্রকৌশলীরা কর্মরত আছেন। এ সবকিছুই মানসম্মত পেশা। বলা প্রয়োজন, কেবল ডিগ্রি হলেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যাবে না। সে জন্য উন্নততর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে হবে। বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিক্ষার আদি বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বস্ত্র প্রকৌশল বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পদার্থ, রসায়ন ও গণিত থাকতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস, শিক্ষক, স্থায়ী ক্যাম্পাস ইত্যাদি দেখে ভর্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়গুলোয় ভালো পড়ানো হয় ব্রিটেন, জার্মানি, সুইডেন ও ইতালিতে। এখন চীনেও অনেকে যাচ্ছেন এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য। জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সুযোগ আছে। আর ভর্তি ও বৃত্তির খবরগুলো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
অধ্যাপক সৈয়দ ফখরুল হাসান মুরাদ
ডিন, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি
ঢাকা।
প্রশ্ন: আমি এইচএসসি পাস করেছি। আমার খুব ইচ্ছা, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বস্ত্র প্রকৌশল বিষয়ে পড়ব। আমাদের দেশে এর ভবিষ্যৎ কেমন?
দিদারুল ইসলাম
উত্তর: এটা একটা সুচিন্তিত ইচ্ছা। এখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটা এখন সম্মানিত পেশা হিসেবে চিহ্নিত।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিক দিয়ে বস্ত্র খাত সবচেয়ে বড়। রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশ উপার্জিত হয় এ খাত থেকে। বর্তমানে এক হাজার ২৫০ কোটি মার্কিন ডলার উপার্জন হয় এ খাত থেকে। ২০২০ সালের মধ্যে এখান থেকে রপ্তানি আয় হবে চার হাজার ২০০ কোটি ডলার। অথচ ওই পরিমাণ উৎপাদনের জন্য শিল্প আমাদের নেই। তাই স্পষ্ট বোঝা যায়, আপাতত সমস্যা থাকলেও অচিরেই উৎপাদনক্ষমতা তিন গুণ বাড়াতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন দক্ষ অনেক বস্ত্র প্রকৌশলীর।
ওয়েট প্রসেসিং ও ফেব্রিক ছাড়াও স্পিনিং এবং গার্মেন্ট খাতে বস্ত্র প্রকৌশলীর চাহিদা রয়েছে। মার্চেন্ডাইজার হিসেবেও তাঁদের চাহিদা রয়েছে। ব্যাংকগুলোয়ও বস্ত্র প্রকৌশলীরা কর্মরত আছেন। এ সবকিছুই মানসম্মত পেশা। বলা প্রয়োজন, কেবল ডিগ্রি হলেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যাবে না। সে জন্য উন্নততর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে হবে। বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিক্ষার আদি বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়া কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বস্ত্র প্রকৌশল বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে হলে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পদার্থ, রসায়ন ও গণিত থাকতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস, শিক্ষক, স্থায়ী ক্যাম্পাস ইত্যাদি দেখে ভর্তি হওয়া উচিত। এ বিষয়গুলোয় ভালো পড়ানো হয় ব্রিটেন, জার্মানি, সুইডেন ও ইতালিতে। এখন চীনেও অনেকে যাচ্ছেন এই বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য। জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সুযোগ আছে। আর ভর্তি ও বৃত্তির খবরগুলো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
অধ্যাপক সৈয়দ ফখরুল হাসান মুরাদ
ডিন, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি
ঢাকা।
No comments