ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানেই শান্তি নিহিত by হারলেম ব্রান্ডল্যান্ড জিমি কার্টার
সম্প্রতি ইসরায়েলে পরিচালিত রকেট হামলা ও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে বিরাজমান পরিস্থিতি ইসরায়েল বা ফিলিস্তিন কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনাও তেমন নেই বললেই চলে। বর্তমান পরিস্থিতির মোড় ঘোরানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়বে।
আমরা প্রবীণরা মনে করি, জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির উদ্যোগের মুহূর্তটি সে ধরনের একটি সুযোগ। ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে 'অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র মর্যাদা'দানের ওপর ভোটাভুটি হবে। এতে ফিলিস্তিনের সত্তার পর্যায় থেকে মর্যাদা উচ্চমাত্রায় লক্ষণীয়ভাবে উন্নীত হবে। আমরা এর পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে গিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নিশ্চয়ই কোনো প্ররোচনামূলক বক্তব্য দেবেন না। তিনি বিশ্বাস বা আস্থা নষ্ট হওয়ার মতো কিছু করা থেকে যেমন বিরত থাকবেন, তেমনি প্রত্যাশা অনুযায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা থেকে সরে আসবেন না।
এই ভোট অবশ্যই আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পক্ষে। টেকসই ও ইসরায়েলের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও বাদবাকি বিশ্বের যে দশকের পর দশক ধরে অঙ্গীকার তার সঙ্গে এটা পুরোপুরি সাযুজ্যপূর্ণ। এটা জাতিসংঘের অতীতে নেওয়া প্রস্তাবগুলো ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি আইনসম্মত, শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক উদ্যোগ। যদিও এটা স্পর্শকাতর ভোট, তবুও অনেক রাষ্ট্র এ সময় হয় অনুপস্থিত থাকতে পারে অথবা বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করতে পারে। আর এই প্রস্তাব যদি ভোটে হেরে যায়, তাহলে দুই রাষ্ট্র তত্ত্বের মৃত্যু হবে এবং তখন আমরা এক রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে ধাবিত হবো। আর এটা হবে একটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং এর ফলে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্যই বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনবে।
এক রাষ্ট্র ফলাফলের পরিণতি কেমন হতে পারে তা আমরা অনুমান করে নিতে পারি। এর একটা অর্থ হতে পারে, ইসরায়েল পুরো পশ্চিম তীর দখল করে ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলিদের সমান ভোটাধিকার প্রদান করবে। তখন তো ইসরায়েলিরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। অথবা এমন হতে পারে যে, ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের সমানাধিকার দিল না। এ ধরনের একটা পরিস্থিতি ফিলিস্তিন বা ইহুদি জনগোষ্ঠী কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না এবং বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের জন্য মর্যাদাকরও হবে না। এতে কোনো পক্ষেরই নিরাপদ নিজ আবাসভূমির স্বপ্ন পূরণ হবে না। বিশেষ করে ইহুদি জনগোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।
অন্যদিকে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র মর্যাদাদানের পক্ষে ভোট দিয়ে একে জয়যুক্ত করলে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এবং এমনকি সাধারণ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরাও সমস্বরে একে স্বাগত জানাবে। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই হলো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার নিশ্চিত পথ। মাস দুই আগে আমরা একত্রে পূর্ব জেরুজালেমের জলপাই পাহাড়ে ওগস্তা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঠে দাঁড়িয়েছিলাম। এই মেডিকেলটি ফিলিস্তিনিদের একটি চমৎকার ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র এবং এটি পশ্চিম তীর থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত। তবে এই হাসপাতালে ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সেবা নিতে হলে ইসরায়েলিদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়।
আমরা হাসপাতালের ওই এলাকা থেকে পশ্চিম তীরজুড়ে ইহুদি বসতি ও ইসরায়েলের স্থাপিত তারের বেড়া দেখতে পেলাম। এখানে-ওখানে উঁচু উঁচু দেয়াল ও সড়ক বসতিগুলোকে ফিলিস্তিনিদের থেকে পৃথক করে রেখেছে। এভাইে আরব-ইসরায়েলিদের মধ্যে পার্থক্য রেখা টানা ক্রমবর্ধমানভাবেই চলছে। পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি বিস্তারের হার হতবুদ্ধিকর। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ৫ লাখের মতো ইহুদি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি গড়ে তুলেছে। ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তি চুক্তি হওয়ার পর এ ধরনের ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আরও হাজার হাজার বসতবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে বা নির্মাণ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। অসলো শান্তি প্রক্রিয়া শুধু স্থবিরই হয়ে পড়েনি, এর পশ্চাৎমুখী যাত্রা দ্রুততর হচ্ছে। প্রতিটি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর আবাস গড়ার জন্য এক একটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ ও ওই বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে হয়েছে। এভাবে ফিলিস্তিনিদের যে ভূখণ্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বা যে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ছিল সেটা এখন আর একই অবস্থায় নেই।
জাতিসংঘ প্রস্তাবের পক্ষে ২৯ নভেম্বর ভোট প্রদান করার মাধ্যমে দুই রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে একটা রক্ষাকবচ তৈরি হতে পারে এবং এর ফলে আলোচনার দরজাও খুলবে। আমরা আরও আশা করি, ফিলিস্তিনের ওপর অর্থনৈতিক শাস্তিমূলক যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেগুলো তুলে নেওয়া হবে এই পদক্ষেপকে ফলপ্রসূ করার স্বার্থেই। কেউ কেউ ভোট বিলম্বিত করার কথা বলেছেন। কিন্তু এতে কোনো সুফল অর্জিত হবে না।
ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরাজমান হতাশা ও ইসরায়েলদের মধ্যে ক্লান্তির যে ছায়া রয়েছে তাকে দূর করতে হলে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে। আমরা জানি, অনেক ইসরায়েলি আমাদের মতো একই মনোভাব পোষণ করেন। তারাও চান দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। এর মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমাদের মতো তারাও মনে করেন। আর এটা ইসরায়েলের মৌলিক স্বার্থের পক্ষেও বটে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, আরব রাষ্ট্রগুলোকে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে কার্যকর করার জন্য একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
লেখকদ্বয় : হারলেম ব্রান্ডল্যান্ড অসলো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং জিমি কার্টার ১৯৭৮ সালে ক্যাম্পডেভিড চুক্তি ও ১৯৭৯ সালে মিসর-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। খালিজ টাইমস থেকে ভাষান্তর সুভাষ সাহা
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে গিয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নিশ্চয়ই কোনো প্ররোচনামূলক বক্তব্য দেবেন না। তিনি বিশ্বাস বা আস্থা নষ্ট হওয়ার মতো কিছু করা থেকে যেমন বিরত থাকবেন, তেমনি প্রত্যাশা অনুযায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা থেকে সরে আসবেন না।
এই ভোট অবশ্যই আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পক্ষে। টেকসই ও ইসরায়েলের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও বাদবাকি বিশ্বের যে দশকের পর দশক ধরে অঙ্গীকার তার সঙ্গে এটা পুরোপুরি সাযুজ্যপূর্ণ। এটা জাতিসংঘের অতীতে নেওয়া প্রস্তাবগুলো ও আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি আইনসম্মত, শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিক উদ্যোগ। যদিও এটা স্পর্শকাতর ভোট, তবুও অনেক রাষ্ট্র এ সময় হয় অনুপস্থিত থাকতে পারে অথবা বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করতে পারে। আর এই প্রস্তাব যদি ভোটে হেরে যায়, তাহলে দুই রাষ্ট্র তত্ত্বের মৃত্যু হবে এবং তখন আমরা এক রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে ধাবিত হবো। আর এটা হবে একটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং এর ফলে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়ের জন্যই বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনবে।
এক রাষ্ট্র ফলাফলের পরিণতি কেমন হতে পারে তা আমরা অনুমান করে নিতে পারি। এর একটা অর্থ হতে পারে, ইসরায়েল পুরো পশ্চিম তীর দখল করে ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলিদের সমান ভোটাধিকার প্রদান করবে। তখন তো ইসরায়েলিরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। অথবা এমন হতে পারে যে, ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের সমানাধিকার দিল না। এ ধরনের একটা পরিস্থিতি ফিলিস্তিন বা ইহুদি জনগোষ্ঠী কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না এবং বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের জন্য মর্যাদাকরও হবে না। এতে কোনো পক্ষেরই নিরাপদ নিজ আবাসভূমির স্বপ্ন পূরণ হবে না। বিশেষ করে ইহুদি জনগোষ্ঠীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না।
অন্যদিকে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র মর্যাদাদানের পক্ষে ভোট দিয়ে একে জয়যুক্ত করলে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এবং এমনকি সাধারণ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরাও সমস্বরে একে স্বাগত জানাবে। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই হলো মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার নিশ্চিত পথ। মাস দুই আগে আমরা একত্রে পূর্ব জেরুজালেমের জলপাই পাহাড়ে ওগস্তা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালের মাঠে দাঁড়িয়েছিলাম। এই মেডিকেলটি ফিলিস্তিনিদের একটি চমৎকার ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র এবং এটি পশ্চিম তীর থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত। তবে এই হাসপাতালে ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সেবা নিতে হলে ইসরায়েলিদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়।
আমরা হাসপাতালের ওই এলাকা থেকে পশ্চিম তীরজুড়ে ইহুদি বসতি ও ইসরায়েলের স্থাপিত তারের বেড়া দেখতে পেলাম। এখানে-ওখানে উঁচু উঁচু দেয়াল ও সড়ক বসতিগুলোকে ফিলিস্তিনিদের থেকে পৃথক করে রেখেছে। এভাইে আরব-ইসরায়েলিদের মধ্যে পার্থক্য রেখা টানা ক্রমবর্ধমানভাবেই চলছে। পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি বিস্তারের হার হতবুদ্ধিকর। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ৫ লাখের মতো ইহুদি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি গড়ে তুলেছে। ১৯৯৩ সালে অসলো শান্তি চুক্তি হওয়ার পর এ ধরনের ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আরও হাজার হাজার বসতবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে বা নির্মাণ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। অসলো শান্তি প্রক্রিয়া শুধু স্থবিরই হয়ে পড়েনি, এর পশ্চাৎমুখী যাত্রা দ্রুততর হচ্ছে। প্রতিটি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর আবাস গড়ার জন্য এক একটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ ও ওই বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিতে হয়েছে। এভাবে ফিলিস্তিনিদের যে ভূখণ্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বা যে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ছিল সেটা এখন আর একই অবস্থায় নেই।
জাতিসংঘ প্রস্তাবের পক্ষে ২৯ নভেম্বর ভোট প্রদান করার মাধ্যমে দুই রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে একটা রক্ষাকবচ তৈরি হতে পারে এবং এর ফলে আলোচনার দরজাও খুলবে। আমরা আরও আশা করি, ফিলিস্তিনের ওপর অর্থনৈতিক শাস্তিমূলক যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেগুলো তুলে নেওয়া হবে এই পদক্ষেপকে ফলপ্রসূ করার স্বার্থেই। কেউ কেউ ভোট বিলম্বিত করার কথা বলেছেন। কিন্তু এতে কোনো সুফল অর্জিত হবে না।
ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরাজমান হতাশা ও ইসরায়েলদের মধ্যে ক্লান্তির যে ছায়া রয়েছে তাকে দূর করতে হলে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে। আমরা জানি, অনেক ইসরায়েলি আমাদের মতো একই মনোভাব পোষণ করেন। তারাও চান দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। এর মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমাদের মতো তারাও মনে করেন। আর এটা ইসরায়েলের মৌলিক স্বার্থের পক্ষেও বটে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, আরব রাষ্ট্রগুলোকে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে কার্যকর করার জন্য একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
লেখকদ্বয় : হারলেম ব্রান্ডল্যান্ড অসলো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং জিমি কার্টার ১৯৭৮ সালে ক্যাম্পডেভিড চুক্তি ও ১৯৭৯ সালে মিসর-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। খালিজ টাইমস থেকে ভাষান্তর সুভাষ সাহা
No comments