টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-সময় নিন, কিন্তু হতাশ করবেন না

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার বিদ্যুৎ-সংকট, প্রধানমন্ত্রী সময় চেয়েছেন: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন।


মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ গতকাল
ছাপা হয়; বাকি অংশ ছাপা হলো আজ।

হামিদ খান
শিক্ষার্থী, কলতাবাজার, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী যে সময় চেয়েছেন তা যথার্থ। তবে আমি মনে করি, তিনি যে নগণ্য বিষয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন, তা না করে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করলে আরও দ্রুত সমাধান পাওয়া সম্ভব হতো।
শাহ্ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম, শিক্ষার্থী, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিলেট
দেশবাসী তো জিম্মি হয়ে সরকারকে সময় দিয়ে যাচ্ছে। সমস্যাটার সমাধান হতে পারে, যদি সরকার সঠিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এখন দেখার বিষয়, তারা আমাদের কাছ থেকে সময় নিয়ে কতটুকু সার্থকতার সঙ্গে এই ডিজিটাল বাংলাদেশে একটু শান্তি এনে দেয়।
মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, সাবেক ফুটবলার, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা
বিদ্যুতের সংকট বর্তমানে জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। এর জন্য দায়ী কে? ক্রিকেটের ভাষায় বলতে হয়, পূর্ববর্তী সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ হয়ে ফলোঅন থেকে মাঠ ত্যাগ করার পর বর্তমান সরকার ফলোঅনের চাপ মাথায় নিয়ে আস্তে আস্তে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেখানে একজন কোচকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়, সেখানে বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় সময় দিতে হবে।
রহিমা আক্তার
লেখক, তেজগাঁও, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী কি ৪৪ মাস সময় নিয়েছেন? এটা পরিষ্কার করা উচিত ছিল। সরকার ক্ষমতায় আসার ১৬ মাস চলছে। বর্তমান বিদ্যুৎ-সংকটের পূর্বাভাস নিশ্চয়ই তারা ক্ষমতায় এসে বুঝেছিল। তখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
মো. শামসুল আলম কাগজী
ব্যবসায়ী, গোসাইরহাট, শরীয়তপুর
গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, দ্রব্যমূল্য, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও নারী নির্যাতন—এসব এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। শুধু বিদ্যুৎ-সমস্যার সমাধানের জন্য দেশবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী সময় চেয়েছেন। কত দিন তা জানি না। তবে ধারণা করছি, তিন-চার বছর হবে।
মোজাম্মেল হক
প্রকৌশলী, গোবিন্দপুর, কুমিল্লা
বিষয়টি সমাধানের জন্য শুধু সরকারের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে জনগণকেও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
আশিক
শিক্ষার্থী, মিরপুর, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী যে সময় চেয়েছেন, এটা ভালো দিক। তবে জনগণকে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং সৌরবিদ্যুৎ সহজলভ্য করতে হবে।
মো. শফিউল আলম
সাবেক বৈমানিক, মিরপুর, ঢাকা
বর্তমান জোট সরকারের বয়স দেড় বছর। রাজনৈতিক বক্তব্যে বারবার পেছনের ব্যর্থতা উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রীর উচিত বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানিবিহীন বিস্ফোরণোন্মুখ পরিস্থিতি উপলব্ধি করা। বিদ্যুৎ-নির্ভর পানি ও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিকীকরণে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। অনতিবিলম্বে সরকারের উচিত ছোট ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভর্তুকিসহ সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করা এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া।
বিকাশ দাস
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত দুটি সরকারের ব্যর্থতার ফসল আজকের সংকটপূর্ণ বিদ্যুৎ খাত। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের এত দিন পর সরকারের এই সময় চাওয়াটা অনেকটা অযৌক্তিক। তা ছাড়া পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র। তাই সরকারের উচিত, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পেছনে ফেলে নতুন কিছু কিছু ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করে এই সমস্যার সমাধান করা।
সুমিত বণিক ও অমিত বণিক
শিক্ষার্থী, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ
বিদ্যুৎ-সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে যে সময় চেয়েছেন, এটা খুবই ইতিবাচক দিক। তবে এটা যেন জনগণের হতাশার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। তাই সময়নিন, কিন্তু আর হতাশকরবেন না।
নজরুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, মাদারটেক, ঢাকা
এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আরও এক বছর সময় দিতে রাজি আছি। তবে যেভাবেই হোক, সংকটের সমাধান করতে হবে।
সৈয়দ রুস্তম আলী, সরকারি কর্মচারী (অব.), মোহাম্মদপুর, ঢাকা
আমি দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি, সিস্টেম লস ও বিদ্যুৎ চুরি অবাধে ঘটে। এটা যদি রোধ করা যায়, তাহলে এর সমাধান সম্ভব বলে আমি মনে করি। সেই সঙ্গে অপচয় বন্ধ করতে হবে।
পলাশ মীর্জা
শিক্ষার্থী, সিরাজগঞ্জ
বর্তমানে বিদ্যুৎ-সমস্যার কারণে মানুষ ভীষণ কষ্ট ভোগ করছে। উৎপাদনকাজ ব্যাহত হচ্ছে। এর জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী সময় চেয়েছেন ভালো। কিন্তু এ সমস্যার সমাধানে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এম রাশেদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, সরকারি এম এস আলী কলেজ, টাঙ্গাইল
সারা দেশে বিদ্যুতের ব্যাপক সংকট। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সবাই এর ভুক্তভোগী। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ-সংকটের সুষ্ঠু সমাধান করবেন। অন্যথায় ভবিষ্যতে এর প্রভাব পড়বে।
শাহীনুল হক চৌধুরী
চাকুরে, দিলকুশা, ঢাকা
আমার ধারণা, প্রধানমন্ত্রী শুধু শুধু সময় নিচ্ছেন। আসলে এর কোনো সমাধান হবে না।
এহ্সানুল বারী
এনজিও কর্মী, মিরপুর, ঢাকা
বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। সরকারের বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। বাজেটে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ প্রাধান্য পাবে। আগামী দুই বছর অন্য খাতে কম অর্থ খরচ করে বিদ্যুৎকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে ছোট ছোট পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনে সম্পদশালী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। সমালোচনা না করে সরকারকে এ মুহূর্তে সহযোগিতা করাই হবে প্রধান কাজ। জনগণকে অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
মাহমুদ রহমান
শিক্ষার্থী, শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রী যে সময় চেয়েছেন, এটা ইতিবাচক। এই সংকটের সমাধান যেন এই সরকারের হাতেই হয়।
কাওসার আহমেদ
চাকুরে, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর
বিদ্যুতের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু বিদ্যুতের এই সমস্যার সমাধানে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা বা সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন নেই। ফলে বিদ্যুতের সমস্যা ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণের দুর্ভোগ উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তাই তিনি সময় চেয়েছেন।
মুহাম্মদ জিন্নাহ ভূঁইয়া
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। অপচয়, গ্যাসের সংকট, সমন্বয়হীনতা ইত্যাদি কারণে বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নাজুক। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সময়ের প্রয়োজন। সরকারের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত। এই সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা মনে করে দলমতনির্বিশেষে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
মো. মুক্তার হোসেন
চাকুরে, কাফরুল, ঢাকা
আমাদের সবাইকে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করতে হবে। এবং আগের বাল্বগুলো আমাদের দেশে নিষিদ্ধ করতে হবে, তাহলে কিছুটা সাশ্রয় হবে।

No comments

Powered by Blogger.