আইন বাস্তবায়নে সরকারকেই তৎপর হতে হবে-তথ্য অধিকার
জাতীয় সংসদে তথ্য অধিকার আইন পাসের পর এক বছর পেরিয়ে গেছে। আইনটি কার্যকর হয়েছে গত বছরের জুলাই থেকে। তিন সদস্যের তথ্য কমিশনও গঠিত হয়েছে আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই। কিন্তু আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উৎসাহ-উদ্দীপনার বেশ অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একেবারে প্রাথমিক কাজ হলো প্রতিটি কর্তৃপক্ষে তথ্য প্রদানের জন্য একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা। এই কাজটি চলছে নিতান্তই মন্থর গতিতে।
প্রথম আলোয় গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, সারা দেশে সক্রিয় আড়াই হাজারের বেশি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মধ্যে মাত্র ৩২টিতে তথ্য ইউনিট চালু করা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আর সরকারি খাতে এ সংখ্যা এক হাজার ৬০০ বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে ৭৯৫ জন তথ্য কর্মকর্তার তালিকা। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের কাজে প্রথমে এগিয়ে আসা উচিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোরই। আইনের তৃতীয় অধ্যায়ের ১০ ধারায় সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে: ‘এই জারির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে এই আইনের বিধান অনুযায়ী তথ্য সরবরাহের নিমিত্ত প্রতিটি কর্তৃপক্ষের প্রত্যেকটি তথ্য প্রদান ইউনিটের জন্য একজন করিয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করিবে।’ বলা বাহুল্য, আইনটির পর ৬০ দিন অর্থাৎ দুই মাস পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। সরকারি খাতে সারা দেশে তথ্য প্রদান ইউনিট গঠন করতে হবে মোট সাত লাখের বেশি। সেখানে এক বছরে হয়েছে মাত্র এক হাজার ৬০০। এই গতিতে চললে সারা দেশের সব সরকারি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগে কত বছর সময় লাগতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
সরকারের এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো এনজিওগুলোকে চিঠি দিয়ে তথ্য প্রদান ইউনিট খুলতে বলেছে, কিন্তু অধিকাংশ এনজিও তাতে সাড়া দেয়নি। তথ্য কমিশনের অন্যতম সদস্য সাদেকা হালিম যথার্থই মন্তব্য করেছেন, যে বেসরকারি সংস্থাগুলো তথ্য অধিকার আইন পাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল, তারাই এখন নিজেদের সংস্থার তথ্য প্রদান ইউনিট খুলছে না। অন্তত ৮০টি এনজিওর উচিত ছিল অনেক আগেই তথ্য প্রদান ইউনিট খোলা, কারণ তারা তথ্য অধিকার আইনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল; এখনো তাদের অনেকেই এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা রকম সভা-সেমিনার করছে।
তথ্যপ্রত্যাশী নাগরিকেরা তথ্য চেয়ে আবেদন করবেন তথ্য প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে। কিন্তু কর্মকর্তা নিয়োগ না হলে তো সেটা করা সম্ভব নয়। সেই অর্থে তথ্য অধিকার আইনের একেবারে গোড়ার ধাপের অতি প্রাথমিক কাজটিই ব্যাপকভাবে অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে। এই শিথিলতা তথ্য অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারের উচিত এ ব্যাপারে বিশেষ তৎপর হওয়া। প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে জরুরি নির্দেশ পাঠানো হোক, তাদের অধীন প্রতিটি কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। এনজিওগুলোর ক্ষেত্রেও একইভাবে তৎপর হতে হবে এনজিও ব্যুরোকে।
প্রথম আলোয় গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, সারা দেশে সক্রিয় আড়াই হাজারের বেশি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মধ্যে মাত্র ৩২টিতে তথ্য ইউনিট চালু করা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। আর সরকারি খাতে এ সংখ্যা এক হাজার ৬০০ বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে ৭৯৫ জন তথ্য কর্মকর্তার তালিকা। তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের কাজে প্রথমে এগিয়ে আসা উচিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোরই। আইনের তৃতীয় অধ্যায়ের ১০ ধারায় সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে: ‘এই জারির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে এই আইনের বিধান অনুযায়ী তথ্য সরবরাহের নিমিত্ত প্রতিটি কর্তৃপক্ষের প্রত্যেকটি তথ্য প্রদান ইউনিটের জন্য একজন করিয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করিবে।’ বলা বাহুল্য, আইনটির পর ৬০ দিন অর্থাৎ দুই মাস পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। সরকারি খাতে সারা দেশে তথ্য প্রদান ইউনিট গঠন করতে হবে মোট সাত লাখের বেশি। সেখানে এক বছরে হয়েছে মাত্র এক হাজার ৬০০। এই গতিতে চললে সারা দেশের সব সরকারি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগে কত বছর সময় লাগতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
সরকারের এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো এনজিওগুলোকে চিঠি দিয়ে তথ্য প্রদান ইউনিট খুলতে বলেছে, কিন্তু অধিকাংশ এনজিও তাতে সাড়া দেয়নি। তথ্য কমিশনের অন্যতম সদস্য সাদেকা হালিম যথার্থই মন্তব্য করেছেন, যে বেসরকারি সংস্থাগুলো তথ্য অধিকার আইন পাসের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল, তারাই এখন নিজেদের সংস্থার তথ্য প্রদান ইউনিট খুলছে না। অন্তত ৮০টি এনজিওর উচিত ছিল অনেক আগেই তথ্য প্রদান ইউনিট খোলা, কারণ তারা তথ্য অধিকার আইনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল; এখনো তাদের অনেকেই এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা রকম সভা-সেমিনার করছে।
তথ্যপ্রত্যাশী নাগরিকেরা তথ্য চেয়ে আবেদন করবেন তথ্য প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে। কিন্তু কর্মকর্তা নিয়োগ না হলে তো সেটা করা সম্ভব নয়। সেই অর্থে তথ্য অধিকার আইনের একেবারে গোড়ার ধাপের অতি প্রাথমিক কাজটিই ব্যাপকভাবে অনিষ্পন্ন রয়ে গেছে। এই শিথিলতা তথ্য অধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারের উচিত এ ব্যাপারে বিশেষ তৎপর হওয়া। প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে জরুরি নির্দেশ পাঠানো হোক, তাদের অধীন প্রতিটি কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে তথ্য প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। এনজিওগুলোর ক্ষেত্রেও একইভাবে তৎপর হতে হবে এনজিও ব্যুরোকে।
No comments