রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে-চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর পরিস্থিতি
গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম ডক বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে আট ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টার আরেকটি ধর্মঘটের হুমকি রয়েছে। খবরটি সাধারণভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো। কিন্তু আরও বেশি উদ্বিগ্ন হতে হয়, যখন জানা যায় যে এই জোটটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা ও চট্টগ্রামের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমর্থনপুষ্ট।
দেশ চালাতে গিয়ে সরকার নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ মুহূর্তে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকট তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে বন্দরে শ্রমিক-অসন্তোষ সৃষ্টিতে যদি ক্ষমতাসীন দলের একজন মূল নেতার হাত থাকে, তাহলে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই তো প্রশ্ন ওঠার কথা।
বলা চলে যে সাম্প্রতিক শ্রমিক-অসন্তোষ কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। আগে বন্দরে শ্রমিক নিয়োগ দিত সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই বোর্ড বিলুপ্ত করে শ্রমিক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারি খাতের ওপর। এতে সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়। সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন খাতে সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বন্দরের এই সংস্কার বিভিন্ন মহল সমর্থন করে। যে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল, তাঁরা তাঁদের পাওনা বুঝে নিয়ে গ্রামে চলে যান। কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ-সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলোর জোট আন্দোলন শুরু করে। মেয়র মহোদয়ের সমর্থন থাকায় তা গতি অর্জন করে এবং একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ আগে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের মধ্যে দুই হাজার ৬০০ জনকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে বোর্ড নেই। তাহলে চাকরি দেবে কে? যদি বেসরকারি বার্থ অপারেটরদের বাড়তি শ্রমিক নিয়োগে বাধ্য করা হয়, তাহলে উৎপাদনশীলতা কমবে। বেসরকারি খাতের ওপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করার নৈতিক অধিকার সরকারের আছে কি? নৌপরিবহনমন্ত্রী বলছেন, তাঁরা বার্থ অপারেটর ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে সমঝোতা-বৈঠক করে অন্তত কিছু বাড়তি শ্রমিক নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এতে সাময়িক সমাধান হলেও বন্দর সচল রাখার নিশ্চয়তা থাকবে না। একবার নিয়মবহির্ভূত সুবিধা কিছু শ্রমিককে দিলে কর্তৃপক্ষ অন্যদের মুখ বন্ধ করবে কীভাবে?
বন্দরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিক প্রতিপালনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ, রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ থাকলে প্রয়োজনে এখান থেকে এক ডাকে অন্তত দুই-আড়াই হাজার শ্রমিক জড়ো করা যায়। এ ব্যাপারে সরকারকে এখনই সতর্ক হতে হবে। রাজনৈতিক সংকীর্ণ স্বার্থের যূপকাষ্ঠে দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া যায় না।
চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টন পণ্য ওঠানো-নামানো হয়। দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯০ শতাংশ চলে এই বন্দরের মাধ্যমে। অর্থনীতির মূল ধমনি এই বন্দর এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ থাকতে দেওয়া যায় না। বিশ্বের কোনো দেশে বন্দর জিম্মি রেখে আন্দোলনের উদাহরণ নেই। চট্টগ্রাম বন্দরকে ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ দরকার। বন্দর শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি ও বন্দর ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার মাধ্যমে সরকার এ লক্ষ্যে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। সর্বাগ্রে দেখা দরকার, যেন আগামী সপ্তাহের ধর্মঘটের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
বলা চলে যে সাম্প্রতিক শ্রমিক-অসন্তোষ কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। আগে বন্দরে শ্রমিক নিয়োগ দিত সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই বোর্ড বিলুপ্ত করে শ্রমিক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারি খাতের ওপর। এতে সার্বিক ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়। সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন খাতে সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বন্দরের এই সংস্কার বিভিন্ন মহল সমর্থন করে। যে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল, তাঁরা তাঁদের পাওনা বুঝে নিয়ে গ্রামে চলে যান। কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ-সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনগুলোর জোট আন্দোলন শুরু করে। মেয়র মহোদয়ের সমর্থন থাকায় তা গতি অর্জন করে এবং একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ আগে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের মধ্যে দুই হাজার ৬০০ জনকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে বোর্ড নেই। তাহলে চাকরি দেবে কে? যদি বেসরকারি বার্থ অপারেটরদের বাড়তি শ্রমিক নিয়োগে বাধ্য করা হয়, তাহলে উৎপাদনশীলতা কমবে। বেসরকারি খাতের ওপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করার নৈতিক অধিকার সরকারের আছে কি? নৌপরিবহনমন্ত্রী বলছেন, তাঁরা বার্থ অপারেটর ও শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে সমঝোতা-বৈঠক করে অন্তত কিছু বাড়তি শ্রমিক নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এতে সাময়িক সমাধান হলেও বন্দর সচল রাখার নিশ্চয়তা থাকবে না। একবার নিয়মবহির্ভূত সুবিধা কিছু শ্রমিককে দিলে কর্তৃপক্ষ অন্যদের মুখ বন্ধ করবে কীভাবে?
বন্দরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিক প্রতিপালনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। কারণ, রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ থাকলে প্রয়োজনে এখান থেকে এক ডাকে অন্তত দুই-আড়াই হাজার শ্রমিক জড়ো করা যায়। এ ব্যাপারে সরকারকে এখনই সতর্ক হতে হবে। রাজনৈতিক সংকীর্ণ স্বার্থের যূপকাষ্ঠে দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া যায় না।
চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টন পণ্য ওঠানো-নামানো হয়। দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯০ শতাংশ চলে এই বন্দরের মাধ্যমে। অর্থনীতির মূল ধমনি এই বন্দর এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ থাকতে দেওয়া যায় না। বিশ্বের কোনো দেশে বন্দর জিম্মি রেখে আন্দোলনের উদাহরণ নেই। চট্টগ্রাম বন্দরকে ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ দরকার। বন্দর শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি ও বন্দর ব্যবস্থাপনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার মাধ্যমে সরকার এ লক্ষ্যে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। সর্বাগ্রে দেখা দরকার, যেন আগামী সপ্তাহের ধর্মঘটের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
No comments