মেধাবী মুখ-ইতিহাস ও প্রযুক্তির যুগলবন্দী by শর্মিলা সিনড্রেলা
তাঁর কাছে প্রথম হওয়ার যেন ডালভাততুল্য ব্যাপার! কি নাচ কি গান কি আবৃত্তি, কি কুুইজ প্রতিযোগিতা—সবখানেই প্রথম। এ পর্যন্ত না হয় মানা গেল। তাই বলে সম্মান চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলেও! বন্ধুরা আর বসে থাকতে পারলেন না। সদলবলে পাকড়াও করলেন জাফরিনকে।
‘রহস্য কী রে ভাই?’ জাফরিন হাসতে হাসতে বলেন, ‘প্রতিদিনের পড়াটা আমি নিয়মিত পড়েছি, আর কিছুই নয়।’
পুরো নাম জাফরিন রেজওয়ানা। পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে। স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এখন স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। স্নাতকে জিপিএ ৩.৭৪।
বাড়ি যেতে কিছুদিন দেরি হলেই মন খারাপ হয়ে যায় জাফরিনের বাবা-মায়ের। এই তো কয়েক দিন আগেই বাবা জাফরিনকে বলছিলেন, ‘এমন কিছু কি নাই যাতে তোমার সাথে আমাদের দূরত্বটা কমে যাবে?’ জবাবে জাফরিন বলেছিলেন, ‘এবার একটা ল্যাপটপ নিয়ে আসব তাহলে যখন তখন আমাকে দেখতে এবং কথা বলতে পারবে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে। আর এখানে পুরস্কার হিসেবে নোটবুক জিতলাম। তাই আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশিই। বাবার চাওয়াটাও এভাবে পূরণ হয়ে গেল! কুইজের উত্তরগুলো দিতে ইন্টারনেটে বেশ পড়াশোনা করতে হয়েছে আমাকে। বেশ তো জানার জগৎটাও একটু বিস্তৃত হলো।’
সেদিন হলের ঘরে বসে নিজের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন জাফরিন। এমন সময় এক বন্ধু এসে বলল, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে একটি কুইজ প্রতিযোগিতা হবে। তুমি কি অংশ নিতে চাও? সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিয়েছিলেন জাফরিন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই।’ এরপর ফরম নেওয়া, খুঁজে খুঁজে উত্তর বের করা সবই করেছিলেন বেশ আগ্রহের সঙ্গে। সবার ফরম জমা দেওয়ার পর প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে মাত্র ২০০ জনকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য ও প্রযুক্তি সংসদ। এর মধ্য থেকে পরে ২০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার ছিল একটি ল্যাপটপ। তা ছাড়া ছিল শিক্ষাবৃত্তি, মডেম, পেনড্রাইভ ইত্যাদি। যখন পুরস্কার ঘোষণার সময় এল সবার মধ্যেই উত্তেজনা। ‘জাফরিন... আফরিন...!’ পরে নামটা নিশ্চিত হয়ে স্যার বললেন ‘জাফরিন রেজওয়ানা’। ‘সেদিন আমার পাশে আমার কোনো বন্ধু ছিল না। কিন্তু এত খুশি হয়েছিলাম। আশপাশে যারাই ছিল সবাই অপরিচিত তবুও বলেছিল, অভিনন্দন। খাওয়াবেন না আমাদের? খুব খুশি লাগছিল।’
রোকেয়া হলের এই শিক্ষার্থী ইতিহাস নিয়ে পড়লেও তথ্য ও প্রযুক্তিতে তাঁর আগ্রহ বেশি। প্রায়ই ইন্টারনেট ঘেঁটে বিভিন্ন কাজ শেখেন তিনি। ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা নেবেন। কিন্তু হয়নি। তবে সুযোগ পেলেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেন।
৫-৭ মে ‘এসো আলোর অভিযাত্রী হই প্রযুক্তির সাথে’ স্লোগান নিয়ে স্যামসাং আন্তহল কুইজ প্রতিযোগিতা ও কর্মশালার আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি সংসদ (ডিইউআইটিএস)।
জাফরিন মনে করেন, মানুষ অনেক সময় নিজেই বোঝে না কোনটাতে তার আগ্রহ আছে। তাই সব কাজেই তার হাত দেওয়া উচিত। চেষ্টা করলে সে অন্তত নিজেকে জানার সুযোগ পাবে। তা ছাড়া কোনটাতে তার দক্ষতা আছে সেটাও জানা হয়ে যাবে। নিজের পড়াশোনা আর ইন্টারনেটে টুকটাক কাজের পাশাপাশি নাচ, উপস্থাপনা আর অভিনয়ও করেন তিনি। যদিও ইতিহাস নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা, তবুও তথ্যপ্রযুক্তির সংস্পর্শে থাকতে চান জাফরিন।
পুরো নাম জাফরিন রেজওয়ানা। পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে। স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে এখন স্নাতকোত্তর করছেন তিনি। স্নাতকে জিপিএ ৩.৭৪।
বাড়ি যেতে কিছুদিন দেরি হলেই মন খারাপ হয়ে যায় জাফরিনের বাবা-মায়ের। এই তো কয়েক দিন আগেই বাবা জাফরিনকে বলছিলেন, ‘এমন কিছু কি নাই যাতে তোমার সাথে আমাদের দূরত্বটা কমে যাবে?’ জবাবে জাফরিন বলেছিলেন, ‘এবার একটা ল্যাপটপ নিয়ে আসব তাহলে যখন তখন আমাকে দেখতে এবং কথা বলতে পারবে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে। আর এখানে পুরস্কার হিসেবে নোটবুক জিতলাম। তাই আনন্দের মাত্রাটা একটু বেশিই। বাবার চাওয়াটাও এভাবে পূরণ হয়ে গেল! কুইজের উত্তরগুলো দিতে ইন্টারনেটে বেশ পড়াশোনা করতে হয়েছে আমাকে। বেশ তো জানার জগৎটাও একটু বিস্তৃত হলো।’
সেদিন হলের ঘরে বসে নিজের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন জাফরিন। এমন সময় এক বন্ধু এসে বলল, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে একটি কুইজ প্রতিযোগিতা হবে। তুমি কি অংশ নিতে চাও? সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিয়েছিলেন জাফরিন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই।’ এরপর ফরম নেওয়া, খুঁজে খুঁজে উত্তর বের করা সবই করেছিলেন বেশ আগ্রহের সঙ্গে। সবার ফরম জমা দেওয়ার পর প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে মাত্র ২০০ জনকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য ও প্রযুক্তি সংসদ। এর মধ্য থেকে পরে ২০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার ছিল একটি ল্যাপটপ। তা ছাড়া ছিল শিক্ষাবৃত্তি, মডেম, পেনড্রাইভ ইত্যাদি। যখন পুরস্কার ঘোষণার সময় এল সবার মধ্যেই উত্তেজনা। ‘জাফরিন... আফরিন...!’ পরে নামটা নিশ্চিত হয়ে স্যার বললেন ‘জাফরিন রেজওয়ানা’। ‘সেদিন আমার পাশে আমার কোনো বন্ধু ছিল না। কিন্তু এত খুশি হয়েছিলাম। আশপাশে যারাই ছিল সবাই অপরিচিত তবুও বলেছিল, অভিনন্দন। খাওয়াবেন না আমাদের? খুব খুশি লাগছিল।’
রোকেয়া হলের এই শিক্ষার্থী ইতিহাস নিয়ে পড়লেও তথ্য ও প্রযুক্তিতে তাঁর আগ্রহ বেশি। প্রায়ই ইন্টারনেট ঘেঁটে বিভিন্ন কাজ শেখেন তিনি। ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা নেবেন। কিন্তু হয়নি। তবে সুযোগ পেলেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেন।
৫-৭ মে ‘এসো আলোর অভিযাত্রী হই প্রযুক্তির সাথে’ স্লোগান নিয়ে স্যামসাং আন্তহল কুইজ প্রতিযোগিতা ও কর্মশালার আয়োজন করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্যপ্রযুক্তি সংসদ (ডিইউআইটিএস)।
জাফরিন মনে করেন, মানুষ অনেক সময় নিজেই বোঝে না কোনটাতে তার আগ্রহ আছে। তাই সব কাজেই তার হাত দেওয়া উচিত। চেষ্টা করলে সে অন্তত নিজেকে জানার সুযোগ পাবে। তা ছাড়া কোনটাতে তার দক্ষতা আছে সেটাও জানা হয়ে যাবে। নিজের পড়াশোনা আর ইন্টারনেটে টুকটাক কাজের পাশাপাশি নাচ, উপস্থাপনা আর অভিনয়ও করেন তিনি। যদিও ইতিহাস নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা, তবুও তথ্যপ্রযুক্তির সংস্পর্শে থাকতে চান জাফরিন।
No comments