এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’-ইংরেজিতে কথা বলা ও লেখার দক্ষতা জরুরি
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে গত ২৪ এপ্রিল এসেছিলেন সাইফুরসের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান খান। তিনি কথা বলেছেন কথাবন্ধু ব্রতীর সঙ্গে। ইংরেজি ভাষা নিয়ে পড়াশোনা এবং এ ভাষায় দক্ষতা অর্জনের নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
কথাবন্ধু: বিশ্বের যেকোনো দেশে পড়াশোনা বা ব্যবসার জন্য ইংরেজি ভাষা জানা জরুরি। এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলুন?
সাইফুর রহমান খান: যে কারও পক্ষেই ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব। এ জন্য নিজের চেষ্টাই যথেষ্ট। শুধু বিদেশের জন্য নয়, দেশে থাকলেও ইংরেজি জানা জরুরি। দেশে চাকরির বাজারে বর্তমানে যে অবস্থা তাতে ইংরেজি বিষয়ে যাঁর দক্ষতা যত বেশি, তাঁর চাকরি পাওয়া তত সহজ। ইংরেজিতে ভালো হলে চাকরি আপনার পেছনে দৌড়াবে। এ ছাড়া বিবিএ, এমবিএ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তি বা বিসিএসের পরীক্ষাগুলো কিন্তু ইংরেজিতেই হয়। তাই ইংরেজি শেখা শুধু বিদেশের জন্য নয়, দেশের জন্যও আবশ্যক।
কথাবন্ধু: অনেক শিক্ষার্থীই বতর্মানে বিদেশে পড়তে যেতে আগ্রহী। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইংরেজির স্কোর। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলুন?
সাইফুর রহমান খান: বিশ্বের নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (হার্ভার্ড, এমআইটি ইত্যাদি) ভর্তি হতে হলে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো স্কোর লাগবে। এ জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে খোঁজ নিতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে একেক বিশ্ববিদ্যালয় একেক ধরনের স্কোর চেয়ে থাকে। তবে ডিপ্লোমা কোর্সে যাঁরা ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য ইংরেজিতে কম স্কোর হলেও চলে। আইইএলটিএস হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি ইংরেজি ভাষাশিক্ষার পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে যাঁদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাঁরা ইংরেজি ভাষার ওপর কতটুকু দক্ষতা রাখেন, তার পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কথাবন্ধু: ইংরেজি ভাষা নিয়ে অনেকের মধ্যেই এক রকম ভীতি কাজ করে। এই ভয় কাটিয়ে ওঠার উপায় কী?
সাইফুর রহমান খান: মনের ভয় সবচেয়ে বড় ভয়। তাই মনের ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে। ইংরেজি ভাষা অনেক সহজ। আমরা শিশু শ্রেণী থেকে অনার্স, মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করেও অনেকে ইংরেজি বলতে বা লিখতে পারি না। ইংরেজি যেহেতু আন্তর্জাতিক ভাষা, আর ভাষা মানেই মুখের কথা। সে জন্য একটি পরিবেশ দরকার হয়। কোচিং সেন্টারগুলো সেই পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এ ছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে, ভাইবোনের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলে লজ্জা এবং ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে।
কথাবন্ধু: আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই গ্রামার শিখছে, কিন্তু তার পরও ইংরেজিতে কথা বলতে পারছে না, কেন?
সাইফুর রহমান খান: আমাদের দেশে ছোটবেলা থেকে গ্রামার পড়ানো হয়। এত কিছু শেখার পরও আমরা কেন পারছি না, সেটাই প্রশ্ন। বিদেশের যত পরীক্ষা হয় যেমন IELTS, TOEFL, GMAT বা এ লেভেল, ও লেভেল কোনোটিই কিন্তু গ্রামারকেন্দ্রিক নয়। এগুলো ভাষাকেন্দ্রিক। যেমন: IELTS-এ থাকে রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং, স্পিকিং। কিন্তু আমাদের দেশের পরীক্ষা পদ্ধতি হচ্ছে গ্রামারকেন্দ্রিক। ফলে পরীক্ষায় ফল ভালো হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ইংরেজি শুধু একটি বিষয় নয়, ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। সেটা চিন্তা করেই ইংরেজি বলতে ও লিখতে হবে।
কথাবন্ধু: আমাদের দেশের অনেক কোচিং সেন্টার দাবি করে যে তারা তিন ঘণ্টায় ইংরেজি শেখায়। আবার অনেকেই অনেক পদ্ধতির কথা বলেন। আসলে শেখার কি কোনো পদ্ধতি আছে?
সাইফুর রহমান খান: তিন ঘণ্টায় কোনোভাবেই ইংরেজি ভাষা শেখা সম্ভব নয়। ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে চারটি ভাগ রয়েছে। যেমন: লিসেনিং, স্পিকিং, রিডিং ও রাইটিং। শুরুটা করতে হবে স্পিকিং দিয়ে। তবে এ ক্ষেত্রে পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি গবেষণা করে এ জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি তৈরি করেছেন। কারণ, কাউকে কিছু চাপিয়ে দিলেই সমাধান হবে না। একে সহজভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পড়ে বোঝার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে কেউ যদি ছয় মাসও সময় দেন, তাহলে ইংরেজিতে তাঁর খুঁটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।
শ্রোতাবন্ধু ওমর ফারুক (খুদে বার্তা থেকে): চাকরির ক্ষেত্রে কি ইংরেজি একমাত্র মাধ্যম? এর সঙ্গে অতিরিক্ত কোনো দক্ষতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে কি না?
সাইফুর রহমান খান: চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি একমাত্র মাধ্যম নয়। তবে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি জানা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। যেমন, বিসিএসে ইংরেজিতে ভালো না হলে অন্যরা আপনার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন। যাঁরা ইংরেজিতে দক্ষ তাঁরাই এ ক্ষেত্রে সুযোগ পাবেন। বিবিএ, এমবিএ বা এমবিএমে ভর্তির জন্য বা পড়াশোনা করতে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। চাকরিক্ষেত্রে আপনি যদি ইংরেজিতে ভালোভাবে কথা বলতে পারেন, সেটা আপনার অতিরিক্ত দক্ষতা বলে গণ্য হবে। চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা এখন প্রধান অস্ত্র।
শ্রোতাবন্ধু অপরাজিতা এবং তারিন (খুদে বার্তা থেকে): সাইফুরসে ইজি স্পোকেন কোর্সের সময়সীমা কেমন এবং এতে খরচ কত পড়বে?
সাইফুর রহমান খান: ইজি স্পোকেন দুই মাসের কোর্স। মাসে ১২টি করে ২৪টি ক্লাস। এ ছাড়া ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব থেকে ছয় মাস প্র্যাকটিসেরও সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে এই কোর্স লালমাটিয়া ও পান্থপথে শুরু হয়েছে। কোর্স ফি চার হাজার টাকা। এ ছাড়া সাইফুরসে স্পিকিং, রাইটিং এবং রিডিংয়ের ওপর দুই মাসের আলাদা কোর্স রয়েছে।
কথাবন্ধু: যাঁরা ইতিমধ্যে পড়াশোনা শেষ করেছেন, এখন দেশে ও বিদেশে চাকরি বা ব্যবসা করতে চান, কিন্তু ইংরেজিতে দুর্বল, তাঁদের জন্য কি শেখার সুযোগ রয়েছে?
সাইফুর রহমান খান: অবশ্যই তাঁদের জন্য সুযোগ রয়েছে। অনেকেই বিদেশে গিয়ে ব্যবসা করতে চান, কিন্তু তাঁদের হয়তো ইংরেজিতে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে। এ রকম অনেকেই সাইফুরসে কোর্স করেছেন এবং এখনো অনেকে করছেন। সাইফুরসে এ জন্য একটি ইজি কোর্স নামে আলাদা কোর্স রয়েছে। অনেক গবেষণা করে এই কোর্সটি তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, কোর্স করার ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যাচাই করে তারপর ভর্তি হোন। অফিস দেখে নয়, দু-একটি ক্লাস করে, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
সাইফুর রহমান খান: যে কারও পক্ষেই ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব। এ জন্য নিজের চেষ্টাই যথেষ্ট। শুধু বিদেশের জন্য নয়, দেশে থাকলেও ইংরেজি জানা জরুরি। দেশে চাকরির বাজারে বর্তমানে যে অবস্থা তাতে ইংরেজি বিষয়ে যাঁর দক্ষতা যত বেশি, তাঁর চাকরি পাওয়া তত সহজ। ইংরেজিতে ভালো হলে চাকরি আপনার পেছনে দৌড়াবে। এ ছাড়া বিবিএ, এমবিএ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে ভর্তি বা বিসিএসের পরীক্ষাগুলো কিন্তু ইংরেজিতেই হয়। তাই ইংরেজি শেখা শুধু বিদেশের জন্য নয়, দেশের জন্যও আবশ্যক।
কথাবন্ধু: অনেক শিক্ষার্থীই বতর্মানে বিদেশে পড়তে যেতে আগ্রহী। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তাঁদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ইংরেজির স্কোর। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলুন?
সাইফুর রহমান খান: বিশ্বের নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (হার্ভার্ড, এমআইটি ইত্যাদি) ভর্তি হতে হলে অবশ্যই ইংরেজিতে ভালো স্কোর লাগবে। এ জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে খোঁজ নিতে হবে। ভর্তির ক্ষেত্রে একেক বিশ্ববিদ্যালয় একেক ধরনের স্কোর চেয়ে থাকে। তবে ডিপ্লোমা কোর্সে যাঁরা ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য ইংরেজিতে কম স্কোর হলেও চলে। আইইএলটিএস হচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি ইংরেজি ভাষাশিক্ষার পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে যাঁদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাঁরা ইংরেজি ভাষার ওপর কতটুকু দক্ষতা রাখেন, তার পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কথাবন্ধু: ইংরেজি ভাষা নিয়ে অনেকের মধ্যেই এক রকম ভীতি কাজ করে। এই ভয় কাটিয়ে ওঠার উপায় কী?
সাইফুর রহমান খান: মনের ভয় সবচেয়ে বড় ভয়। তাই মনের ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে। ইংরেজি ভাষা অনেক সহজ। আমরা শিশু শ্রেণী থেকে অনার্স, মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করেও অনেকে ইংরেজি বলতে বা লিখতে পারি না। ইংরেজি যেহেতু আন্তর্জাতিক ভাষা, আর ভাষা মানেই মুখের কথা। সে জন্য একটি পরিবেশ দরকার হয়। কোচিং সেন্টারগুলো সেই পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এ ছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে, ভাইবোনের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলে লজ্জা এবং ভয় কাটিয়ে উঠতে হবে।
কথাবন্ধু: আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই গ্রামার শিখছে, কিন্তু তার পরও ইংরেজিতে কথা বলতে পারছে না, কেন?
সাইফুর রহমান খান: আমাদের দেশে ছোটবেলা থেকে গ্রামার পড়ানো হয়। এত কিছু শেখার পরও আমরা কেন পারছি না, সেটাই প্রশ্ন। বিদেশের যত পরীক্ষা হয় যেমন IELTS, TOEFL, GMAT বা এ লেভেল, ও লেভেল কোনোটিই কিন্তু গ্রামারকেন্দ্রিক নয়। এগুলো ভাষাকেন্দ্রিক। যেমন: IELTS-এ থাকে রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং, স্পিকিং। কিন্তু আমাদের দেশের পরীক্ষা পদ্ধতি হচ্ছে গ্রামারকেন্দ্রিক। ফলে পরীক্ষায় ফল ভালো হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ইংরেজি শুধু একটি বিষয় নয়, ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। সেটা চিন্তা করেই ইংরেজি বলতে ও লিখতে হবে।
কথাবন্ধু: আমাদের দেশের অনেক কোচিং সেন্টার দাবি করে যে তারা তিন ঘণ্টায় ইংরেজি শেখায়। আবার অনেকেই অনেক পদ্ধতির কথা বলেন। আসলে শেখার কি কোনো পদ্ধতি আছে?
সাইফুর রহমান খান: তিন ঘণ্টায় কোনোভাবেই ইংরেজি ভাষা শেখা সম্ভব নয়। ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে চারটি ভাগ রয়েছে। যেমন: লিসেনিং, স্পিকিং, রিডিং ও রাইটিং। শুরুটা করতে হবে স্পিকিং দিয়ে। তবে এ ক্ষেত্রে পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি গবেষণা করে এ জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি তৈরি করেছেন। কারণ, কাউকে কিছু চাপিয়ে দিলেই সমাধান হবে না। একে সহজভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পড়ে বোঝার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে কেউ যদি ছয় মাসও সময় দেন, তাহলে ইংরেজিতে তাঁর খুঁটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।
শ্রোতাবন্ধু ওমর ফারুক (খুদে বার্তা থেকে): চাকরির ক্ষেত্রে কি ইংরেজি একমাত্র মাধ্যম? এর সঙ্গে অতিরিক্ত কোনো দক্ষতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে কি না?
সাইফুর রহমান খান: চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি একমাত্র মাধ্যম নয়। তবে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি জানা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। যেমন, বিসিএসে ইংরেজিতে ভালো না হলে অন্যরা আপনার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন। যাঁরা ইংরেজিতে দক্ষ তাঁরাই এ ক্ষেত্রে সুযোগ পাবেন। বিবিএ, এমবিএ বা এমবিএমে ভর্তির জন্য বা পড়াশোনা করতে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। চাকরিক্ষেত্রে আপনি যদি ইংরেজিতে ভালোভাবে কথা বলতে পারেন, সেটা আপনার অতিরিক্ত দক্ষতা বলে গণ্য হবে। চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা এখন প্রধান অস্ত্র।
শ্রোতাবন্ধু অপরাজিতা এবং তারিন (খুদে বার্তা থেকে): সাইফুরসে ইজি স্পোকেন কোর্সের সময়সীমা কেমন এবং এতে খরচ কত পড়বে?
সাইফুর রহমান খান: ইজি স্পোকেন দুই মাসের কোর্স। মাসে ১২টি করে ২৪টি ক্লাস। এ ছাড়া ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব থেকে ছয় মাস প্র্যাকটিসেরও সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে এই কোর্স লালমাটিয়া ও পান্থপথে শুরু হয়েছে। কোর্স ফি চার হাজার টাকা। এ ছাড়া সাইফুরসে স্পিকিং, রাইটিং এবং রিডিংয়ের ওপর দুই মাসের আলাদা কোর্স রয়েছে।
কথাবন্ধু: যাঁরা ইতিমধ্যে পড়াশোনা শেষ করেছেন, এখন দেশে ও বিদেশে চাকরি বা ব্যবসা করতে চান, কিন্তু ইংরেজিতে দুর্বল, তাঁদের জন্য কি শেখার সুযোগ রয়েছে?
সাইফুর রহমান খান: অবশ্যই তাঁদের জন্য সুযোগ রয়েছে। অনেকেই বিদেশে গিয়ে ব্যবসা করতে চান, কিন্তু তাঁদের হয়তো ইংরেজিতে কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে। এ রকম অনেকেই সাইফুরসে কোর্স করেছেন এবং এখনো অনেকে করছেন। সাইফুরসে এ জন্য একটি ইজি কোর্স নামে আলাদা কোর্স রয়েছে। অনেক গবেষণা করে এই কোর্সটি তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, কোর্স করার ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যাচাই করে তারপর ভর্তি হোন। অফিস দেখে নয়, দু-একটি ক্লাস করে, তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments