সাংবাদিক সমাজ বিচারের দাবিতে এককাট্টা-সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাস পেরিয়ে গেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দূরের কথা, পুলিশ তাদের চিহ্নিতই করতে পারেনি। পুলিশের তদন্তের ফলাফল শূন্য। তাই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে।
দাফনের ৭৫ দিন পর কবর থেকে লাশ তুলে আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু নতুন তথ্য বা ধারণা পাওয়া গেছে বলে আমরা শুনিনি। যে হত্যাকাণ্ড ঘটার সঙ্গে সঙ্গে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে, ৯০ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও যখন সেই ঘটনার কোনো কূলকিনারাই হলো না, তখন নিহত দম্পতির স্বজন, সাংবাদিক মহল ও দেশবাসীর কাছে সরকারের বক্তব্য কী?
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। তাঁদের একমাত্র শিশুসন্তান মেঘ এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। হত্যাকাণ্ডের পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চমহলে এ হত্যাকাণ্ডের জোরালো প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কিন্তু কারা, কী উদ্দেশ্যে ওই সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যা করেছে—সে সম্পর্কে কোনো তথ্যই পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)—সরকারের এতগুলো সংস্থা থাকতে এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে দীর্ঘ তিন মাসেও কোনো কিছুই জানা গেল না, এটা কীভাবে সম্ভব? আসমান থেকে গায়েবি কোনো শক্তি এসে কি সাগর-রুনিকে হত্যা করে গেছে?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকারের অন্য নেতারা মুখে যা-ই বলুন না কেন, কার্যত দেখা যাচ্ছে, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে ও অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো সংস্থাই আন্তরিকভাবে তৎপর নয়। অথবা, তারা যদি তৎপর হয়েও থাকে, সেই তৎপরতা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। জনগণ জানতে চায়—কারা, কী উদ্দেশ্যে ওই তরুণ সাংবাদিক দম্পতিকে তাঁদের শয়নকক্ষে হত্যা করেছে। সরকারের সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতার পদাধিকারী যদি প্রকাশ্যে বলেন, নাগরিকদের শয়নকক্ষ পাহারা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব নয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অপরাধ দমনে ও সংঘটিত অপরাধ প্রতিকারের ক্ষেত্রে কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু শয়নকক্ষ পাহারা দিতে না পারুক, শয়নকক্ষে মানুষ খুন হলে খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দায়িত্ব যে একান্তই সরকারের—এ সত্য কি অস্বীকার করার উপায় আছে?
না। কোনো উপায় নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তায় বা ব্যর্থতায় এভাবেই দিন গড়াবে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির নৃশংস হত্যাকাণ্ড ক্রমেই চলে যাবে বিস্মৃতির আড়ালে—এটা হতে দেবে না বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিকদের চারটি সংগঠন গতকাল সম্মিলিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে, ঐক্যবদ্ধভাবে তারা আগামী ২৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে, খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে—এই দাবিতে পুরো সাংবাদিক সমাজ আজ এককাট্টা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। তাঁদের একমাত্র শিশুসন্তান মেঘ এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। হত্যাকাণ্ডের পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চমহলে এ হত্যাকাণ্ডের জোরালো প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কিন্তু কারা, কী উদ্দেশ্যে ওই সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যা করেছে—সে সম্পর্কে কোনো তথ্যই পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)—সরকারের এতগুলো সংস্থা থাকতে এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে দীর্ঘ তিন মাসেও কোনো কিছুই জানা গেল না, এটা কীভাবে সম্ভব? আসমান থেকে গায়েবি কোনো শক্তি এসে কি সাগর-রুনিকে হত্যা করে গেছে?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকারের অন্য নেতারা মুখে যা-ই বলুন না কেন, কার্যত দেখা যাচ্ছে, এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে ও অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো সংস্থাই আন্তরিকভাবে তৎপর নয়। অথবা, তারা যদি তৎপর হয়েও থাকে, সেই তৎপরতা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। জনগণ জানতে চায়—কারা, কী উদ্দেশ্যে ওই তরুণ সাংবাদিক দম্পতিকে তাঁদের শয়নকক্ষে হত্যা করেছে। সরকারের সর্বোচ্চ নির্বাহী ক্ষমতার পদাধিকারী যদি প্রকাশ্যে বলেন, নাগরিকদের শয়নকক্ষ পাহারা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব নয়, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অপরাধ দমনে ও সংঘটিত অপরাধ প্রতিকারের ক্ষেত্রে কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু শয়নকক্ষ পাহারা দিতে না পারুক, শয়নকক্ষে মানুষ খুন হলে খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দায়িত্ব যে একান্তই সরকারের—এ সত্য কি অস্বীকার করার উপায় আছে?
না। কোনো উপায় নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তায় বা ব্যর্থতায় এভাবেই দিন গড়াবে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির নৃশংস হত্যাকাণ্ড ক্রমেই চলে যাবে বিস্মৃতির আড়ালে—এটা হতে দেবে না বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিকদের চারটি সংগঠন গতকাল সম্মিলিতভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে, ঐক্যবদ্ধভাবে তারা আগামী ২৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবে।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে, খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেই হবে—এই দাবিতে পুরো সাংবাদিক সমাজ আজ এককাট্টা।
No comments