স্থায়ী মানবিক সমাধান কাম্য-ফুটপাতের অধিকার
ফুটপাত শুধু পথচারীদের জন্য হলেও ঢাকা শহরে এর আরেক দাবিদার হকাররা। সারা ঢাকায় কয়েক লাখ হকার ফুটপাতগুলোতে তাঁদের পণ্যের পসরা বসিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এতে পথচারীদের সমস্যা হলেও এই ফুটপাতের ওপর নির্ভর করে অনেকের বেঁচে থাকার আয়-রোজগার।
তবে প্রায়ই পুলিশের হাতে তাঁদের উচ্ছেদ হতে হয় এবং তাঁরা আবার ফুটপাত অধিকার করে তাঁদের ক্ষুদ্র ব্যবসা চালিয়ে যান। উচ্ছেদ ও পুনরধিকারের এই চক্র বহু বছর ধরেই চলছে। কিন্তু এর একটা যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত বিহিত হওয়া প্রয়োজন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি রাজধানীর সব সড়ক, অলিগলি ও ফুটপাত প্রতিবন্ধকতামুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে (প্রথম আলো, ৫ এপ্রিল, সোমবার)। উদ্যোগটি এ অর্থে প্রশংসার যে যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী, মালামাল ফেলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রশ্রয় পেতে পারে না। এ ছাড়া অনেক স্থানেই ভ্রাম্যমাণ দোকানি কিংবা হকাররা পুরোটা ফুটপাত দখল করে পথচারীর চলাচল কঠিন করে তোলেন। আদর্শ পরিস্থিতিতে ফুটপাত থাকার কথা পথচারীদের আর হকারদের থাকার কথা কিছু নির্দিষ্ট স্থানে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। রাজধানী ঢাকাতেই হকারের সংখ্যা কয়েক লাখ, নির্দিষ্ট কিছু স্থানে তাঁদের সংকুলান করা সম্ভব নয়। ফলে শহরের অধিকাংশ ফুটপাত চলে গেছে হকারদের দখলে। অন্যদিকে ফুটপাতে বসার জন্য নিয়মিতভাবে পুলিশ-মাস্তানদের চাঁদা দেওয়ার অলিখিত বিধান মানতে হয় হকারদের। এ রকম পরিস্থিতিতে হকার উচ্ছেদ অভিযান কখনো কখনো নতুন করে চাঁদাবাজির পথ তৈরি করে। হকাররা যাতে হাঁটার পথ পুরোপুরি বন্ধ না করেন এবং বর্তমানে যে উচ্ছেদ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা যেন নতুন চাঁদাবাজির পথ তৈরি না করে, সেটা নিশ্চিত করা তাই জরুরি। হাঁটার পথ উদ্ধারে যেসব জায়গা থেকে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হবে, সেখানে যেন আবার কেউ বসতে না পারেন, সে জন্য অব্যাহত নজরদারি রাখতে হবে। সেটা না করলে হাঁটার পথ আবার হকারদের দখলে চলে যাবে, আর পুলিশ- মাস্তানদেরও নতুন করে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সুযোগ তৈরি হবে।
ঢাকার ফুটপাত চিরতরে হকারমুক্ত করা বাস্তবে আদৌ সম্ভব কি না, সেটা এক বড় প্রশ্ন। এখানে ব্যবসা করে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের ফুটপাত থেকে বিকল্প স্থান বা কর্মসংস্থান দেওয়া সহজ কাজ নয়। এ রকম অবস্থায় সব দিক বিবেচনা করে, চলাচলের জায়গা রেখে কিছু রাস্তায় ফুটপাতের একাংশ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ফি বা টাকার নির্দিষ্ট অঙ্কে বরাদ্দ দিলে এসব মানুষের জীবন-জীবিকা যেমন রক্ষা পায়, তেমনি বৈধ পথে ব্যবসার সুযোগ পেলে তাঁরাও সরকারি কোষাগারে অবদান রাখতে পারবেন। উচ্ছেদের নামে উচ্ছেদ ও পুনর্দখলের চোর-পুলিশ খেলার বাইরে এ ধরনের একটি মানবিক ও যৌক্তিক সমাধানের বিষয়টি ভাবা যে
ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি রাজধানীর সব সড়ক, অলিগলি ও ফুটপাত প্রতিবন্ধকতামুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে (প্রথম আলো, ৫ এপ্রিল, সোমবার)। উদ্যোগটি এ অর্থে প্রশংসার যে যত্রতত্র নির্মাণসামগ্রী, মালামাল ফেলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি প্রশ্রয় পেতে পারে না। এ ছাড়া অনেক স্থানেই ভ্রাম্যমাণ দোকানি কিংবা হকাররা পুরোটা ফুটপাত দখল করে পথচারীর চলাচল কঠিন করে তোলেন। আদর্শ পরিস্থিতিতে ফুটপাত থাকার কথা পথচারীদের আর হকারদের থাকার কথা কিছু নির্দিষ্ট স্থানে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। রাজধানী ঢাকাতেই হকারের সংখ্যা কয়েক লাখ, নির্দিষ্ট কিছু স্থানে তাঁদের সংকুলান করা সম্ভব নয়। ফলে শহরের অধিকাংশ ফুটপাত চলে গেছে হকারদের দখলে। অন্যদিকে ফুটপাতে বসার জন্য নিয়মিতভাবে পুলিশ-মাস্তানদের চাঁদা দেওয়ার অলিখিত বিধান মানতে হয় হকারদের। এ রকম পরিস্থিতিতে হকার উচ্ছেদ অভিযান কখনো কখনো নতুন করে চাঁদাবাজির পথ তৈরি করে। হকাররা যাতে হাঁটার পথ পুরোপুরি বন্ধ না করেন এবং বর্তমানে যে উচ্ছেদ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা যেন নতুন চাঁদাবাজির পথ তৈরি না করে, সেটা নিশ্চিত করা তাই জরুরি। হাঁটার পথ উদ্ধারে যেসব জায়গা থেকে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হবে, সেখানে যেন আবার কেউ বসতে না পারেন, সে জন্য অব্যাহত নজরদারি রাখতে হবে। সেটা না করলে হাঁটার পথ আবার হকারদের দখলে চলে যাবে, আর পুলিশ- মাস্তানদেরও নতুন করে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সুযোগ তৈরি হবে।
ঢাকার ফুটপাত চিরতরে হকারমুক্ত করা বাস্তবে আদৌ সম্ভব কি না, সেটা এক বড় প্রশ্ন। এখানে ব্যবসা করে যাঁরা জীবিকা নির্বাহ করেন, তাঁদের ফুটপাত থেকে বিকল্প স্থান বা কর্মসংস্থান দেওয়া সহজ কাজ নয়। এ রকম অবস্থায় সব দিক বিবেচনা করে, চলাচলের জায়গা রেখে কিছু রাস্তায় ফুটপাতের একাংশ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে ফি বা টাকার নির্দিষ্ট অঙ্কে বরাদ্দ দিলে এসব মানুষের জীবন-জীবিকা যেমন রক্ষা পায়, তেমনি বৈধ পথে ব্যবসার সুযোগ পেলে তাঁরাও সরকারি কোষাগারে অবদান রাখতে পারবেন। উচ্ছেদের নামে উচ্ছেদ ও পুনর্দখলের চোর-পুলিশ খেলার বাইরে এ ধরনের একটি মানবিক ও যৌক্তিক সমাধানের বিষয়টি ভাবা যে
No comments