দেশের কল্যাণে একযোগে কাজ করতে হবে-সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপ্তি
জাতীয় সংসদের সদ্য সমাপ্ত অধিবেশন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা কতটা পূরণ করতে পেরেছে, সে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও বিরোধী দলের সক্রিয় অংশগ্রহণকে সবাই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। আরও ভালো হতো, শেষ দিনেও উপস্থিত থেকে যদি তাঁরা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য দিতেন।
সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল ছায়া-সরকার হিসেবে কাজ করে। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তারা বিকল্প কর্মসূচিও জনগণের কাছে তুলে ধরেন। আর সে জন্য জাতীয় সংসদই উপযুক্ত ফোরাম।
অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুত্-সমস্যার কথা তুলে ধরে জনগণকে কিছুদিন ধৈর্য ধরতে বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি সংকট উত্তরণে কিছু পরিকল্পনাও হাজির করেছেন। বিরোধী দল সংসদে উপস্থিত থাকলে সে বিষয়েও তাদের মতামত রাখতে পারত। যুক্তি-তর্ক, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়েই সঠিক দিকনির্দেশনা বেরিয়ে আসে। বিদ্যুত্-সমস্যাটি যেমন জটিল তেমনি রাতারাতি এর সমাধানও সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। অন্যদিকে পরিকল্পনা নেওয়াই যথেষ্ট নয়, এর দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়নেও সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে। কেবল বিদ্যুত্ নয়, দেশের সব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
দীর্ঘদিন পর বিদায়ী অধিবেশনে বিরোধী দলের যোগদানে স্বভাবতই জনগণ আশান্বিত হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংসদে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা খুব কমই হয়েছে। সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা বেশির ভাগ সময় নষ্ট করেছেন অতীতের কাসুন্দি ঘেঁটে; আরও নির্দিষ্ট করে বললে, মৃত নেতাদের নামে জিন্দাবাদ ও নিন্দাবাদ দিয়ে। জাতীয় নেতাদের নিয়ে সংসদে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। ইতিহাসে যার যেটুকু অবদান, তা দিতে হবে। একজনকে সম্মান দিতে গিয়ে অন্যকে খাটো করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, দেশটা সবার, কোনো দলের নয়। নেতা-নেত্রীদের কাছে সংযম-সহিষ্ণুতা ও অনুকরণীয়
আচরণই কাম্য।
বর্তমান সংসদে বিরোধী দলের সদস্যসংখ্যা যত কমই হোক, তাঁদের ভূমিকা খাটো করে দেখা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, বিরোধী দলকে সংখ্যার বিচারে বিবেচনা করা হবে না। আবার বিরোধী দলের সমালোচনাও হতে হবে গঠনমূলক। তারা সরকারের মন্দ কাজের যেমন বিরোধিতা করবে, তেমনি ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানাবে। সরকারি দলেরও বিরোধীদের ন্যায়সংগত পরামর্শ গ্রহণের মানসিকতা থাকতে হবে। এটাই গণতন্ত্র। কে সরকারি দলে, কে বিরোধী দলে আছেন, এটি বিবেচনায় না নিয়ে সবাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটিই প্রত্যাশিত।
অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুত্-সমস্যার কথা তুলে ধরে জনগণকে কিছুদিন ধৈর্য ধরতে বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি সংকট উত্তরণে কিছু পরিকল্পনাও হাজির করেছেন। বিরোধী দল সংসদে উপস্থিত থাকলে সে বিষয়েও তাদের মতামত রাখতে পারত। যুক্তি-তর্ক, আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়েই সঠিক দিকনির্দেশনা বেরিয়ে আসে। বিদ্যুত্-সমস্যাটি যেমন জটিল তেমনি রাতারাতি এর সমাধানও সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। অন্যদিকে পরিকল্পনা নেওয়াই যথেষ্ট নয়, এর দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়নেও সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে। কেবল বিদ্যুত্ নয়, দেশের সব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
দীর্ঘদিন পর বিদায়ী অধিবেশনে বিরোধী দলের যোগদানে স্বভাবতই জনগণ আশান্বিত হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংসদে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা খুব কমই হয়েছে। সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা বেশির ভাগ সময় নষ্ট করেছেন অতীতের কাসুন্দি ঘেঁটে; আরও নির্দিষ্ট করে বললে, মৃত নেতাদের নামে জিন্দাবাদ ও নিন্দাবাদ দিয়ে। জাতীয় নেতাদের নিয়ে সংসদে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক বিতর্ক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। ইতিহাসে যার যেটুকু অবদান, তা দিতে হবে। একজনকে সম্মান দিতে গিয়ে অন্যকে খাটো করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, দেশটা সবার, কোনো দলের নয়। নেতা-নেত্রীদের কাছে সংযম-সহিষ্ণুতা ও অনুকরণীয়
আচরণই কাম্য।
বর্তমান সংসদে বিরোধী দলের সদস্যসংখ্যা যত কমই হোক, তাঁদের ভূমিকা খাটো করে দেখা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, বিরোধী দলকে সংখ্যার বিচারে বিবেচনা করা হবে না। আবার বিরোধী দলের সমালোচনাও হতে হবে গঠনমূলক। তারা সরকারের মন্দ কাজের যেমন বিরোধিতা করবে, তেমনি ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানাবে। সরকারি দলেরও বিরোধীদের ন্যায়সংগত পরামর্শ গ্রহণের মানসিকতা থাকতে হবে। এটাই গণতন্ত্র। কে সরকারি দলে, কে বিরোধী দলে আছেন, এটি বিবেচনায় না নিয়ে সবাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন, সেটিই প্রত্যাশিত।
No comments