ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় by খাদিজা ফাল্গুনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে পা ফেলেই বোঝা গেল, উৎসব চলছে। ছাদ থেকে ঝোলানো লণ্ঠন, পাখি আর রংবেরঙের মুখোশ তারই সাক্ষী দিচ্ছে। কোলাহলমুখর একঝাঁক তরুণ-তরুণী আনন্দের ছটা ছড়িয়ে জানিয়ে দিলেন, চলছে তাঁদের নবীনবরণ।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১২ সালের এই অনুষ্ঠান ছিল আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের রঙে ভরা।
ছবি তোলা, চুলে ফুল গুঁজে দেওয়া কিংবা প্রবল উল্লাসে লাফানো—সবই চলছে সমানতালে। কেউ বা গিটারে গানের সুর ঝালাই করে নিচ্ছেন, একটু পরই যে মঞ্চে উঠতে হবে! কোনো ভুল হওয়া চলবে না। হিরো হওয়ার বদলে জিরো হয়ে যাবে তাহলে। দেখতে দেখতেই পা বাড়ালাম টিএসসি মিলনায়তনে। সেখানে তখন চলছে শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের পালা। ইফতেশাম সাব্বির, আশফিকুল ইসলাম, ইমরান ও শফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় মাস চারেক ক্লাস করেছেন। সাজিয়া, সাবেরা আর ফারহানার আনন্দটাও আজ অন্য রকম। বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারার সুযোগ পাওয়াই ছিল স্বপ্নের মতো। আজ সেটা সত্যি মনে হচ্ছে। সোহেল, সাইফুল ও আসাদরাও অনেক খুশি। তাঁরা জানান, এবারের নবীনবরণে এত চমক থাকবে, কল্পনাও করেননি। ভালো লাগার এ অনুভব উচ্ছ্বাস আর বিস্ময়ে রূপ নিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর। লেজার লাইটের ঝিলিমিলিতে মঞ্চ রূপ নিল ইন্দ্রপুরীতে। তাতে নাচলেন কিন্তু নবীন শিক্ষার্থীরাই। শুধু কি নাচ? নাটক, ফ্যাশন শো এমনকি মূকাভিনয়ও বাদ দিলেন না তাঁরা। নবীনবরণ উচ্ছল হলো কনসার্টের উদ্দামতায়। নবীনদের বরণ করতে নিয়ম করে প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জ্যেষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। তাঁদেরই দুজন মাহবুব আর আদৃতা জানান, ‘প্রতিবছরই নবীনবরণ নতুন লাগে। কারণ নতুন নতুন বন্ধুরা এসে যোগ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে।’ উচ্ছলতার মধ্যেও নবীনদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সেরা এ বিভাগের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। টেলিকমিউনিকেশনের জগতে একদিন তারা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে, এ-ই হোক ওদের শিক্ষার মূলমন্ত্র।’

No comments

Powered by Blogger.