নির্ধারিত সময়েই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করুন-দখলমুক্ত হোক নদী
ভূমিদস্যু ও দখলদারদের গ্রাসে ঢাকা মহানগরের চারপাশের নদীগুলো যে মরে যাচ্ছে, সেটি সরকার বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর অজানা নয়। এর পরও এত দিন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া দুঃখজনক। শেষ পর্যন্ত মহামান্য আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
গত বছর ২৪ মে হাইকোর্ট যখন ছয় মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীতে মাটি ভরাট বন্ধ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিল, স্বভাবতই জনমনে আশা জেগেছিল। তারা ভেবেছিল, স্বেচ্ছায় না করলেও সরকার অন্তত আদালতের আদেশ মানবে এবং নদীগুলো অবৈধ স্থাপনামুক্ত হবে। কিন্তু আদালতের রায় কার্যকর করা নিয়েও শুরু হয়েছে নানা টালবাহানা। নির্ধারিত ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও ছয় মাসের সময় প্রার্থনা করে। আদালত যথারীতি তা মঞ্জুরও করেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তৈরি তালিকায় দুই হাজার অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মালিকানাধীন ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ টার্মিনালও রয়েছে।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দায়িত্ব যে সংস্থার, সেটিই যদি খাসজমি দখল করে টার্মিনাল বসায়, তাহলে নদী দখলমুক্ত হবে কীভাবে? কথায় বলে, আপনি আচরি ধর্ম। অন্যের অবৈধ স্থাপনা সরানোর আগে নিজেরগুলো সরাতে হবে। আবার জেলা প্রশাসনের তৈরি তালিকা পূর্ণাঙ্গ, তাও বলা যাবে না। এ তালিকার বাইরেও বহু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তালিকায় হাজারীবাগ ট্যানারি ও ডাইং কারখানাগুলোর নাম না থাকাও রহস্যজনক।
ঢাকা মহানগর ও আশপাশের প্রায় দেড় কোটি মানুষের পানীয় জলের চাহিদা মিটিয়ে থাকে নদীগুলো। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে ঢাকার নৌ-যোগাযোগেও এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সে ক্ষেত্রে আজ মঙ্গলবার শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানটি যেন লোক-দেখানো না হয়। উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মহড়া দেশবাসী দেখতে চায় না। আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই চারটি নদীর সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে কেউ যাতে নতুন করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে, সে নিশ্চয়তাও কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। দূষণ ও দখল থেকে মুক্ত রাখতে হবে নদী।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দায়িত্ব যে সংস্থার, সেটিই যদি খাসজমি দখল করে টার্মিনাল বসায়, তাহলে নদী দখলমুক্ত হবে কীভাবে? কথায় বলে, আপনি আচরি ধর্ম। অন্যের অবৈধ স্থাপনা সরানোর আগে নিজেরগুলো সরাতে হবে। আবার জেলা প্রশাসনের তৈরি তালিকা পূর্ণাঙ্গ, তাও বলা যাবে না। এ তালিকার বাইরেও বহু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। তালিকায় হাজারীবাগ ট্যানারি ও ডাইং কারখানাগুলোর নাম না থাকাও রহস্যজনক।
ঢাকা মহানগর ও আশপাশের প্রায় দেড় কোটি মানুষের পানীয় জলের চাহিদা মিটিয়ে থাকে নদীগুলো। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে ঢাকার নৌ-যোগাযোগেও এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সে ক্ষেত্রে আজ মঙ্গলবার শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানটি যেন লোক-দেখানো না হয়। উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মহড়া দেশবাসী দেখতে চায় না। আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই চারটি নদীর সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে কেউ যাতে নতুন করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে, সে নিশ্চয়তাও কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। দূষণ ও দখল থেকে মুক্ত রাখতে হবে নদী।
No comments