সাকিবের সমস্যা গুরুতর নয়, তবে...

সিটি স্ক্যানের পর হাড়ের অন্য একটি স্ক্যানেও বড় কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। লম্বা বিশ্রামেরও তাই প্রয়োজন পড়ছে না সাকিব আল হাসানের। খেলা চালিয়ে যেতেও বাধা নেই।
তবে ডান পায়ের ‘শিন বোনে’ সামান্য যে সমস্যাটুকু আছে, টেস্ট ক্রিকেট খেলার পথে সেটা নাকি দেয়াল তুলে দিতে পারে! প্রধান নির্বাচক আকরাম খান অবশ্য যেভাবেই হোক ভাঙতে চান সেই দেয়াল। প্রয়োজনে বাড়তি বিশ্রাম দিয়ে হলেও জিম্বাবুয়ে সফরের আগে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে চান সাকিবকে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সাকিবের সমস্যাটার নাম ‘এক্সারশান কম্পার্টমেন্টাল সিনড্রোম’। সঙ্গে ‘স্ট্রেস রিঅ্যাকশন’ জাতীয় একটা সমস্যাও আছে। নামগুলো খটমট হলেও কাল সাকিবের সব পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেছেন, ‘সিটি স্ক্যান ও বোন স্ক্যানে মারাত্মক কিছু ধরা পড়েনি। যেটুকু সমস্যা আছে, সেটার ম্যানেজমেন্টটা তিনভাবে করতে হবে। কিছু ফিজিওথেরাপি, বাড়তি কিছু এক্সারসাইজ ও একটু নিয়ন্ত্রিতভাবে খেলা।’ শেষ শর্তটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, স্বল্প পরিসরের ক্রিকেট খেললেও সাকিব হয়তো কিছুদিনের জন্য দূরে সরে যাবেন দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট থেকে। তবে দেবাশিষ বিষয়টা ছেড়ে দিয়েছেন সাকিব ও নির্বাচক কমিটির ওপর, ‘সাকিব টেস্ট খেলবেন কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি ও নির্বাচকেরাই নেবেন।’
সাকিবের চোট এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবে আগামীকাল ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সভায়। তাঁকে টেস্ট থেকে আপাতত দূরে রাখা হবে কি না, সে সিদ্ধান্তও ওখানেই হওয়ার কথা। তবে প্রধান নির্বাচক আকরাম খান সাকিবকে টেস্টে হারানোর কথা ভাবতেই চাইছেন না। বিশেষ করে, এপ্রিলের জিম্বাবুয়ে সফরে যে করেই হোক দলে চান তাঁকে, ‘প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত বিশ্রাম দিয়ে হলেও ওকে ফিট করে তোলার চেষ্টা করা হবে। আমরা চাই শ্রীলঙ্কায় না গেলেও জিম্বাবুয়ে সফরে যেন ওকে অবশ্যই পাওয়া যায়। জিম্বাবুয়েতে গতবার আমরা ভালো করিনি। এবার তাই পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে যেতে চাই।’ শিন ইনজুরিতে পড়ার দেড় মাস পরও প্রত্যাশা অনুযায়ী অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অসন্তুষ্ট মনে হলো প্রধান নির্বাচককে, ‘এই দেড় মাসে তার চিকিৎসা ঠিকভাবে হয়েছে কি না বা সাকিব নিজেও পুনর্বাসনের প্রক্রিয়াটা ঠিকঠাকভাবে করেছে কি না, আমরা সেটাও খতিয়ে দেখব।’
মেডিকেল রিপোর্টগুলো কাল পাওয়া গেলেও সাকিব যে কিছুদিনের জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছুটি নিতে পারেন, বিভিন্ন সূত্রে সেটা জানাজানি হয়ে গেছে আগেই। পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে দেখে সংশ্লিষ্ট অনেকের মনেই প্রশ্ন—সাকিব কি তাহলে আগে থেকেই জানতেন এমন কিছুই হতে যাচ্ছে!
ওদিকে তামিম ইকবালের কবজির চোটও মারাত্মক কিছু নয় বলে জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক। হাড়ে কোনো ফাটল বা চিড় ধরা পড়েনি। তবে কালও যেহেতু ব্যথা অনুভব করেছেন, দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে বিপিএলের আজকের ম্যাচে না-ও খেলতে পারেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

No comments

Powered by Blogger.