কিংসকে জেতালেন ডেসকাট
শাহবাগের প্রতিবাদের ঢেউ কিছুটা আছড়ে পড়ল
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও। প্রেসবক্সের ছাদে ক্রীড়া সাংবাদিকদের টাঙানো
‘কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই’ লেখা বিশাল ব্যানার দৃষ্টি
আকর্ষণ করল সবার।
কাল চিটাগং কিংস আর খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের ম্যাচে যেটুকু চাঞ্চল্য ছিল তা এটা নিয়েই। উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও মেলেনি মাঠ থেকে।
তবে ক্রিকেটীয় বিনোদন কিছু দিলেন ‘ডাচ টেন্ডুলকার’ রায়ান টেন ডেসকাট। বিপিএলে এখন পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান শাহরিয়ার নাফীসের নামের পাশে অল্পের জন্য বসে যাচ্ছিল চিটাগং কিংসের এই ব্যাটসম্যানের নামও। পাঁচ রানের জন্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা পাননি, তবে তাঁর অপরাজিত ৯৫ রানই চিটাগংয়ের জয়টাকে করেছে পানির মতো সহজ। তাদের ৫ উইকেটে করা ১৫৬ রানের জবাবে ম্যাচের ৩৪ বল বাকি থাকতেই বিপিএলের সর্বনিম্ন রানে (৬৭) অলআউট খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। ৮৯ রানের জয়ে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্নটা এখনো জীবন্ত চিটাগং কিংসের। খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের জন্য যে স্বপ্ন এখন প্রায় ধূসর। ৯ ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট তাদের।
শুধু ডেসকাটের দুর্দান্ত ইনিংসের পাশাপাশি কেভিন কুপার ও এনামুল জুনিয়রের কথাও বলতে হয়। দলের ৪ রানের মাথায় ওপেনার নাজিমউদ্দিনকে ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন জ্যাকব ওরাম। পরে কুপার-এনামুলের সামনেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। কুপার ১০ রানে নেন ৪ উইকেট, এনামুল ১৪ রানে ৩টি। ৮ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সোহাগ গাজী ও আজহার মেহমুদের সঙ্গে এনামুলও এখন এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
চিটাগং কিংসের শুরুটা ছিল কিন্তু যাচ্ছেতাই। ১০ রানের মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে তারা। প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়ান ওই ডেসকাট। চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৬১ ও পরের জুটিতে ওরামের সঙ্গে যোগ করেন আরও ৪৯ রান। এই ৪৯-এ ওরামের অবদান মাত্রই ৪ রান। পুরো ইনিংসে ডেসকাটের চার ছক্কার তিনটিই ওরামের সঙ্গে জুটিতে, সঙ্গে সাত বাউন্ডারির দুটি।
এমন বিধ্বংসী হয়ে ওঠার পরও সেঞ্চুরি না হওয়াটা হতাশার। তবে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে হতাশার ছিটেফাঁটাও খুঁজে পাওয়া গেল না ডেসকাটের কণ্ঠে, ‘আমরা ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য খেলি না। দল ভালো রান করেছে, ম্যাচ জিতেছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং কিংস: ২০ ওভারে ১৫৬/৫ (টেলর ৯, নাঈম ০, মাহমুদউল্লাহ ০, ডেসকাট ৯৫*, মিলার ২২, ওরাম ৪, কুপার ১৫*; জাদরান ২/২১, সানটোকি ২/৩০)। খুলনা রয়েল বেঙ্গলস: ১৪.২ ওভারে ৬৭ (নাজিমউদ্দিন ৪, শাহরিয়ার ১৫, হ্যারিস ০, ওয়েসেলস ৫, মুবারক ৯, আসিফ ৬, রেজা ১৩, সানটোকি ৮, ডলার ২, সানজামুল ২, জাদরান ০*; কুপার ৪/১০, এনামুল জুনিয়র ৩/১৪, ওরাম ২/১৭)।
ফল: চিটাগং কিংস ৮৯ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রায়ান টেন ডেসকাট।
তবে ক্রিকেটীয় বিনোদন কিছু দিলেন ‘ডাচ টেন্ডুলকার’ রায়ান টেন ডেসকাট। বিপিএলে এখন পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান শাহরিয়ার নাফীসের নামের পাশে অল্পের জন্য বসে যাচ্ছিল চিটাগং কিংসের এই ব্যাটসম্যানের নামও। পাঁচ রানের জন্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটা পাননি, তবে তাঁর অপরাজিত ৯৫ রানই চিটাগংয়ের জয়টাকে করেছে পানির মতো সহজ। তাদের ৫ উইকেটে করা ১৫৬ রানের জবাবে ম্যাচের ৩৪ বল বাকি থাকতেই বিপিএলের সর্বনিম্ন রানে (৬৭) অলআউট খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। ৮৯ রানের জয়ে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্নটা এখনো জীবন্ত চিটাগং কিংসের। খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের জন্য যে স্বপ্ন এখন প্রায় ধূসর। ৯ ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট তাদের।
শুধু ডেসকাটের দুর্দান্ত ইনিংসের পাশাপাশি কেভিন কুপার ও এনামুল জুনিয়রের কথাও বলতে হয়। দলের ৪ রানের মাথায় ওপেনার নাজিমউদ্দিনকে ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন জ্যাকব ওরাম। পরে কুপার-এনামুলের সামনেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। কুপার ১০ রানে নেন ৪ উইকেট, এনামুল ১৪ রানে ৩টি। ৮ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সোহাগ গাজী ও আজহার মেহমুদের সঙ্গে এনামুলও এখন এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
চিটাগং কিংসের শুরুটা ছিল কিন্তু যাচ্ছেতাই। ১০ রানের মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে তারা। প্রতিরোধে ঘুরে দাঁড়ান ওই ডেসকাট। চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৬১ ও পরের জুটিতে ওরামের সঙ্গে যোগ করেন আরও ৪৯ রান। এই ৪৯-এ ওরামের অবদান মাত্রই ৪ রান। পুরো ইনিংসে ডেসকাটের চার ছক্কার তিনটিই ওরামের সঙ্গে জুটিতে, সঙ্গে সাত বাউন্ডারির দুটি।
এমন বিধ্বংসী হয়ে ওঠার পরও সেঞ্চুরি না হওয়াটা হতাশার। তবে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে হতাশার ছিটেফাঁটাও খুঁজে পাওয়া গেল না ডেসকাটের কণ্ঠে, ‘আমরা ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য খেলি না। দল ভালো রান করেছে, ম্যাচ জিতেছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং কিংস: ২০ ওভারে ১৫৬/৫ (টেলর ৯, নাঈম ০, মাহমুদউল্লাহ ০, ডেসকাট ৯৫*, মিলার ২২, ওরাম ৪, কুপার ১৫*; জাদরান ২/২১, সানটোকি ২/৩০)। খুলনা রয়েল বেঙ্গলস: ১৪.২ ওভারে ৬৭ (নাজিমউদ্দিন ৪, শাহরিয়ার ১৫, হ্যারিস ০, ওয়েসেলস ৫, মুবারক ৯, আসিফ ৬, রেজা ১৩, সানটোকি ৮, ডলার ২, সানজামুল ২, জাদরান ০*; কুপার ৪/১০, এনামুল জুনিয়র ৩/১৪, ওরাম ২/১৭)।
ফল: চিটাগং কিংস ৮৯ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রায়ান টেন ডেসকাট।
No comments