৮৮বশিরম্নল ইসলাম- বর্ণাঢ্য আয়োজনে র্যাগডে পালিত
মুছে যাওয়া দিনগুলো আমায় যে পিছু ডাকে'_হেমনত্ম মুখোপাধ্যায়ের এই মধুর গান আজও সবাইকে মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি মানুষেরই হারানো দিনগুলো তাকে পিছু ডাকে। দেখতে দেখতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আরও একটি ব্যাচ বিদায় নিল।
শিাজীবনের বিগত সেই মধুময় দিনগুলো বিদায়ী শিার্থীদের পিছু ডাকে। মধুময় সেই দিনগুলির স্মৃতি হৃদয়ের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতে মিলনমেলা বসেছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর শেষবর্ষের কৃষি অনুষদের সব শিার্থীদের মাঝে। সত্য আর সুন্দর আগামীর স্বপ্নচারী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক তরম্নণ-তরম্নণীর দীর্ঘ চার বছরের স্নাতক শিাজীবনের আনুষ্ঠানিক বিদায় ঘণ্টা বাজায় কৃষি অনুষদের শিার্থীরা ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি 'র্যাগ ডে'তে মেতেছিল। এ রকম মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে আনন্দে, উচ্ছ্বাসে, সেস্নাগানে, রঙে-রূপে এক অপরূপ সাজে সেজেছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।'কৃষিই হোক দিনবদলের হাতিয়ার'_এই সেস্নাগানকে সামনে রেখে র্যাগ ডে উপল েদুই দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনের প্রথমেই ছিল র্যালি। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন হ্যালি প্যাড থেকে শুরম্ন হয়ে ক্যাম্পাসের সব হল প্রদণি করে ফার্স্ট গেট হয়ে হ্যালি প্যাডেই শেষ হয়। এ সময় শিার্থীরা নেচে, গেয়ে, বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি করে, মুখোশ পরে, রং ছিটিয়ে, সহপাঠীকে পানি ছিটিয়ে আনন্দে-উলস্নাসে মেতে ওঠে। ছাত্রদের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রীরাও নেচে, গেয়ে ও সেস্নাগান দিয়ে সমানতালে আনন্দে মেতে ওঠে। র্যাগ ডে উপল েপুরো ক্যাম্পাস পরিণত হয় স্বপি্নল জগতে।
র্যালির পর শিাথর্ীরা নানা ধরনের খেলার আয়োজন করে। খেলার মধ্যে ছিল মোরগযুদ্ধ, হাঁড়িভাঙ্গা, কানামাছি ইত্যাদি। খেলাধুলা শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কনফারেন্স রম্নমে দুপুরের খাবার খায়। এরপর দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে তারা সবাই মিলে তাদের পুরনো কাস রম্নমে গিয়ে পাঁচ মিনিট নীরবতা পালন করে যেখানে এতদিন তাদের নিয়মিত কাস হতো। নীরবতা পালন শেষে ফটোসেশন, নৌকা ভ্রমণ ও র্যাগ ডে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে তাদের দিনের কর্মসূচী সম্পন্ন হয়।
এরপর সন্ধ্যা সাতটার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় শিার্থীরা অভিনয়, কৌতুক, গান, কোরিওগ্রাফির মধ্যে দিয়ে একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে। রাত ১১টায় রাতের খাবার খাওয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের 'র্যাগ ডে'র প্রথম দিনের কর্মসূচী শেষ হয়। পরের দিনটিও একইভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করে দুই দিনব্যাপী আনন্দমুখর র্যাগ ডে উৎসব সম্পন্ন করে।
'র্যাগ ডে'র অনুভূতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে অংশগ্রহণকারী শিার্থী রাখী, শারমিন, সঞ্জয় ও প্রণয় বলেন, এই দুই দিনের কথা আমরা কেউই ভুলতে পারব না। কেননা এটাই ছিল আমাদের অনুষদীয় সহপাঠীদের সর্বশেষ মিলনমেলা। অনেকের সঙ্গেই হয়তো ব্যক্তিগতভাবে ভবিষ্যতে দেখাও হবে কিন্তু নিজ নিজ ব্যসত্মতার কারণে এভাবে আর আমরা হয়তো একত্রে মিলিত হতে পারব না, এই ভেবে অনুষ্ঠানের শেষে মুহূর্তে এসে আমরাসহ অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ি। দীর্ঘ এই অনার্স জীবনে একসঙ্গে হেসে-খেলে কাটানো দিনগুলো আর ফিরে পাবো না, এতদিনের সঙ্গীদের ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু আমরা নিরম্নপায়, সময়ের প্রয়োজনে আমাদের যেতে তো হবেই ...
No comments