একাত্তরের এই দিনে

* পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রমনা গ্রিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণদানকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, 'পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ এবারের নির্বাচনে এক বাস্তব কর্মসূচির প্রতি রায় দিয়েছে।'
তিনি বলেন, '৭ কোটি বাঙালি ব্যতীত অন্য কারো ৬ দফা কর্মসূচি পরিবর্তনের অধিকার নেই। নির্বাচনে এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে বাঙালিরা চিরদিনই বাঙালি হিসেবে বেঁচে থাকবে। অতীতেও বাঙালিরা যেকোনো পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছে, এখনো তারা বাঙালি হিসেবেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে।'
* বঙ্গবন্ধু বলেন, 'অতীতে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হয়। এমনকি আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলনের চেষ্টাও করা হয়। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করেছি।' তিনি বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি নজরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে আমরা বাংলা সাহিত্যকে ভাবতে পারি না।' তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের ত্যাগের দৃষ্টান্তস্বরূপ চট্টগ্রাম ও বারাকপুর অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের কথা উল্লেখ করেন। সেসব দেশপ্রেমিকের সংগ্রামের স্মরণে আওয়ামী লীগ কর্তৃক জালালাবাদে (চট্টগ্রামে) একটি জাতীয় স্মৃতিমিনার নির্মাণ করার কথা তিনি ঘোষণা করেন।
* বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণকে তাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আরো আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু দেশের ভাবী শাসনতন্ত্র প্রণয়ন সম্পর্কে বলেন, তাঁর দল একাই শাসনতন্ত্র প্রণয়নে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানের নির্বাচিত সদস্যদের এ ব্যাপারে সাদর আমন্ত্রণ জানাবে। অবশ্য তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, যেকানো অবস্থাতেই তিনি নীতির প্রশ্নে আপস করবেন না।
* পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস অ্যাডমিরাল এস এম আহসান আজ রাওয়ালপিণ্ডি যাত্রা করেন। সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

No comments

Powered by Blogger.