সারদারঞ্জন ভারতবর্ষের ক্রিকেটের অগ্রদূত by ড. বড়িয়া মজুমদার
সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট গবেষক; ইএসপিএন, টেন স্পোর্টস ও ভারতের টাইমস নাও পত্রিকার স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ।
ভারতে প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করে পার্সিরা, মুম্বাইয়ে। কিন্তু ক্রিকেটকে তারা সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল অভিজাতদের মধ্যে।
ভারতে প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করে পার্সিরা, মুম্বাইয়ে। কিন্তু ক্রিকেটকে তারা সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল অভিজাতদের মধ্যে।
এখানে আর ক্রিকেট খেলত ব্রিটিশ গোরারা। সেখান থেকে বের করে ক্রিকেটকে সাধারণ মানুষের খেলা করে তোলেন সারদারঞ্জন রায়। শিক্ষক সারদা থাকায় ক্রিকেট উদ্বুদ্ধ করেছিল ছাত্রদের। তাঁরা এ খেলাকে ছড়িয়ে দেন সর্বত্র। তিনি যেখানে যেখানে গেছেন, সেখানেই ছড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট—কিশোরগঞ্জের মশুয়া গ্রামে, ঢাকা কলেজে, ময়মনসিংহে, কলকাতায়। বাবার জমিদারির আঙিনায় আটকে রাখেননি।
ক্রিকেটসামগ্রীর কারখানা ও দোকান প্রতিষ্ঠাসহ তাঁর বিভিন্ন তৎপরতা দেখে বোঝা যায়, ক্রিকেটকে সারদা বেছে নিয়েছিলেন ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অংশ হিসেবে। তাই একদিকে তিনি যেমন উপমহাদেশে ক্রিকেটের জনক, ভিন্ন অর্থে জাতীয়তাবাদী সংগঠক। সিপাহি বিদ্রোহের পর উপমহাদেশে এমন একটা হতাশা নেমে এসেছিল যে ব্রিটিশরা অপরাজেয়। ব্রিটিশ দলকে পরাজিত করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তিনি তাঁর তৈরি বাঙালি ক্রিকেট দলের মধ্যে সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। সারদার দল ব্রিটিশদের কয়েকবার পরাজিতও করেছে। সবার ধারণা ছিল যে এ দেশীয়রা শারীরিকভাবে দুর্বল। সেই ধারণা ভাঙতে সারদা তাঁর চার ভাইকে নিয়ে ঢাকা কলেজে ব্যায়ামচর্চা শুরু করেন। পরে এটি অনুশীলনচক্রসহ বিভিন্ন স্বদেশি দলের নিয়মিত চর্চায় পরিণত হয়।
আমরা ভুলে গেছি, বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে আজ ক্রিকেটের যে উন্মাদনা, একদিন তার সূত্রপাত ঘটেছিল কিশোরগঞ্জের মশুয়া গ্রামে, সারদার হাতে। উপমহাদেশীয় ক্রিকেটের মুম্বাইকেন্দ্রিকতার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ক্রিকেটবিদদের মধ্যে সারদারঞ্জনের স্বীকৃতি ও আলোচনা নেই। কিন্তু সত্যিকারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সারদাকে ভারতবর্ষের ক্রিকেটের অগ্রদূতের স্বীকৃতি দিতেই হবে।
ক্রিকেটসামগ্রীর কারখানা ও দোকান প্রতিষ্ঠাসহ তাঁর বিভিন্ন তৎপরতা দেখে বোঝা যায়, ক্রিকেটকে সারদা বেছে নিয়েছিলেন ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অংশ হিসেবে। তাই একদিকে তিনি যেমন উপমহাদেশে ক্রিকেটের জনক, ভিন্ন অর্থে জাতীয়তাবাদী সংগঠক। সিপাহি বিদ্রোহের পর উপমহাদেশে এমন একটা হতাশা নেমে এসেছিল যে ব্রিটিশরা অপরাজেয়। ব্রিটিশ দলকে পরাজিত করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তিনি তাঁর তৈরি বাঙালি ক্রিকেট দলের মধ্যে সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। সারদার দল ব্রিটিশদের কয়েকবার পরাজিতও করেছে। সবার ধারণা ছিল যে এ দেশীয়রা শারীরিকভাবে দুর্বল। সেই ধারণা ভাঙতে সারদা তাঁর চার ভাইকে নিয়ে ঢাকা কলেজে ব্যায়ামচর্চা শুরু করেন। পরে এটি অনুশীলনচক্রসহ বিভিন্ন স্বদেশি দলের নিয়মিত চর্চায় পরিণত হয়।
আমরা ভুলে গেছি, বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে আজ ক্রিকেটের যে উন্মাদনা, একদিন তার সূত্রপাত ঘটেছিল কিশোরগঞ্জের মশুয়া গ্রামে, সারদার হাতে। উপমহাদেশীয় ক্রিকেটের মুম্বাইকেন্দ্রিকতার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ক্রিকেটবিদদের মধ্যে সারদারঞ্জনের স্বীকৃতি ও আলোচনা নেই। কিন্তু সত্যিকারের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে সারদাকে ভারতবর্ষের ক্রিকেটের অগ্রদূতের স্বীকৃতি দিতেই হবে।
No comments