মন্ত্রণালয়ে গুলি করার হুমকি এমপি গিয়াসের-এসেছিলেন তদবিরে!
তুচ্ছ ঘটনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছেন ময়মনসিংহ-১০ আসন থেকে নির্বাচিত সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর কথামত ফ্যাক্স ও ফটোকপি না করায় তিনি মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে গুলি করার হুমকি দেন।
এই দুজন হলেন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ ভূঁইয়া ও একান্ত সচিবের কম্পিউটার অপারেটর মাইনুদ্দিন ভূঁইয়া।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পিস্তল নিয়ে গুলি করার হুমকি দিলেন এই সংসদ সদস্য। এর আগে তিনি গত বছরের ১৮ মে ময়মনসিংহের এক গ্রামে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছিলেন।
তবে সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দপ্তরে সরকারবিরোধী একটি চক্র রয়েছে। এরা জামায়াতের সমর্থক। এদের কোনো কাজের কথা বললে বেয়াদবি করে। উপরন্তু এদের কাছ থেকে জনগণ কোনো উপকার পায় না। তবুও এদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য সংসদে বারবার বলা হয়েছে, কোনো লাভ হয়নি। এই চক্রটিই তাঁর বিষয়ে এখন সাংবাদিকদের কাছে উল্টাপাল্টা বলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. মো. আফসারুল আমীন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তিনি (গিয়াস উদ্দিন) কী রকম তা জনসাধারণ জানে। আমি আর নতুন করে কী বলব। মন্ত্রণালয়ে এসে যে কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন তাতে মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সম্মান যায়নি।'
প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সকালে সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন আহমেদ স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার স্ত্রীর বদলির বিষয়ে একটি ডিও লেটারের ফটোকপির জন্য মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ ভূঁইয়াকে বলেন। আবু ইউসুফ তাঁকে জানান, এখানে তো ফটোকপি হবে না, আরেক রুম থেকে করিয়ে আনতে হবে। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ফ্যাক্স করতে হবে। কিন্তু কাজ দুটি সঙ্গে সঙ্গে না করায় এমপি এই কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, 'জানিস আমি কে?... তোরা আমার কাজ ফেলে রাখিস।' এরপর তিনি মন্ত্রীর একান্ত সচিব রূপন কান্তি শীলের কক্ষে যান। সেখানে কম্পিউটার অপারেটর মাইনুদ্দিন ভূঁইয়াকে ফের ফটোকপি করে দেওয়ার জন্য বলেন। এ সময় ফটোকপি করতে দেরি হওয়ায় সংসদ সদস্য গিয়াস রেগে যান এবং কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করেন এবং শেষ পর্যায়ে 'গুলি করে হত্যার' হুমকি দেন। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রী দপ্তরে ফিরে এলে গিয়াস উদ্দিন মন্ত্রীর কাছে মাইনুদ্দিনকে নিয়ে যান। গিয়াস উদ্দিন মন্ত্রীকে বলেন, 'আপনি জানেন আমি মেজর জিয়া হত্যার আসামি। এর পরও... কাজ করে না। আপনার কর্মকর্তাদের বলে দেন।'
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ইউসুফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এমপি স্যারের এসব ঘটনা মন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছি।'
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি সারা বছর বন্ধ থাকে। বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই তিন মাসে শিক্ষকদের বদলির কাজ করা হয়। এই তিন মাসে বদলির জন্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে ব্যাপক তদবির করা হয়। এই তদবিরে সংসদ সদস্যরা অধস্তনদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেন। গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলির তদবির করতে এসেই অভিযুক্ত সংসদ সদস্য এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পিস্তল নিয়ে গুলি করার হুমকি দিলেন এই সংসদ সদস্য। এর আগে তিনি গত বছরের ১৮ মে ময়মনসিংহের এক গ্রামে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দিয়েছিলেন।
তবে সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দপ্তরে সরকারবিরোধী একটি চক্র রয়েছে। এরা জামায়াতের সমর্থক। এদের কোনো কাজের কথা বললে বেয়াদবি করে। উপরন্তু এদের কাছ থেকে জনগণ কোনো উপকার পায় না। তবুও এদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দপ্তরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য সংসদে বারবার বলা হয়েছে, কোনো লাভ হয়নি। এই চক্রটিই তাঁর বিষয়ে এখন সাংবাদিকদের কাছে উল্টাপাল্টা বলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. মো. আফসারুল আমীন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তিনি (গিয়াস উদ্দিন) কী রকম তা জনসাধারণ জানে। আমি আর নতুন করে কী বলব। মন্ত্রণালয়ে এসে যে কাণ্ড তিনি ঘটিয়েছেন তাতে মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তাদের সম্মান যায়নি।'
প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সকালে সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন আহমেদ স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার স্ত্রীর বদলির বিষয়ে একটি ডিও লেটারের ফটোকপির জন্য মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ ভূঁইয়াকে বলেন। আবু ইউসুফ তাঁকে জানান, এখানে তো ফটোকপি হবে না, আরেক রুম থেকে করিয়ে আনতে হবে। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ফ্যাক্স করতে হবে। কিন্তু কাজ দুটি সঙ্গে সঙ্গে না করায় এমপি এই কর্মকর্তাকে হুমকি দিয়ে বলেন, 'জানিস আমি কে?... তোরা আমার কাজ ফেলে রাখিস।' এরপর তিনি মন্ত্রীর একান্ত সচিব রূপন কান্তি শীলের কক্ষে যান। সেখানে কম্পিউটার অপারেটর মাইনুদ্দিন ভূঁইয়াকে ফের ফটোকপি করে দেওয়ার জন্য বলেন। এ সময় ফটোকপি করতে দেরি হওয়ায় সংসদ সদস্য গিয়াস রেগে যান এবং কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করেন এবং শেষ পর্যায়ে 'গুলি করে হত্যার' হুমকি দেন। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রী দপ্তরে ফিরে এলে গিয়াস উদ্দিন মন্ত্রীর কাছে মাইনুদ্দিনকে নিয়ে যান। গিয়াস উদ্দিন মন্ত্রীকে বলেন, 'আপনি জানেন আমি মেজর জিয়া হত্যার আসামি। এর পরও... কাজ করে না। আপনার কর্মকর্তাদের বলে দেন।'
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ইউসুফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এমপি স্যারের এসব ঘটনা মন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছি।'
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি সারা বছর বন্ধ থাকে। বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই তিন মাসে শিক্ষকদের বদলির কাজ করা হয়। এই তিন মাসে বদলির জন্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে ব্যাপক তদবির করা হয়। এই তদবিরে সংসদ সদস্যরা অধস্তনদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেন। গতকাল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বদলির তদবির করতে এসেই অভিযুক্ত সংসদ সদস্য এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
No comments