যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা-আমিনুলেই আটকে যেতে পারে সরকার by আবুল কাশেম
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা (জিএসপি) বাতিলের আশঙ্কার পেছনে যতগুলো কারণ রয়েছে, তার প্রায় সবটাতে প্রতিশ্রুতি আর উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়ার কিছু যুক্তি ও তথ্য তুলে ধরতে পারবে সরকার।
কিন্তু শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যার তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম বিষয়ে সরকারের হাতে কোনো যুক্তি নেই, নেই অগ্রগতির কোনো তথ্য। জিএসপি বহাল রাখার অনুরোধ করতে গিয়ে এখানেই আটকে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। কারণ এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বলতে তেমন কিছুই হয়নি, বিচারকাজ তো অনেক দূরে।
বাণিজ্যসচিব নিজে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েও এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি বলতে কেবল একটিই পেয়েছেন। তা লো- যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মেনে তদন্তের কাজটি সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আমিনুল হত্যার পর তাঁর অর্জিত ছুটি, সার্ভিস বেনিফিট ও বহিষ্কার ভাতা বাবদ স্ত্রীকে কেবল ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার তথ্য ছাড়া আর কোনো সুখবর নেই সরকারের হাতে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস- জিএসপি সুবিধা বাতিল না করার অনুরোধ জানিয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবেদন পাঠাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) বা দেশটির প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন এএফএল-সিআইও (দি আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অরগানাইজেশন) যেসব বিষয়ে আপত্তি তুলেছে তার সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের উন্নয়নের চেষ্টার কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে। তবে শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ডের বিচার ও তদন্তের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতির তথ্যই নেই। তাই ইউএসটিআরে গিয়ে আমিনুল হত্যা ইস্যুতেই আটকে যাওয়ার আশঙ্কা আমাদের।'
মূলত আমিনুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারাটাই এ আশঙ্কার মূল কারণ। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন এএফএল-সিআইওর দাবি, আমিনুলকে নির্যাতন ও হত্যার পেছনে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থাকার তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ইউএসটিআর প্রধান রন কির্কের চিঠি, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা জোসেফ ক্রাউলির সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একরামুল কাদেরের আলোচনায় আমিনুল হত্যার বিচার ও সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আমিনুলকে হত্যার পেছনে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণও রয়েছে তাদের কাছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আমিনুল হত্যা তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদের কাছে গিয়েও কোনো তথ্য পাননি। তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কিছুই জানাতে পারেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই এ বিষয়ে জানতে চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের আইজি বরাবর চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনায় আমিনুল ইসলাম হত্যার বিচার ও তদন্তের বিষয়ে অগ্রগতির একটি তথ্য পাওয়া গেছে। তা হলো- তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়ভার সিআইডিকে দিতে বলা হয়েছিল। আমরা তা করেছি। এ তথ্যটি আমরা ইউএসটিআরকে জানাতে পারব।'
আমিনুল হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের আইজি বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, 'আমিনুলকে নির্যাতন ও হত্যা করার পেছনে সরকারের নিজস্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থাকার কিছু প্রমাণ রয়েছে। যাই হোক, তদন্ত কার্যক্রমও পুরোপুরি স্তিমিত হয়ে পড়েছে। আমিনুল হত্যার তদন্তের দায়িত্ব স্থানীয় পুলিশের পরিবর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে স্থানান্তরের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এএফএল-সিআইও এখনো জানে না বিষয়টি সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে কি না, তবে দেওয়া হলে তা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে।'
ঢাকা ইপিজেডের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম এর অন্তর্ভুক্ত একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল তিনি নিহত হন। তাঁর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে বরাবরই সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্র। গত ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরে এসে বলেন, আমিনুল হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দেখতে চায়। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিকারকরাও আমিনুল হত্যার বিচার দাবি করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচও। আর আমিনুল হত্যার পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস 'বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলনের পরিণতি বেওয়ারিশ লাশে পরিণত হওয়া' শিরোনামে তার প্রিন্ট সংস্করণে প্রধান সংবাদ হিসেবে প্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নিহত আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডাব্লিউএস) নামের একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা ছিলেন। এই সংগঠনটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সুসম্পর্ক রয়েছে। পোশাক মালিকরা প্রায়ই অভিযোগ করতেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থেই সংগঠনটি পরিচালিত হয়। গত বছরের ৪ এপ্রিল আমিনুল সাভারে ওই সংগঠনের কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। এর কয়েক দিন পর টাঙ্গাইলে তাঁর লাশ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে লাশটি চিনতে পারে তাঁর পরিবার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বিসিডাব্লিউএসের নিবন্ধন বাতিলের জন্য সরকারকে বারবার চাপ দিয়ে আসছিল। এ সংগঠনের নেত্রী কল্পনা আক্তার ও বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে শ্রমিক আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনে সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করে সরকার। এতেও ক্ষুব্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্র। এখন জিএসপি সুবিধা বাতিল এড়াতে সংগঠনটিকে নতুন করে নিবন্ধন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বাণিজ্যসচিব নিজে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েও এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অগ্রগতি বলতে কেবল একটিই পেয়েছেন। তা লো- যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মেনে তদন্তের কাজটি সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আমিনুল হত্যার পর তাঁর অর্জিত ছুটি, সার্ভিস বেনিফিট ও বহিষ্কার ভাতা বাবদ স্ত্রীকে কেবল ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার তথ্য ছাড়া আর কোনো সুখবর নেই সরকারের হাতে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস- জিএসপি সুবিধা বাতিল না করার অনুরোধ জানিয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবেদন পাঠাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) বা দেশটির প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন এএফএল-সিআইও (দি আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অরগানাইজেশন) যেসব বিষয়ে আপত্তি তুলেছে তার সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের উন্নয়নের চেষ্টার কথা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হবে। তবে শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ডের বিচার ও তদন্তের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতির তথ্যই নেই। তাই ইউএসটিআরে গিয়ে আমিনুল হত্যা ইস্যুতেই আটকে যাওয়ার আশঙ্কা আমাদের।'
মূলত আমিনুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারাটাই এ আশঙ্কার মূল কারণ। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন এএফএল-সিআইওর দাবি, আমিনুলকে নির্যাতন ও হত্যার পেছনে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থাকার তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ইউএসটিআর প্রধান রন কির্কের চিঠি, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা জোসেফ ক্রাউলির সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একরামুল কাদেরের আলোচনায় আমিনুল হত্যার বিচার ও সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, আমিনুলকে হত্যার পেছনে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণও রয়েছে তাদের কাছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আমিনুল হত্যা তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদের কাছে গিয়েও কোনো তথ্য পাননি। তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কিছুই জানাতে পারেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই এ বিষয়ে জানতে চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের আইজি বরাবর চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনায় আমিনুল ইসলাম হত্যার বিচার ও তদন্তের বিষয়ে অগ্রগতির একটি তথ্য পাওয়া গেছে। তা হলো- তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়ভার সিআইডিকে দিতে বলা হয়েছিল। আমরা তা করেছি। এ তথ্যটি আমরা ইউএসটিআরকে জানাতে পারব।'
আমিনুল হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের আইজি বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, 'আমিনুলকে নির্যাতন ও হত্যা করার পেছনে সরকারের নিজস্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থাকার কিছু প্রমাণ রয়েছে। যাই হোক, তদন্ত কার্যক্রমও পুরোপুরি স্তিমিত হয়ে পড়েছে। আমিনুল হত্যার তদন্তের দায়িত্ব স্থানীয় পুলিশের পরিবর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির কাছে স্থানান্তরের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এএফএল-সিআইও এখনো জানে না বিষয়টি সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে কি না, তবে দেওয়া হলে তা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে।'
ঢাকা ইপিজেডের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম এর অন্তর্ভুক্ত একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল তিনি নিহত হন। তাঁর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে বরাবরই সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্র। গত ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরে এসে বলেন, আমিনুল হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব পড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দেখতে চায়। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিকারকরাও আমিনুল হত্যার বিচার দাবি করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচও। আর আমিনুল হত্যার পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস 'বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলনের পরিণতি বেওয়ারিশ লাশে পরিণত হওয়া' শিরোনামে তার প্রিন্ট সংস্করণে প্রধান সংবাদ হিসেবে প্রকাশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নিহত আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডাব্লিউএস) নামের একটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা ছিলেন। এই সংগঠনটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সুসম্পর্ক রয়েছে। পোশাক মালিকরা প্রায়ই অভিযোগ করতেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থেই সংগঠনটি পরিচালিত হয়। গত বছরের ৪ এপ্রিল আমিনুল সাভারে ওই সংগঠনের কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। এর কয়েক দিন পর টাঙ্গাইলে তাঁর লাশ উদ্ধার করে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে লাশটি চিনতে পারে তাঁর পরিবার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বিসিডাব্লিউএসের নিবন্ধন বাতিলের জন্য সরকারকে বারবার চাপ দিয়ে আসছিল। এ সংগঠনের নেত্রী কল্পনা আক্তার ও বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে শ্রমিক আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনে সংগঠনটির নিবন্ধন বাতিল করে সরকার। এতেও ক্ষুব্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্র। এখন জিএসপি সুবিধা বাতিল এড়াতে সংগঠনটিকে নতুন করে নিবন্ধন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
No comments