কাদের হত্যা মামলা-ফাঁসির আসামিকে জামিন দেওয়ায় বিচারককে ভর্সৎসনা
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ অমান্য করে শিল্পপতি আবদুল কাদের হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে জামিন দেওয়ায় একজন বিচারককে ভর্ৎসনা করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার আপিল বিভাগে হাজির হয়ে ভুল স্বীকার করলে আপিল বিভাগ ওই বিচারককে ভর্ৎসনা করেন।
গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের এক আদেশে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক (দায়রা জজ) শামসুন্নাহার বেগমকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে আপিল বিভাগে কারণ দর্শাতে বলা হয়। ফাঁসির আসামিকে কেন জামিন দেওয়া হলো, তা জানতে চান আপিল বিভাগ।
বিচারক শামসুন্নাহার বেগম গতকাল নির্ধারিত দিনে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। তিনি আদালতকে বলেন, �আমি বুঝতে পারিনি।�
এ সময় আদালত প্রশ্ন করেন, �এমন একটি মামলায় জামিন দিলেন কিসের ভিত্তিতে?�
বিচারক বলেন, �আসামিকে যে কারাগারে পাঠাতে হবে, আপিল বিভাগের আদেশে তা উল্লেখ ছিল না।�
আদালত এ সময় বলেন, �কোনো আসামির বিষয়ে উচ্চ আদালত এভাবে নির্দেশ দেয় না।�
বিচারক শামসুন্নাহার তখন বলেন, �ভুল হয়ে গেছে।�
পরে আদালত আরো শুনানির জন্য মঙ্গলবার (আজ) দিন ধার্য করেন।
২০০১ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ৫১ নম্বর আক্তার চেম্বারের দ্বিতীয় তলায় সোনারগাঁও চিংড়ি প্রকল্পের কার্যালয়ে ঢুকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল কাদেরকে গুলি করে হত্যা করে কয়েকজন সন্ত্রাসী। ওই ঘটনায় নিহত কাদেরের বড় ভাই আলহাজ মোহাম্মদ ইউসুফ মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ওই মামলার রায়ে আসামি মোবাইল কাদেরসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নিু আদালত। অন্য চার আসামিকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
মামলার রায়ের সময় আসামি মোবাইল কাদের পলাতক ছিল। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও কারাগারে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৭ সালের ২৫ নভেম্বর মোবাইল কাদেরকে খালাস দেন।
হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে মামলার বাদী আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ২১ মার্চ আপিল বিভাগ বাদীর লিভ টু আপিল গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মোবাইল কাদেরকে বিচারিক আদালতে আ�সমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী মোবাইল কাদের গত ৮ আগস্ট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ আ�সমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক শামসুন্নাহার বেগম তা মঞ্জুর করেন।
এই মামলার অপর আসামি আতাউর রহমানের আরেকটি আপিল শুনানির সময় গত ৯ ডিসেম্বর মোবাইল কাদেরের জামিনের বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে পড়ে। আদালত মোবাইল কাদেরকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পুনরায় বিচারিক আদালতে আ�সমর্পণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সাবেক বিচারক শামসুন্নাহার বেগমকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে আসামিকে জামিন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।
এদিকে মোবাইল কাদের গত ২৬ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চান। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান এবং তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন।
গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের এক আদেশে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক (দায়রা জজ) শামসুন্নাহার বেগমকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে আপিল বিভাগে কারণ দর্শাতে বলা হয়। ফাঁসির আসামিকে কেন জামিন দেওয়া হলো, তা জানতে চান আপিল বিভাগ।
বিচারক শামসুন্নাহার বেগম গতকাল নির্ধারিত দিনে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। তিনি আদালতকে বলেন, �আমি বুঝতে পারিনি।�
এ সময় আদালত প্রশ্ন করেন, �এমন একটি মামলায় জামিন দিলেন কিসের ভিত্তিতে?�
বিচারক বলেন, �আসামিকে যে কারাগারে পাঠাতে হবে, আপিল বিভাগের আদেশে তা উল্লেখ ছিল না।�
আদালত এ সময় বলেন, �কোনো আসামির বিষয়ে উচ্চ আদালত এভাবে নির্দেশ দেয় না।�
বিচারক শামসুন্নাহার তখন বলেন, �ভুল হয়ে গেছে।�
পরে আদালত আরো শুনানির জন্য মঙ্গলবার (আজ) দিন ধার্য করেন।
২০০১ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ৫১ নম্বর আক্তার চেম্বারের দ্বিতীয় তলায় সোনারগাঁও চিংড়ি প্রকল্পের কার্যালয়ে ঢুকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল কাদেরকে গুলি করে হত্যা করে কয়েকজন সন্ত্রাসী। ওই ঘটনায় নিহত কাদেরের বড় ভাই আলহাজ মোহাম্মদ ইউসুফ মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ওই মামলার রায়ে আসামি মোবাইল কাদেরসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নিু আদালত। অন্য চার আসামিকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
মামলার রায়ের সময় আসামি মোবাইল কাদের পলাতক ছিল। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ ও কারাগারে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০০৭ সালের ২৫ নভেম্বর মোবাইল কাদেরকে খালাস দেন।
হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে মামলার বাদী আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চান। শুনানি শেষে গত বছরের ২১ মার্চ আপিল বিভাগ বাদীর লিভ টু আপিল গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মোবাইল কাদেরকে বিচারিক আদালতে আ�সমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী মোবাইল কাদের গত ৮ আগস্ট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ আ�সমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক শামসুন্নাহার বেগম তা মঞ্জুর করেন।
এই মামলার অপর আসামি আতাউর রহমানের আরেকটি আপিল শুনানির সময় গত ৯ ডিসেম্বর মোবাইল কাদেরের জামিনের বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে পড়ে। আদালত মোবাইল কাদেরকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পুনরায় বিচারিক আদালতে আ�সমর্পণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সাবেক বিচারক শামসুন্নাহার বেগমকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে আসামিকে জামিন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।
এদিকে মোবাইল কাদের গত ২৬ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চান। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান এবং তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন।
No comments