আইভরি কোস্টে গণকবর তদন্তের নির্দেশ জাতিসংঘের
আইভরি কোস্টে গণকবরের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। তদন্তের জন্য সেখানে নিয়োজিত জাতিসংঘ মিশনকে (ইউএনওআইসি) তাদের ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে বলেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক মহল স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আলেসান ওয়াতারা এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে গণকবরের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
জাতিসংঘের মতে, আইভরি কোস্টে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিখোঁজ আছে কয়েক শ। গৃহযুদ্ধের আশঙ্কায় ২০ হাজার লোক দেশ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী লাইবেরিয়ায়। অভিযোগ রয়েছে, নিখোঁজদের অনেকেই ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রেসিডেন্ট লরাঁ বাগবোর অনুগত সেনাবাহিনী ও সমর্থকদের হাতে নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মীরা জানান, তাঁরা আইভরি কোস্টে দুটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন। তবে বাগবোর অস্ত্রধারী নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে তাঁরা তদন্ত করতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে মুন গত রবিবার ওয়াতারার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্টিন নেজারকি বলেন, 'মহাসচিব ওয়াতারাকে জানিয়েছেন, দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তিনি অবগত এবং এ নিয়ে শঙ্কিত।' নেজারকি জানান, ঘটনার তদন্ত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে মহাসচিব ইউএনওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মীরা যে দুটি গণকবরের খবর পেয়েছেন তার একটা হচ্ছে, আবিদজানে বাগবোর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ভবনে। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে ৮০টি মৃতদেহ গুম করে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় গণকবরটির সন্ধান পাওয়া গেছে গানোয়ায়। তবে বাগবোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমিল গেরিওলু গণকবরের অস্তিত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য গতকাল সোমবার আবিদজানে পেঁৗছেছেন পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ইকোয়াসের তিন প্রতিনিধি। বেনিনের প্রেসিডেন্ট বনি ইয়ায়ি, সিয়েরা লিয়নের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্তো বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পিরের সঙ্গে এবার প্রতিনিধিদলে যোগ দিচ্ছেন কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে বাগবোর ওপর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে প্রস্তাব দেবেন ইকোয়াসের নেতারা। প্রস্তাব না মানলে তাঁকে জোর করে উচ্ছেদ করা হবে বলেও ইকোয়াস জানিয়ে দিয়েছে। তবে বাগবো আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ক্ষমতা ছাড়ছেন না তিনি। ক্ষমতা ছাড়লে দেশে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র : গার্ডিয়ান, বিবিসি।
জাতিসংঘের মতে, আইভরি কোস্টে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিখোঁজ আছে কয়েক শ। গৃহযুদ্ধের আশঙ্কায় ২০ হাজার লোক দেশ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী লাইবেরিয়ায়। অভিযোগ রয়েছে, নিখোঁজদের অনেকেই ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা প্রেসিডেন্ট লরাঁ বাগবোর অনুগত সেনাবাহিনী ও সমর্থকদের হাতে নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মীরা জানান, তাঁরা আইভরি কোস্টে দুটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন। তবে বাগবোর অস্ত্রধারী নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে তাঁরা তদন্ত করতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে মুন গত রবিবার ওয়াতারার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্টিন নেজারকি বলেন, 'মহাসচিব ওয়াতারাকে জানিয়েছেন, দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তিনি অবগত এবং এ নিয়ে শঙ্কিত।' নেজারকি জানান, ঘটনার তদন্ত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে মহাসচিব ইউএনওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারকর্মীরা যে দুটি গণকবরের খবর পেয়েছেন তার একটা হচ্ছে, আবিদজানে বাগবোর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ভবনে। ধারণা করা হচ্ছে সেখানে ৮০টি মৃতদেহ গুম করে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় গণকবরটির সন্ধান পাওয়া গেছে গানোয়ায়। তবে বাগবোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমিল গেরিওলু গণকবরের অস্তিত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য গতকাল সোমবার আবিদজানে পেঁৗছেছেন পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ইকোয়াসের তিন প্রতিনিধি। বেনিনের প্রেসিডেন্ট বনি ইয়ায়ি, সিয়েরা লিয়নের প্রেসিডেন্ট আর্নেস্তো বাই করোমা ও কেপ ভার্দের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পিরের সঙ্গে এবার প্রতিনিধিদলে যোগ দিচ্ছেন কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রায়লা ওদিঙ্গা। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করলে বাগবোর ওপর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে প্রস্তাব দেবেন ইকোয়াসের নেতারা। প্রস্তাব না মানলে তাঁকে জোর করে উচ্ছেদ করা হবে বলেও ইকোয়াস জানিয়ে দিয়েছে। তবে বাগবো আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ক্ষমতা ছাড়ছেন না তিনি। ক্ষমতা ছাড়লে দেশে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র : গার্ডিয়ান, বিবিসি।
No comments