মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-কাদের মোল্লার বিচারের রায় যেকোনো দিন
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছেন।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ২ নম্বর ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছেন। তবে ঠিক কোন দিন রায় ঘোষণা করা হবে, তা আগেই উভয় পক্ষের আইনজীবীদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম।
এ নিয়ে একই ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হলো। এর আগে বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মামলা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। তবে সর্বপ্রথম ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা গত বছর ৬ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। কিন্তু ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করায় নতুন করে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনছেন ট্রাইব্যুনাল। ফলে এ মামলায় নতুন করে রায়ের দিন ধার্য হবে।
গতকাল কাদের মোল্লার বিষয়ে আদেশ দিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, 'ট্রাইব্যুনাল আইনটা নতুন। এ আইনে দায়ের করা মামলাও আমাদের জন্য নতুন। তাই আইন বিচার-বিশ্লেষণ করে রায় ঘোষণা করতে একটু সময় লাগবে। এ জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখছি।'
এর আগে গতকাল কাদের মোল্লার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আইনি বিষয় নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি চার্চ টেলর এবং রুয়ান্ডার আকা ইউসুফের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দেওয়া উদাহরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই দুজন রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। কিন্তু কাদের মোল্লা কোনো রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন না। তাই ওই মামলার রায় এখানে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না। তিনি কাদের মোল্লাকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সুনির্দিষ্ট করে প্রমাণ করতে পারেনি।
গতকাল আদেশের পর প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, 'মানবতাবিরোধী অপরাধে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য, তথ্য-প্রমাণ ও আইনগত যুক্তি আমরা ট্রাইব্যুনালে পেশ করেছি। এ মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তাই ট্রাইব্যুনালে আসামি কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা প্রদানের আবেদন করেছি।'
কবি মেহেরুন্নেছাসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, আইনজীবী-সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, পল্লবীর আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যাসহ মোট ছয়টি অভিযোগে কাদের মোল্লার বিচার চলছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবসহ সাতজনকে হত্যা, কেরানীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও ঘাটারচরসহ পাশের আরো দুটি গ্রামের অসংখ্য লোককে হত্যার ঘটনা। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন এবং কাদের মোল্লার পক্ষে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
গত বছর ২৮ মে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ষড়যন্ত্র ও উসকানিসহ ছয়টি অভিযোগে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৩(১), ৩(২)(এ)(এইচ) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল-২। গত বছর ২০ জুন তাঁর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
মুক্তিযুদ্ধকালে গোলাম মোস্তফা নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ২০০৮ সালে পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা হয় কাদের মোল্লাসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক দেখিয়ে কারাগারে রাখার আদেশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত বছরের ১৬ এপ্রিল আব্দুল কাদের মোল্লার মামলাসহ তিনটি মামলা ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১-এ জামায়াত নেতা সাঈদীর বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। আসামিপক্ষ তিন দিন যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল-২-এ জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১২তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ২ নম্বর ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছেন। তবে ঠিক কোন দিন রায় ঘোষণা করা হবে, তা আগেই উভয় পক্ষের আইনজীবীদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম।
এ নিয়ে একই ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হলো। এর আগে বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে মামলা রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। তবে সর্বপ্রথম ১ নম্বর ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা গত বছর ৬ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। কিন্তু ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করায় নতুন করে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনছেন ট্রাইব্যুনাল। ফলে এ মামলায় নতুন করে রায়ের দিন ধার্য হবে।
গতকাল কাদের মোল্লার বিষয়ে আদেশ দিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, 'ট্রাইব্যুনাল আইনটা নতুন। এ আইনে দায়ের করা মামলাও আমাদের জন্য নতুন। তাই আইন বিচার-বিশ্লেষণ করে রায় ঘোষণা করতে একটু সময় লাগবে। এ জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখছি।'
এর আগে গতকাল কাদের মোল্লার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আইনি বিষয় নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি চার্চ টেলর এবং রুয়ান্ডার আকা ইউসুফের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের দেওয়া উদাহরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই দুজন রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। কিন্তু কাদের মোল্লা কোনো রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন না। তাই ওই মামলার রায় এখানে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে না। তিনি কাদের মোল্লাকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সুনির্দিষ্ট করে প্রমাণ করতে পারেনি।
গতকাল আদেশের পর প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, 'মানবতাবিরোধী অপরাধে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য, তথ্য-প্রমাণ ও আইনগত যুক্তি আমরা ট্রাইব্যুনালে পেশ করেছি। এ মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তাই ট্রাইব্যুনালে আসামি কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা প্রদানের আবেদন করেছি।'
কবি মেহেরুন্নেছাসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, আইনজীবী-সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, পল্লবীর আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যাসহ মোট ছয়টি অভিযোগে কাদের মোল্লার বিচার চলছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবসহ সাতজনকে হত্যা, কেরানীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও ঘাটারচরসহ পাশের আরো দুটি গ্রামের অসংখ্য লোককে হত্যার ঘটনা। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন এবং কাদের মোল্লার পক্ষে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
গত বছর ২৮ মে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ষড়যন্ত্র ও উসকানিসহ ছয়টি অভিযোগে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল আইনের ৩(২)(এ), ৩(২)(জি), ৩(২)(এইচ), ৩(১), ৩(২)(এ)(এইচ) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল-২। গত বছর ২০ জুন তাঁর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
মুক্তিযুদ্ধকালে গোলাম মোস্তফা নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। ২০০৮ সালে পল্লবী থানায় আরো একটি মামলা হয় কাদের মোল্লাসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় ২০১০ সালের ১৩ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক দেখিয়ে কারাগারে রাখার আদেশ দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত বছরের ১৬ এপ্রিল আব্দুল কাদের মোল্লার মামলাসহ তিনটি মামলা ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১-এ জামায়াত নেতা সাঈদীর বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তাঁর যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। আসামিপক্ষ তিন দিন যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল-২-এ জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১২তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
No comments