খান সারওয়ার মুরশিদ শ্রদ্ধাস্পদেষু by মুহম্মদ নূরুল হুদা
উদ্ধত সকাল ছিল সাতষট্টির,
নগর ঢাকাকে ঘিরে বুড়িগঙ্গা উত্তাল, অধীর...
নগর ঢাকাকে ঘিরে বুড়িগঙ্গা উত্তাল, অধীর...
বিশ শতকের ষাটের দশকে
অতঃপর বদলায় কত দৃশ্য কত পট কত ভিন্ন ছকে
শুরু হয় কত দ্বন্দ্ব কত ছন্দ কত ছলছুতো,
করিডরে হেঁটে গেল কত শত চকচকে জুতো,
বাহারি জামার হাওয়া, দৃষ্টির বিদ্যুৎ, হাসি পরিপাটি...
কালের আবর্তে বুকে কত কিছু দেখে যায় এ বাংলার মাটি;
তোমাকে দেখেছি আমি ষাটের দশকে,
কলাভবনের দোতলায় হাঁটছ একাকী
তোমার গমনপথে জ্বলে ওঠে জ্ঞানবিশ্ব, আলোক জোনাকি;
সম্ভ্রমে খানিক সরে নতুন পড়ুয়া, পুরোনোরা হাসে,
জুলিয়েট ভীত চোখে রোমিওর আরও কাছে আসে,
সূর্যের পতাকা হাতে দৃঢ় পায়ে হেঁটে যায় স্বাধীন যুবক,
ছুরি আর সাপ পোষে স্বৈরাচারী আয়ুবের খাস বশংবদ...
এসব দুপাশে রেখে মুচকি হেসে
অক্ষরবৃত্তের পায়ে তুমি এলে কবিতার ক্লাসে।
বুড়ো লিয়ারের দুঃখে সমব্যথী, প্রিয়তর তবু কর্ডেলিয়া,
নিজে তো হ্যামলেট নও, তবু কেন কাঁদে ওফেলিয়া
তোমার তৃষিত বুকে! চাওনি তো অন্য কোনো ট্রয়,
যদিও কবির বুক বিদ্ধ করে সুন্দরী ধনুক থেকে
ছুটে-আসা লক্ষ্যভেদী তির; গণমানুষের বিজয় অক্ষয়
মেনে বিক্ষত কবির মুখে শোণিতার্দ্র হাসি,
নরকে আগুন জ্বেলে কবি বলে ‘তবু ভালোবাসি’।
তুমিও বেসেছ ভালো সেহ অগ্নি, সেহ রশ্মি, দহন, কবিতা
মানুষের চিত্তশুদ্ধি, গোত্রে গোত্রে মুক্তবুদ্ধি, বাঙালির আলোর সবিতা
অপূর্ণ মানুষ দেখে তাই তো তোমার বুকে শুরু হয় অনন্ত ক্ষরণ
লিয়ারের স্মৃতিভ্রম, ইয়েটসের দুখী বুকে জেদি মড গন।
এ সবকে মান্য করে মানুষের সুকঠিন এই পথ চলা,
সেই পারে, যে শিখেছে যাপনের সব ছলাকলা।
আমরা শিখিনি,
আমাদের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরণী জনম দুখিনী।
অতঃপর বদলায় কত দৃশ্য কত পট কত ভিন্ন ছকে
শুরু হয় কত দ্বন্দ্ব কত ছন্দ কত ছলছুতো,
করিডরে হেঁটে গেল কত শত চকচকে জুতো,
বাহারি জামার হাওয়া, দৃষ্টির বিদ্যুৎ, হাসি পরিপাটি...
কালের আবর্তে বুকে কত কিছু দেখে যায় এ বাংলার মাটি;
তোমাকে দেখেছি আমি ষাটের দশকে,
কলাভবনের দোতলায় হাঁটছ একাকী
তোমার গমনপথে জ্বলে ওঠে জ্ঞানবিশ্ব, আলোক জোনাকি;
সম্ভ্রমে খানিক সরে নতুন পড়ুয়া, পুরোনোরা হাসে,
জুলিয়েট ভীত চোখে রোমিওর আরও কাছে আসে,
সূর্যের পতাকা হাতে দৃঢ় পায়ে হেঁটে যায় স্বাধীন যুবক,
ছুরি আর সাপ পোষে স্বৈরাচারী আয়ুবের খাস বশংবদ...
এসব দুপাশে রেখে মুচকি হেসে
অক্ষরবৃত্তের পায়ে তুমি এলে কবিতার ক্লাসে।
বুড়ো লিয়ারের দুঃখে সমব্যথী, প্রিয়তর তবু কর্ডেলিয়া,
নিজে তো হ্যামলেট নও, তবু কেন কাঁদে ওফেলিয়া
তোমার তৃষিত বুকে! চাওনি তো অন্য কোনো ট্রয়,
যদিও কবির বুক বিদ্ধ করে সুন্দরী ধনুক থেকে
ছুটে-আসা লক্ষ্যভেদী তির; গণমানুষের বিজয় অক্ষয়
মেনে বিক্ষত কবির মুখে শোণিতার্দ্র হাসি,
নরকে আগুন জ্বেলে কবি বলে ‘তবু ভালোবাসি’।
তুমিও বেসেছ ভালো সেহ অগ্নি, সেহ রশ্মি, দহন, কবিতা
মানুষের চিত্তশুদ্ধি, গোত্রে গোত্রে মুক্তবুদ্ধি, বাঙালির আলোর সবিতা
অপূর্ণ মানুষ দেখে তাই তো তোমার বুকে শুরু হয় অনন্ত ক্ষরণ
লিয়ারের স্মৃতিভ্রম, ইয়েটসের দুখী বুকে জেদি মড গন।
এ সবকে মান্য করে মানুষের সুকঠিন এই পথ চলা,
সেই পারে, যে শিখেছে যাপনের সব ছলাকলা।
আমরা শিখিনি,
আমাদের সঙ্গে সঙ্গে এ ধরণী জনম দুখিনী।
No comments