ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়-ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, আহত ৫০ আটজন আটক
আবারও অস্থির হয়ে উঠছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে ছাত্রদলের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় তারা পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছে। এক পর্যায়ে ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদল কর্মীরা শিক্ষকদের ডরমিটরিতে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগের কর্মীরা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। ওই সময় প্রাণভয়ে শিক্ষকরা স্ত্রী-সন্তানসহ ডরমিটরি ছেড়ে যান।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ছাত্রদলের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিসহ আটজনকে আটক করেছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে দলীয় কর্মীর হাতে তুলে দেন। জাহাঙ্গীর অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার চেষ্টা করে। প্রক্টর তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাশেদসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিল-সমাবেশ শেষ হওয়ার পর ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। তখন ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী সংগঠিত হয়ে তাঁদের ধাওয়া করলে তাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।
দুপুর ১২টায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আবার সংগঠিত হয়ে তিন নম্বর ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন। তাঁরা প্রশাসন ভবনের পাশে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আবার তাঁদের ধাওয়া করে। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুজার গিফারী গাফ্ফার, মিজু, হিটলার, লেলিন, হালিম, লেলিনসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।
অন্যদিকে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, প্রচার সম্পাদক সবুরে নিশান সৌরভ, দপ্তর সম্পাদক শাহেদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের, মাহতাব হোসেন, রাসেল, ফরহাদ, হসিব, ফিরোজ, আফজালসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদের ডরমিটরিতে অবস্থান নেন। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। প্রাণভয়ে শিক্ষকরা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ডরমিটরি ত্যাগ করেন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মীকে ডরমিটরিতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর আড়াইটায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন ডরমিটরিতে তল্লাশি চালিয়ে ছাত্রদল সভাপতি ওমর ফারুকসহ আটজন নেতা-কর্মীকে আটক করেন। আটককৃত অন্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক মো. রিপন, সহ্নীড়া সম্পাদক মো. আরিফ, সদস্য মনির, মাহতাব, আনিস, আমিরুল এবং রোভার স্কাউট অফিসের পিয়ন হাসান।
আটককৃতদের বিশ্ববিদ্যালয় থানায় রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ছাত্রদলের কয়েক নেতা অভিযোগ করেন, সংঘর্ষ চলার সময় ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে অস্ত্র কড়ে নেন এবং পরে তাঁর এক কর্মী ওই অস্ত্র দিয়ে তাঁদের ওপর গুলি চালান।
অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আগে আমাদের ওপর হামলা করেছে।'
ইবি থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, 'ছাত্রলীগ নেতার পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই এবং এখনো আমাকে কেউ জানায়নি।'
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল করলে এ সংঘর্ষ বাধে। তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।'
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ছাত্রদলের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিসহ আটজনকে আটক করেছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে দলীয় কর্মীর হাতে তুলে দেন। জাহাঙ্গীর অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার চেষ্টা করে। প্রক্টর তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাশেদসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিল-সমাবেশ শেষ হওয়ার পর ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। তখন ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী সংগঠিত হয়ে তাঁদের ধাওয়া করলে তাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।
দুপুর ১২টায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আবার সংগঠিত হয়ে তিন নম্বর ফটক দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন। তাঁরা প্রশাসন ভবনের পাশে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আবার তাঁদের ধাওয়া করে। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ছাত্রলীগের বঙ্গবন্ধু হল সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবুজার গিফারী গাফ্ফার, মিজু, হিটলার, লেলিন, হালিম, লেলিনসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।
অন্যদিকে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, প্রচার সম্পাদক সবুরে নিশান সৌরভ, দপ্তর সম্পাদক শাহেদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের, মাহতাব হোসেন, রাসেল, ফরহাদ, হসিব, ফিরোজ, আফজালসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সংঘর্ষের সময় পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা শিক্ষকদের ডরমিটরিতে অবস্থান নেন। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। প্রাণভয়ে শিক্ষকরা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ডরমিটরি ত্যাগ করেন।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রদলের প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মীকে ডরমিটরিতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর আড়াইটায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন ডরমিটরিতে তল্লাশি চালিয়ে ছাত্রদল সভাপতি ওমর ফারুকসহ আটজন নেতা-কর্মীকে আটক করেন। আটককৃত অন্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক মো. রিপন, সহ্নীড়া সম্পাদক মো. আরিফ, সদস্য মনির, মাহতাব, আনিস, আমিরুল এবং রোভার স্কাউট অফিসের পিয়ন হাসান।
আটককৃতদের বিশ্ববিদ্যালয় থানায় রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ছাত্রদলের কয়েক নেতা অভিযোগ করেন, সংঘর্ষ চলার সময় ছাত্রলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে অস্ত্র কড়ে নেন এবং পরে তাঁর এক কর্মী ওই অস্ত্র দিয়ে তাঁদের ওপর গুলি চালান।
অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আগে আমাদের ওপর হামলা করেছে।'
ইবি থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, 'ছাত্রলীগ নেতার পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই এবং এখনো আমাকে কেউ জানায়নি।'
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল করলে এ সংঘর্ষ বাধে। তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।'
No comments