উন্নয়নে সব ধরনের সহায়তা দেবে কুয়েত- আমির ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক

 বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পে কুয়েত সকল ধরনের সহায়তা করার গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। এছাড়া সোমবার ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাৰিক বাণিজ্য ও ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে কুয়েত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়েতে সেদেশের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ এবং কুয়েতী প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের আল-মুহাম্মদ আল-আহমেদ আল-সাবাহর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। সে সময় তাঁরা শেখ হাসিনাকে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিন শেখ হাসিনা ব্যসত্ম সময় কাটান। ওই বৈঠকে তাঁরা দু'দেশের পারস্পরিক কল্যাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী জনশক্তি রফতানি, নদী খনন এবং বাংলাদেশে কুয়েতী বিনিয়োগের মতো গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বাংলাদেশের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ নীতির কথা উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী কুয়েতী উদ্যোক্তাদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশী বিনিয়োগের জন্য তাঁর সরকার সম্ভাব্য সহায়তা দেবে। জনশক্তি রফতানি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার শ্রমিকদের ভাষা, প্রথা, আইন এবং টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রশিৰণ দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কুয়েত তার নির্মাণ, বিদু্যত, পানি, বিমান, পেট্রো কেমিক্যাল, গ্যাস, হাসপাতাল প্রভৃতি সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে দৰ এবং অর্ধ দৰ শ্রমিক আমদানি করতে পারে। তাঁর সরকার কর্তৃক গণমুখী বিভিন্ন কর্মসূচীর কথা উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি ৰেত্রে তাঁর সরকার ভতর্ুকি দিচ্ছে। বৈঠককালে হাসিনা বাংলাদেশের নদী খননের মতো বিশাল কর্মসূচীর কথা তুলে ধরেন এবং এ ৰেত্রে তিনি কুয়েতের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠককালে গত নির্বাচনে বড় ধরনের বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে কুয়েতের আমির এবং প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান। এ সময় তাঁরা আশা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনার যোগ্য ও বিচৰণ নেতৃত্বে বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র দৃঢ় ও সুসংহত রূপ লাভ করবে।
এদিকে দুই ছোট শিশু শেখ হাসিনাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। পরে কুয়েতী প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিপরিষদ ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সে সময় বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীও তাঁর সফরসঙ্গীদের সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর তিনি কুয়েতী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। এরপর তিনি সাইফ প্যালেসে যান এবং সেখানে আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন। শেখ হাসিনা (কুয়েতী পার্লামেন্টের স্পীকার জাসেম আল খোরাফির সঙ্গে সাৰাত করেন। তাদের মধ্যে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করাসহ বিভিন্ন দ্বিপাৰিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শেখ হাসিনার সঙ্গে এ সময় শেখ রেহানা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসাইন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কুয়েতে বাংলাদেশে, রাষ্ট্রদূত শহিদ রেজা, মুখ্যসচিব এমএ করিম, প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ এবং উপ প্রেস সচিব মাহবুবুল হক সাকিল উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.