সিসিমপুর- টুকটুকির ইচ্ছা

টুকটুকি, শিকু, ইকরি ও হালুমকে নিয়ে সিসিমপুরের গল্প। সঙ্গে আছে আরও অনেকে। সবাই মিলে নানা কাণ্ড ঘটায় এখানে, যা জানতে হলেপড়তে হবে।
টুকটুকি ঘরের দাওয়ায় বই পড়ছে। বইটার প্রথম পাতায় একটা বাসের ছবি। ড্রাইভার বাসটি রাস্তা দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ছবিটা দেখে টুকটুকির ইচ্ছে হলো, সে বড় হয়ে বাসড্রাইভার হবে। বাসড্রাইভার বাস চালিয়ে মানুষকে নানান জায়গায় পৌঁছে দেয়। কত মজার মজার জায়গা দেখে!
এমন সময় ইকরি এলে টুকটুকি তার ইচ্ছার কথা ইকরিকে জানায়।
ইকরি বলে, দারুণ ভাবনা! ইকরি এখন সবাইকে গিয়ে বলবে! ইকরি চলে যায়।
ঠিক তখনই হাঁচি শোনা যায়। টুকটুকি দেখে, রুমাল দিয়ে নাক মুছতে মুছতে শিকু আসে। সে বলে, কী ভাবছ? টুকটুকি বলে, ভাবছি বড় হয়ে ডাক্তার হব। ডাক্তার হওয়ার দারুণ মজা!
শিকু বলে, বাহ্ খুব ভালো! তুমি ডাক্তার হলে আমাদের চিকিৎসা করতে পারবে। শিকু চলে যায়।
সুমনা টুকটুকির স্কুলশিক্ষক। সে কত কিছু শেখে সুমনার কাছে। সুমনাকে দেখে টুকটুকি ভাবে, বড় হয়ে স্কুলশিক্ষক হবে। এমন সময় হালুম এলে সে তার ভাবনার কথা হালুমকে জানায়। হালুম তার ইচ্ছার প্রশংসা করে চলে যায়।
এদিকে বটতলায় শিকু, ইকরি আর হালুমের মধ্যে লেগে গেছে তালগোল। ইকরি বলেছে, টুকটুকি বড় হয়ে বাসড্রাইভার হবে! শিকু বলছে, টুকটুকি ডাক্তার হবে। হালুম বলছে, টুকটুকি স্কুলশিক্ষক হবে। ঠিক সে সময় টুকটুকি এসে হাজির।
সবার কথা শুনে টুকটুকি একটু ভাবে, তারপর হেসে বলে, আমি বড় হয়ে বাসড্রাইভার হব, ডাক্তার হব আর স্কুলশিক্ষক হব!
সবাই অবাক! কীভাবে?!
টুকটুকি হেসে বলে, খুব সোজা! বাসড্রাইভার টুকটুকি বাস চালিয়ে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে নিয়ে যাবে। তারপর স্কুলে তাদের শিক্ষক টুকটুকি পড়াবে। আর তাদের কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তার টুকটুকি চিকিৎসা করে সুস্থ করবে!
টুকটুকির ইচ্ছার কথা শুনে সবাই দারুণ খুশি হয়!

No comments

Powered by Blogger.