দুই পক্ষের সম্মতিতে কাশ্মীরে অস্ত্রবিরতি কার্যকর-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মনমোহন : খুরশিদ
কাশ্মীরের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ফের অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পার হয়ে ভয়াবহ গোলাগুলি বন্ধে গত বুধবার উভয় দেশের সেনাবাহিনী একমত হয়।
এর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনিও গতকাল মন্ত্রিসভায় বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার পথ পুরো বন্ধ হয়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। চলমান অস্থিরতা নিরসনে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুরশিদ গতকাল বলেন, আলোচনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
গত বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল বিনোদ ভাটিয়া ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জেনারেল আশফাক নাদিম টেলিফোনে কথা বলেন। এই দুই জেনারেলের ১০ মিনিটের আলোচনায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারে মতৈক্য হয়। ভারতীয় উত্তরাঞ্চল কমান্ডের মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া গতকাল বলেন, 'নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারে উভয় পক্ষের একমত হওয়ার পর তা লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।'
গত ৬ জানুয়ারি থেকে কয়েক দফা হামলা ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। এতে ভারতের দুই ও পাকিস্তানের তিন সেনা মারা যাওয়ার দাবি করা হয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে এক পাকিস্তানি সেনা মারা যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত বুধবার উভয় দেশের সেনাবাহিনী অস্ত্রবিরতি না ভাঙার ব্যাপারে একমত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আলোচনার আহ্বান জানান হিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুরশিদ গতকাল বলেন, 'আমাদের মধ্যে মতবিরোধ দূর করতে হবে। নিজেদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, জাতির অনুভূতিতে যাতে আঘাত না করে_এমন প্রজ্ঞার সঙ্গে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।' দুই দেশের সমস্যা কেবল দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব_এ কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আলোচনার জন্য অনুকূল পরিবেশ দরকার। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর বার্তা অনুধাবন করবে পাকিস্তান।' মনমোহন গত মঙ্গলবার বলেন, পাকিস্তান যে কাজ করেছে তাতে দেশটির সম্পর্ক আর স্বাভাবিক থাকতে পারে না। অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে খুরশিদ বলেন, 'কিছু ব্যাপার ইতিবাচক। সামরিক বাহিনীর তরফে আমরা যে খবর পেয়েছি, তাকে স্বাগত জানাই।' তবে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ওপর জোর দেন তিনি।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এএফপি।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার পথ পুরো বন্ধ হয়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। চলমান অস্থিরতা নিরসনে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুরশিদ গতকাল বলেন, আলোচনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
গত বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল বিনোদ ভাটিয়া ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জেনারেল আশফাক নাদিম টেলিফোনে কথা বলেন। এই দুই জেনারেলের ১০ মিনিটের আলোচনায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারে মতৈক্য হয়। ভারতীয় উত্তরাঞ্চল কমান্ডের মুখপাত্র রাজেশ কালিয়া গতকাল বলেন, 'নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্রবিরতি মেনে চলার ব্যাপারে উভয় পক্ষের একমত হওয়ার পর তা লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।'
গত ৬ জানুয়ারি থেকে কয়েক দফা হামলা ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে। এতে ভারতের দুই ও পাকিস্তানের তিন সেনা মারা যাওয়ার দাবি করা হয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে এক পাকিস্তানি সেনা মারা যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত বুধবার উভয় দেশের সেনাবাহিনী অস্ত্রবিরতি না ভাঙার ব্যাপারে একমত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আলোচনার আহ্বান জানান হিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুরশিদ গতকাল বলেন, 'আমাদের মধ্যে মতবিরোধ দূর করতে হবে। নিজেদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, জাতির অনুভূতিতে যাতে আঘাত না করে_এমন প্রজ্ঞার সঙ্গে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।' দুই দেশের সমস্যা কেবল দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব_এ কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আলোচনার জন্য অনুকূল পরিবেশ দরকার। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর বার্তা অনুধাবন করবে পাকিস্তান।' মনমোহন গত মঙ্গলবার বলেন, পাকিস্তান যে কাজ করেছে তাতে দেশটির সম্পর্ক আর স্বাভাবিক থাকতে পারে না। অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে খুরশিদ বলেন, 'কিছু ব্যাপার ইতিবাচক। সামরিক বাহিনীর তরফে আমরা যে খবর পেয়েছি, তাকে স্বাগত জানাই।' তবে সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ওপর জোর দেন তিনি।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, এএফপি।
No comments