মন্ত্রীরা বিশ্বকাপের ২০টি করে টিকিট চাইলেন-বুথ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

সারা দেশের ক্রিকেটপাগল জনতার মতো মন্ত্রিসভার সদস্যরাও বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য মরিয়া। তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ২০টি করে টিকিট চেয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এ অনুরোধে সাড়া দেননি।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বলেন, আ�ীয়স্বজন তাঁদের কাছে টিকিটের প্রত্যাশা করেন। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁদের পক্ষে টিকিট কেনা সম্ভব নয়। তাই তাঁরা প্রত্যেকের জন্য অন্তত ২০টি করে টিকিটের ব্যবস্থা করার দাবি জানান প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের বলেছেন, বিষয়টি অর্থমন্ত্রী ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং বিশ্বকাপের টিকিট যাতে সবাই সহজে সংগ্রহ করতে পারেন, সেজন্য টিকিট বিক্রির জন্য অনুমোদিত ব্যাংক দুটিকে ঢাকাসহ সারা দেশে বুথের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি বৈঠকে শেখ হাসিনা বিশ্বকাপ চলাকালে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বড় টিভি স্ক্রিন স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রবিবার থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ক্রিকেটের টিকিট বিক্রি হচ্ছে সিটি ব্যাংকের ৫০টি ও অগ্রণী ব্যাংকের ৩০টি শাখায়। টিকিট সংগ্রহ নিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে চলতি বছর জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ভাষণের খসড়া পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ৭৩(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রতি বছর সংসদের প্রথম অধিবেশনে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর ভাষণ দেন।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা রাষ্ট্রপতির ভাষণে চলতি মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নানামুখী কার্যক্রমের সর্বশেষ তথ্য সংযোজনের লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, মুখ্যসচিব এম এ করিম, অর্থসচিব ড. মোহাম্মদ তারেক ও শিক্ষাসচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
কমিটির সদস্যরা ভাষণের খসড়ায় চলতি মাস পর্যন্ত সব মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের হালনাগাদ তথ্য অন্তর্ভুক্ত করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের শুরুতেই সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সর্বশেষ তথ্য সংযোজনের নির্দেশ দেন।

No comments

Powered by Blogger.