হাইকোর্টের রায় ছয় সপ্তাহ স্থগিত- ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স
ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে আপীল বিভাগের চেম্বার জজ। এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের সার্টিফিকেট তুলে লিভ-টু আপীল করতে হবে।
সোমবার চেম্বার বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত হয়ে গেল। তিন বাহিনী প্রধানের পদমর্যাদা কম (ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স) জেলা জজদের নিচে নামাতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরম্নদ্ধে রবিবার আপীল আবেদন করে সরকার। সোমবার চেম্বার জজে এর শুনানি হয়। এর মধ্য দিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরম্নদ্ধে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হলো।সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরম্নদ্ধে বিগত সরকার আপীল আবেদন করলেও বর্তমান সরকার কিছুদিন আগেই তা প্রত্যাহার করে নেয়। অর্থাৎ সে ৰেত্রে হাইকোর্টের রায় তারা মেনে নিয়েছিল। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এক আদেশে বর্তমান পদমর্যাদাক্রম তালিকা অবৈধ ঘোষণা করে জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের তিন বাহিনীর প্রধানের ওপরে স্থান দিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেয়।
চেম্বার জজের আদেশের পর এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, "হাইকোর্টের রায়ের ফলে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। সেজন্যই আদালতের এ রায়ের বিরম্নদ্ধে আমরা স্থগিতাদেশের আবেদনের পাশাপাশি আপীল করার সিদ্ধানত্ম নিয়েছি। কি ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জানতে চাইলে এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'তিন বাহিনী প্রধানদের ওপর যদি জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের স্থান দেয়া হয় তাহলে সারাদেশে যে পরিমাণ জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তা রয়েছে কোন অনুষ্ঠানে তাঁদের জন্য আসন বরাদ্দ রাখতে হলে অনেক জায়গার প্রয়োজন হবে। এটি দৃষ্টিকটু দেখায়। তিনি আরও বলেন, 'যিনি রিটটি করেছেন তিনি একজন যুগ্ম জেলা জজ। তিনি দাবি করেছেন, তাঁদের পদটা সাংবিধানিক। কিন্তু তা ঠিক নয়। জুডিশিয়াল সার্ভিসের কর্মকর্তারা নিজেদের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পরিচয় না দিলেও তাঁরা প্রকৃতপৰে প্রজাতন্ত্রেরই কর্মচারী। ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন ২০০৬ সালের একটি রিট আবেদন করে।
বর্তমান পদমর্যাদাক্রম তালিকায় তিন বাহিনীর প্রধানরা মন্ত্রিপরিষদ ও মুখ্য সচিবের সঙ্গে ১২ নম্বর অবস্থানে আছেন। অন্যদিকে জেলা জজসহ এ মর্যাদার কর্মকর্তাদের স্থান ২৪ নম্বরে।
No comments