দিল্লির গণধর্ষণ মামলা দ্রুতবিচার আদালতে
নয়াদিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের মামলা দ্রুতবিচার দায়রা আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম নম্রিতা আগরওয়াল এ আদেশ দেন। দ্রুতবিচার আদালতে মামলার শুনানি শুরু হবে ২১ জানুয়ারি থেকে।
এদিকে সরকারের নেওয়া ব্যবস্থায় অসন্তুষ্ট জনতা আবারও রাজধানীতে বিক্ষোভ শুরু করেছে। গত বুধবার থেকেই মোমবাতি ও প্ল্যাকার্ড হাতে যন্তরমন্তর এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ করতে শুরু করে শিক্ষার্থী ও নারীসহ হাজারো মানুষ।
এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তিকে কারাগারের অন্য কয়েদিরা বেদম পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মারা যান।
গণধর্ষণের মামলাটি গতকাল অতিরিক্ত দায়রা বিচারক যোগেশ খান্নার দ্রুতবিচার আদালতে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে অভিযোগপত্রের সঙ্গে থাকা তথ্যগুলো পরীক্ষা করেন মহানগর হাকিম নম্রিতা।
দিল্লিতে গণধর্ষণের ঘটনার পরপরই এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ষষ্ঠ ব্যক্তি নিজেকে নাবালক দাবি করায় কিশোর বিচার আদালতে তার বিচার হবে।
এদিকে ২৩ বছরের ওই তরুণীর ওপর হামলার এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর গত বুধবার থেকে দিল্লিতে আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। 'সর্বভারতীয় প্রগতিশীল নারী অ্যাসোসিয়েশনের' সচিব কবিতা কৃষ্ণান বলেন, 'গত এক মাসে সরকার আমাদের একটি দাবিও পূরণ করেনি। একটি হেল্পলাইন ও কয়েকটি রাত্রিকালীন বাসের ব্যবস্থা করাই যথেষ্ট নয়। আমরা লৈঙ্গিক সুবিচার আইন, আরো বেশি দ্রুতবিচার আদালত ও বিচারক, নারীরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশের জন্য একটি সৌজন্য বিধি, নিরাপদ যানবাহন এবং যৌন সহিংসতার জমে থাকা এক লাখ মামলার দ্রুত বিচার চাই।'
এ ছাড়া অভিযুক্তদের একজন শরীরচর্চা প্রশিক্ষক বিনয় শর্মাকে কারাগারের অন্য বন্দিরা বেদম পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী এ পি সিং। কারাগার কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিরাপত্তা দেয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলের আদালতে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। অভিযুক্ত পাঁচজনকেই দিল্লির তিহার জেলে রাখা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত বাসচালক রাম সিংয়ের আইনজীবী মামলার কার্যক্রম রাজধানী থেকে সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'দিল্লিতে ন্যায়বিচার সম্ভব নয়।' সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস।
এ ছাড়া ১৬ ডিসেম্বর গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তিকে কারাগারের অন্য কয়েদিরা বেদম পিটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মারা যান।
গণধর্ষণের মামলাটি গতকাল অতিরিক্ত দায়রা বিচারক যোগেশ খান্নার দ্রুতবিচার আদালতে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে অভিযোগপত্রের সঙ্গে থাকা তথ্যগুলো পরীক্ষা করেন মহানগর হাকিম নম্রিতা।
দিল্লিতে গণধর্ষণের ঘটনার পরপরই এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ষষ্ঠ ব্যক্তি নিজেকে নাবালক দাবি করায় কিশোর বিচার আদালতে তার বিচার হবে।
এদিকে ২৩ বছরের ওই তরুণীর ওপর হামলার এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর গত বুধবার থেকে দিল্লিতে আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। 'সর্বভারতীয় প্রগতিশীল নারী অ্যাসোসিয়েশনের' সচিব কবিতা কৃষ্ণান বলেন, 'গত এক মাসে সরকার আমাদের একটি দাবিও পূরণ করেনি। একটি হেল্পলাইন ও কয়েকটি রাত্রিকালীন বাসের ব্যবস্থা করাই যথেষ্ট নয়। আমরা লৈঙ্গিক সুবিচার আইন, আরো বেশি দ্রুতবিচার আদালত ও বিচারক, নারীরা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশের জন্য একটি সৌজন্য বিধি, নিরাপদ যানবাহন এবং যৌন সহিংসতার জমে থাকা এক লাখ মামলার দ্রুত বিচার চাই।'
এ ছাড়া অভিযুক্তদের একজন শরীরচর্চা প্রশিক্ষক বিনয় শর্মাকে কারাগারের অন্য বন্দিরা বেদম পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী এ পি সিং। কারাগার কর্তৃপক্ষ যথাযথ নিরাপত্তা দেয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাঁর মক্কেলের আদালতে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। অভিযুক্ত পাঁচজনকেই দিল্লির তিহার জেলে রাখা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত বাসচালক রাম সিংয়ের আইনজীবী মামলার কার্যক্রম রাজধানী থেকে সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'দিল্লিতে ন্যায়বিচার সম্ভব নয়।' সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস।
No comments