আফ্রিকার প্রতি মনোযোগ বাড়ছে ওবামার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কৌশলগতভাবে আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই মহাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে ওবামা এ বছর অধিক মনোযোগী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কেনীয় বংশোদ্ভূত বাবার সন্তান ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আফ্রিকার প্রত্যাশা বেড়েছে। যদিও ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার, আফগানিস্তানে তালেবানবিরোধী লড়াই ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের মতো বিষয়গুলোর কারণে এতদিন আফ্রিকার দিকে আলাদা করে মনোযোগ দিতে পারেননি ওবামা। তাঁর সহকারীরা মনে করেন, ওই বিষয়গুলো একটা অবস্থানে দাঁড়িয়ে যাওয়ায় এখন ওবামা তাঁর আন্তর্জাতিক গতিবিধি আরেকটু বাড়াতে পারেন। আফ্রিকায় সুশাসন ও শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তাই হবে ওবামার মূল লক্ষ্য। দুই বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘানায় এক রাতের সফরে গিয়ে এই বার্তাই প্রচার করেছিলেন তিনি। ওবামার মতে, গণতন্ত্রই হচ্ছে আফ্রিকার দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের প্রধান শর্ত।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী বছর পুনর্নির্বাচনের লক্ষ্যে দৌড়ঝাপ শুরু হওয়ার আগে এ বছরই আফ্রিকা সফরে যাবেন প্রেসিডেন্ট। যদিও ওবামার সফরসূচি এখনো ঠিক করা হয়নি। নাইজেরিয়া ও জিম্বাবুয়েসহ এ বছর আফ্রিকার ৩০টি দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে দিকে দৃষ্টি রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের। মার্কিন গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের জ্যেষ্ঠ গবেষক ও নাইজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন ক্যাম্পবেল বলেন, 'আফ্রিকান দেশগুলোর নির্বাচনই ওবামা প্রশাসনকে স্পষ্ট নীতিনির্ধারণের সুযোগ করে দেবে। ইতিমধ্যেই আইভরি কোস্টের বিতর্কিত নির্বাচন ও সুদানের গণভোটের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই দফায় দফায় সুদানের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ দেখিয়েছেন ওবামা। দক্ষিণ সুদানের নেতা সালভা কিরকে নির্বাচনে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়ে টেলিফোনে কথাও বলেছেন তিনি।
আইভরি কোস্টে নির্বাচন-পরবর্তী অচলাবস্থা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে ওবামার। গত মাসেই তিনি সেখানকার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট লঁরা বাগবোর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। না পেরে বার্তা পাঠান তাঁকে। ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালে আন্তর্জাতিক একটি দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দেন তাঁকে। একই সঙ্গে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকলে জটিল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়। সূত্র : এপি।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী বছর পুনর্নির্বাচনের লক্ষ্যে দৌড়ঝাপ শুরু হওয়ার আগে এ বছরই আফ্রিকা সফরে যাবেন প্রেসিডেন্ট। যদিও ওবামার সফরসূচি এখনো ঠিক করা হয়নি। নাইজেরিয়া ও জিম্বাবুয়েসহ এ বছর আফ্রিকার ৩০টি দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে দিকে দৃষ্টি রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের। মার্কিন গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের জ্যেষ্ঠ গবেষক ও নাইজেরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন ক্যাম্পবেল বলেন, 'আফ্রিকান দেশগুলোর নির্বাচনই ওবামা প্রশাসনকে স্পষ্ট নীতিনির্ধারণের সুযোগ করে দেবে। ইতিমধ্যেই আইভরি কোস্টের বিতর্কিত নির্বাচন ও সুদানের গণভোটের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই দফায় দফায় সুদানের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ দেখিয়েছেন ওবামা। দক্ষিণ সুদানের নেতা সালভা কিরকে নির্বাচনে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়ে টেলিফোনে কথাও বলেছেন তিনি।
আইভরি কোস্টে নির্বাচন-পরবর্তী অচলাবস্থা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে ওবামার। গত মাসেই তিনি সেখানকার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট লঁরা বাগবোর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। না পেরে বার্তা পাঠান তাঁকে। ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালে আন্তর্জাতিক একটি দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব দেন তাঁকে। একই সঙ্গে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকলে জটিল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়। সূত্র : এপি।
No comments