টিকিট নিয়ে তুলকালাম
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ঝোড়ো বাতাস বাংলাদেশকেও ছুঁয়ে গেল। টিকিট নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে। গত রবিবার টিকিট বিক্রির প্রথম দিনই দুটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় ছিল উপচে পড়া ভিড়। সে ভিড় ঠেলে কেউ টিকিট পেয়েছেন, কেউ পাননি। বয়স কোনো বাধা ছিল না।
উৎসবের আমেজে আগের দিন থেকে অনেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন লাইনে। রাত যত বেড়েছে, লাইন তত দীর্ঘ হয়েছে। রাত জাগার কষ্ট, দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টার বেশি সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট_সব মুছে গেছে একটি টিকিট পাওয়ার আনন্দে। আবার দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁরা পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে চেয়েছেন। কিন্তু অনেক জায়গায় প্রথম দিনই শেষ হয়ে গেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের টিকিট।
বাঙালির ক্রীড়াপ্রীতি নতুন কিছু নয়। যেকোনো ক্রীড়ানুষ্ঠানেই বাঙালি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো একটি বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার কয়েকটি ম্যাচ বাংলাদেশে হবে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের আগ্রহ ম্যাচগুলো নিয়ে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয় দর্শকদের প্রত্যাশা ও আগ্রহ আরো বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেশের প্রতিটি মানুষকে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। দর্শকদের আশা, আসন্ন বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক ফল করবে। খেলার মাঠে নিজের দেশের ভালো ফলের সাক্ষী হতে চান দর্শকরা। সে কারণেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের টিকিট পাওয়ার জন্য এত আগ্রহ তাঁদের। এ ছাড়া আবার কবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাংলাদেশে হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, অনেক দেশই এমন মহাযজ্ঞ আয়োজনের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে। কাজেই নিজ দেশে ক্রিকেট মহাযজ্ঞে অংশ নেওয়ার আগ্রহ সবারই। তাই আগের দিন থেকেই লাইন শুরু হয়েছিল, সেখানে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও দাঁড়িয়েছিলেন। রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। সকালে ব্যাংক খোলার পর অনেকে পাওয়ার আনন্দে ভেসেছেন, অনেকে হতাশায় ডুবে আবার সান্ত্বনা খুঁজতে চেয়েছেন এই ভেবে যে পরদিন টিকিট পাওয়া যাবে। কিন্তু এর পরই নেমে এল হতাশা_টিকিট শেষ! অনেকের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গেছে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে টিকিট দিয়েছেন_এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। বেশ কয়েক জায়গায় টিকিটপ্রাপ্তি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একটি টিকিট পেতেও সময় লেগেছে অনেক। কোথাও কোথাও পুলিশকে বিক্ষুব্ধ দর্শকদের লাঠিপেটা করতে হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত।
বাংলাদেশ অনেক পথ পেরিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূল আসরে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেটে সাফল্য সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে দেশের দর্শকদের আগ্রহ বেশি থাকবে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর বসছে, এটাও দেশের জন্য একটি বড় ব্যাপার। সেই আসর সর্বাঙ্গসুন্দর হবে_সেটাই সবার চাওয়া। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের যে ম্যাচগুলো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলোর জন্য দর্শকদের আগ্রহ থাকবে_এটা আয়োজকদের স্মরণ রাখা দরকার। একটি টিকিট সবাই পেতে চাইবে। কিন্তু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা অনুযায়ীই টিকিট ছাড়া হবে। কাজেই সবার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করা যাবে না। তাই বলে অপ্রাপ্তির হতাশা যেন আমাদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আনন্দ ম্লান করে না দেয়।
বাঙালির ক্রীড়াপ্রীতি নতুন কিছু নয়। যেকোনো ক্রীড়ানুষ্ঠানেই বাঙালি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো একটি বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার কয়েকটি ম্যাচ বাংলাদেশে হবে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের আগ্রহ ম্যাচগুলো নিয়ে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয় দর্শকদের প্রত্যাশা ও আগ্রহ আরো বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেশের প্রতিটি মানুষকে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। দর্শকদের আশা, আসন্ন বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক ফল করবে। খেলার মাঠে নিজের দেশের ভালো ফলের সাক্ষী হতে চান দর্শকরা। সে কারণেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের টিকিট পাওয়ার জন্য এত আগ্রহ তাঁদের। এ ছাড়া আবার কবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাংলাদেশে হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, অনেক দেশই এমন মহাযজ্ঞ আয়োজনের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে। কাজেই নিজ দেশে ক্রিকেট মহাযজ্ঞে অংশ নেওয়ার আগ্রহ সবারই। তাই আগের দিন থেকেই লাইন শুরু হয়েছিল, সেখানে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও দাঁড়িয়েছিলেন। রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। সকালে ব্যাংক খোলার পর অনেকে পাওয়ার আনন্দে ভেসেছেন, অনেকে হতাশায় ডুবে আবার সান্ত্বনা খুঁজতে চেয়েছেন এই ভেবে যে পরদিন টিকিট পাওয়া যাবে। কিন্তু এর পরই নেমে এল হতাশা_টিকিট শেষ! অনেকের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও পাওয়া গেছে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে টিকিট দিয়েছেন_এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। বেশ কয়েক জায়গায় টিকিটপ্রাপ্তি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একটি টিকিট পেতেও সময় লেগেছে অনেক। কোথাও কোথাও পুলিশকে বিক্ষুব্ধ দর্শকদের লাঠিপেটা করতে হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত।
বাংলাদেশ অনেক পথ পেরিয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মূল আসরে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেটে সাফল্য সবচেয়ে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে দেশের দর্শকদের আগ্রহ বেশি থাকবে। বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর বসছে, এটাও দেশের জন্য একটি বড় ব্যাপার। সেই আসর সর্বাঙ্গসুন্দর হবে_সেটাই সবার চাওয়া। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের যে ম্যাচগুলো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলোর জন্য দর্শকদের আগ্রহ থাকবে_এটা আয়োজকদের স্মরণ রাখা দরকার। একটি টিকিট সবাই পেতে চাইবে। কিন্তু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা অনুযায়ীই টিকিট ছাড়া হবে। কাজেই সবার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করা যাবে না। তাই বলে অপ্রাপ্তির হতাশা যেন আমাদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আনন্দ ম্লান করে না দেয়।
No comments