অস্ট্রেলিয়ায় প্লাবনে তিনজনের মৃত্যু
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। কুইন্সল্যান্ডের ২২টি শহরের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যায় গত রবি ও সোমবার অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সামরিক বিমানে করে সাহায্যসামগ্রী সরবরাহ করছে কর্তৃপক্ষ।
স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকাটি জার্মানি ও ফ্রান্সের আয়তনের চেয়েও বেশি। বন্যায় ওই অঞ্চলের জনজীবন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই লাখের বেশি মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
কুইন্সল্যান্ডের অন্যতম প্রধান শহর রকহ্যাম্পটনে গতকাল সামরিক বিমানে করে সাহায্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। শহরটির ৪০ শতাংশই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শহরের বাকি অংশও ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে। রকহ্যাম্পটনে প্রায় ৭৭ হাজার মানুষ বাস করে। তাদের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। শহরটির প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। প্রধান প্রধান সড়ক ও রেলপথ বন্ধ হয়ে গেছে। কুইন্সল্যান্ডের জরুরি সমন্বয়ক ও পুলিশের উপকমিশনার ল্যান স্টেওয়ার্ট গতকাল বলেন, 'আজ আমরা সামরিক বিমানে করে সাহায্যসামগ্রী সরবরাহ করেছি। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা পর্যন্ত এভাবে সাহায্য তৎপরতা চালিয়ে যাব।'
আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, 'রকহ্যাম্পটনের পার্শ্ববর্তী ফিৎজরয় নদীতে পানিস্তর সোমবার ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী বুধবার পর্যন্ত ৯.৪ মিটার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আরো চার হাজার বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়বে।' কুইন্সল্যান্ড কর্তৃপক্ষ গতকাল বন্যায় দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। গত রবিবার আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ কয়লা ও গম উৎপাদন। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের চতুর্থ প্রধান গম রপ্তানিকারক দেশ। দেশের মোট গম উৎপাদনের অর্ধেকই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যায় কয়লা উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান রপ্তানি আয় আসে কয়লা খাত থেকে।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড গতকাল বলেন, 'এটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। এর জন্য জাতীয় ও সমন্বিত পর্যায়ে সাড়া প্রয়োজন। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণ দেওয়া হবে।' কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে আরো এক মাস লাগবে। সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স।
কুইন্সল্যান্ডের অন্যতম প্রধান শহর রকহ্যাম্পটনে গতকাল সামরিক বিমানে করে সাহায্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। শহরটির ৪০ শতাংশই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শহরের বাকি অংশও ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে। রকহ্যাম্পটনে প্রায় ৭৭ হাজার মানুষ বাস করে। তাদের অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। শহরটির প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। প্রধান প্রধান সড়ক ও রেলপথ বন্ধ হয়ে গেছে। কুইন্সল্যান্ডের জরুরি সমন্বয়ক ও পুলিশের উপকমিশনার ল্যান স্টেওয়ার্ট গতকাল বলেন, 'আজ আমরা সামরিক বিমানে করে সাহায্যসামগ্রী সরবরাহ করেছি। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা পর্যন্ত এভাবে সাহায্য তৎপরতা চালিয়ে যাব।'
আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, 'রকহ্যাম্পটনের পার্শ্ববর্তী ফিৎজরয় নদীতে পানিস্তর সোমবার ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী বুধবার পর্যন্ত ৯.৪ মিটার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আরো চার হাজার বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়বে।' কুইন্সল্যান্ড কর্তৃপক্ষ গতকাল বন্যায় দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। গত রবিবার আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ কয়লা ও গম উৎপাদন। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের চতুর্থ প্রধান গম রপ্তানিকারক দেশ। দেশের মোট গম উৎপাদনের অর্ধেকই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যায় কয়লা উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান রপ্তানি আয় আসে কয়লা খাত থেকে।
প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড গতকাল বলেন, 'এটি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এটি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। এর জন্য জাতীয় ও সমন্বিত পর্যায়ে সাড়া প্রয়োজন। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কম সুদে ঋণ দেওয়া হবে।' কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে আরো এক মাস লাগবে। সূত্র : বিবিসি ও রয়টার্স।
No comments