সরকার বাঁচাতে মিত্রের খোঁজে নেমেছেন গিলানি
সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে পাকিস্তানের জোট সরকার। যেকোনো সময় সরকার ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত রবিবার জোটের প্রধান শরিক মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে এই সংকটে পড়ে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকার।
সরকার টিকিয়ে রাখতে নতুন মিত্রের খোঁজে ইতিমধ্যেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
পাকিস্তানের কোনো বেসামরিক সরকারই এখন পর্যন্ত তাদের নির্ধারিত মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি। গ্যাস ও তেলের দাম ৯ শতাংশ বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত, মুদ্রাস্ফীতি, নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে গত রবিবার সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় এমকিউএম। এর আগে গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা থেকে দলের দুই মন্ত্রীকে প্রত্যাহার করে নেয় তারা। জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরদিন গতকাল সোমবারই এমকিউএম জাতীয় পরিষদের বিরোধী বেঞ্চে বসার আবেদন জানায়।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ৩৪২টি আসনের মধ্যে পিপিপির আসন আছে ১৬০টি। এমকিউএমের আছে ২৫টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৭২ আসনের।
প্রধানমন্ত্রী গিলানি অবশ্য পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের ডাক দিতে বাধ্য নন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় আইন পাসের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়বেন তিনি। আগামী জুনে বাজেট পাস করাতে ব্যর্থ হলে আগাম নির্বাচনের ঝুঁকিও আছে। এ ছাড়া বিরোধীরা চাইলে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব তুলতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনাস্থা ভোটে গিলানি সরকারের পরাজয় নিশ্চিত। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো দলই অনাস্থা ভোটের ডাক দেয়নি।
অনাস্থা ভোটের সংকট এড়াতে ইতিমধ্যেই জোটের নতুন সঙ্গী খোঁজার তোড়জোড় শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল। লাহোরে পাকিস্তান মুসলিম লিগ কায়েদ-ই-আজমের (পিএমএল-কিউ) নেতাদের সঙ্গে গতকাল আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পিএমএল-কিউও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকের ব্যাপারে গিলানি বলেন, 'পার্লামেন্ট ও গণতন্ত্র জোরদারের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না, যা গণতন্ত্রকে বিপথগামী করবে।'
পিএমএল-কিউ নেতা চৌধুরী সুজাত হোসাইন বলেছেন, বৈঠকে সব বিষয়ে কথা হয়েছে। এখন দলীয় নেতাদের সঙ্গে বসবেন তিনি। আলোচনা করে করণীয় ঠিক করবেন। তিনি বলেন, 'জনগণ যেসব সমস্যা মোকাবিলা করছে তার সমাধান হবে_এ শর্তে আমরা সরকারকে সহায়তা করব। আমরা সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাই না।' পার্লামেন্টে এমকিউএমের আসন সংখ্যা ৫০।
চলমান সংকট নিয়ে পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও গতকাল বৈঠক করেন গিলানি। পিএমএল-এনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জোটে যোগ দেবে না। তবে সরকার পতন হয়_এমন কিছুও করবে না।
গতকাল থেকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। এর আগে গত ডিসেম্বরে আরেকটি ধর্মীয় দল জমিয়াত ওলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে। প্রধানমন্ত্রী ওই দলের এক সদস্যকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দিলে এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এমকিউএমের সমর্থন প্রত্যাহারের পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে তারা।
তবে প্রধানমন্ত্রী সরকার পতনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টে আসিফ আলী জারদারির মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এখনো সরকারের স্থায়িত্বের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, 'সমস্যার সমাধান করা হবে ও এমকিউএমের উদ্বেগেরও নিরসন হবে।'
রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাফকাত মাহমুদের মতে, সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে চলমান সংকটের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় তার ওপর। তিনি বলেন, 'কেউ অনাস্থা প্রস্তাব না আনলে আইনত দ্রুত নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতিই চলতে থাকবে। বাজেট পেশ করার সময় সরকার গুরুতর সংকটে পড়তে পারে। আর বাজেট পাসে ব্যর্থ হলে সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।'
এমন একসময় এই সংকট শুরু হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ব্যাপারে আরো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি, এপি।
পাকিস্তানের কোনো বেসামরিক সরকারই এখন পর্যন্ত তাদের নির্ধারিত মেয়াদ পূরণ করতে পারেনি। গ্যাস ও তেলের দাম ৯ শতাংশ বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত, মুদ্রাস্ফীতি, নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে গত রবিবার সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় এমকিউএম। এর আগে গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভা থেকে দলের দুই মন্ত্রীকে প্রত্যাহার করে নেয় তারা। জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরদিন গতকাল সোমবারই এমকিউএম জাতীয় পরিষদের বিরোধী বেঞ্চে বসার আবেদন জানায়।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ৩৪২টি আসনের মধ্যে পিপিপির আসন আছে ১৬০টি। এমকিউএমের আছে ২৫টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৭২ আসনের।
প্রধানমন্ত্রী গিলানি অবশ্য পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের ডাক দিতে বাধ্য নন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় আইন পাসের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়বেন তিনি। আগামী জুনে বাজেট পাস করাতে ব্যর্থ হলে আগাম নির্বাচনের ঝুঁকিও আছে। এ ছাড়া বিরোধীরা চাইলে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব তুলতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনাস্থা ভোটে গিলানি সরকারের পরাজয় নিশ্চিত। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো দলই অনাস্থা ভোটের ডাক দেয়নি।
অনাস্থা ভোটের সংকট এড়াতে ইতিমধ্যেই জোটের নতুন সঙ্গী খোঁজার তোড়জোড় শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল। লাহোরে পাকিস্তান মুসলিম লিগ কায়েদ-ই-আজমের (পিএমএল-কিউ) নেতাদের সঙ্গে গতকাল আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পিএমএল-কিউও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকের ব্যাপারে গিলানি বলেন, 'পার্লামেন্ট ও গণতন্ত্র জোরদারের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না, যা গণতন্ত্রকে বিপথগামী করবে।'
পিএমএল-কিউ নেতা চৌধুরী সুজাত হোসাইন বলেছেন, বৈঠকে সব বিষয়ে কথা হয়েছে। এখন দলীয় নেতাদের সঙ্গে বসবেন তিনি। আলোচনা করে করণীয় ঠিক করবেন। তিনি বলেন, 'জনগণ যেসব সমস্যা মোকাবিলা করছে তার সমাধান হবে_এ শর্তে আমরা সরকারকে সহায়তা করব। আমরা সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাই না।' পার্লামেন্টে এমকিউএমের আসন সংখ্যা ৫০।
চলমান সংকট নিয়ে পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গেও গতকাল বৈঠক করেন গিলানি। পিএমএল-এনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জোটে যোগ দেবে না। তবে সরকার পতন হয়_এমন কিছুও করবে না।
গতকাল থেকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। এর আগে গত ডিসেম্বরে আরেকটি ধর্মীয় দল জমিয়াত ওলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে। প্রধানমন্ত্রী ওই দলের এক সদস্যকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দিলে এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এমকিউএমের সমর্থন প্রত্যাহারের পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে তারা।
তবে প্রধানমন্ত্রী সরকার পতনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টে আসিফ আলী জারদারির মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এখনো সরকারের স্থায়িত্বের ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, 'সমস্যার সমাধান করা হবে ও এমকিউএমের উদ্বেগেরও নিরসন হবে।'
রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাফকাত মাহমুদের মতে, সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে চলমান সংকটের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় তার ওপর। তিনি বলেন, 'কেউ অনাস্থা প্রস্তাব না আনলে আইনত দ্রুত নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই। সে ক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতিই চলতে থাকবে। বাজেট পেশ করার সময় সরকার গুরুতর সংকটে পড়তে পারে। আর বাজেট পাসে ব্যর্থ হলে সরকারকে বিদায় নিতেই হবে।'
এমন একসময় এই সংকট শুরু হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ব্যাপারে আরো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
সূত্র : এএফপি, বিবিসি, এপি।
No comments