দক্ষিণ আমেরিকান নেতাদের ক্যানসারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী!

ক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ নেতারা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজ। তাঁর মতে, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবিত কোনো প্রযুক্তি কাজ করতে পারে।
চাভেজ এও বলেছেন, এটা তাঁর কোনো অভিযোগ নয়। কেবলই তাঁর নিজস্ব চিন্তা, যা তিনি প্রকাশ করেছেন। গত বুধবার আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।


এ খবর প্রকাশের একদিন পরই ভেনেজুয়েলার একটি সামরিক ঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে চাভেজ এ মন্তব্য করেন।
চাভেজ বলেন, ‘ক্যানসার ছড়িয়ে দিতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যদি কোনো প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে থাকে, আর তা এখনো পর্যন্ত কেউ জেনে না থাকলে...যেমনটা আমিও জানি না, তাহলে তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। আমি শুধু আমার অভিব্যক্তি প্রকাশ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটা খুব, খুব, খুবই আশ্চর্যের...এটা ব্যাখ্যা করাটা একটু কঠিন। এর কারণ জানাটাও কঠিন। এমনকি সম্ভাব্যতার সূত্র ব্যবহার করেও সম্ভব নয়।’
চাভেজ, ফার্নান্দেজ, প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো লুগো, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ, ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডা সিলভা—সবারই ক্যানসার ধরা পড়েছে। তাঁরা সবাই বামপন্থী। এঁদের মধ্যে গত জুনে কিউবায় চাভেজের অস্ত্রোপচার হয়। সম্প্রতি অস্ত্রোপচার করা হয় সিলভার।
আর্জেন্টিনার ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ফার্নান্দেজের ক্যানসার প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়েছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর আরোগ্যের সম্ভাবনা ৯০ থেকে ৯৮ শতাংশ। তাঁর কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপির প্রয়োজন নেই।
দক্ষিণ আমেরিকার যেসব নেতা এখনো ক্যানসার আক্রান্ত হননি, তাঁদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চাভেজ। এঁদের মধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ইভোর প্রতি আমাদের ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। তুমি নিজেও খেয়াল রেখো, ইভো।’
৫৭ বছর বয়সী চাভেজ ও কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল কাস্ত্রো যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কড়া সমালোচক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে ‘ইয়াঙ্কি সাম্রাজ্যের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।
চাভেজ বলেন, ‘ফিদেল আমাকে সব সময় বলত, চাভেজ, নিজের যত্ন নাও। এসব লোক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। তুমি খুবই উদাসীন। তুমি যা-ই খাওনা কেন, আগে পরীক্ষা করে নিয়ো...।’
ওয়াশিংটন ও তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার সদ্য অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের যে সমালোচনা করেছে, তারও একহাত নিয়েছেন চাভেজ। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়েও তারা একই পরিকল্পনা করছে। ওই নির্বাচনে তিনি পুনর্নির্বাচিত হওয়ার আশা করছেন।
চাভেজ বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা) ফালতু কথা বলছে, পুনর্নির্বাচনের কথা বলছে...তারা রাশিয়াকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এটাই হচ্ছে ক্ষমতাশালীদের পাগলামি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধেও একই ষড়যন্ত্র করছে। আমি সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছি। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.