জ্বালানি তেলের দাম আবারও ৫ টাকা বাড়ল
আবারও সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল সরকার। এবার লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় আকস্মিকভাবে নির্বাহী আদেশে এই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। দাম বাড়ানোর ফলে এখন থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম হবে লিটারপ্রতি ৬১ টাকা, অকটেন ৯৪ টাকা, পেট্রল ৯১ টাকা এবং ফার্নেস অয়েলের দাম হবে ৬০ টাকা। গতকাল রাত ১২টা থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর সর্বশেষ তেলের
দাম বাড়ানো হয়েছিল। এরও আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর পাঁচ টাকা দাম বাড়ানো হয়। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে সরকার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করেছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় চাপ আরও বাড়বে। এতে মূল্যস্ফীতিও ঘটবে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সরকার গতকাল রাতে এক তথ্য বিবরণীতে বলেছে, বিগত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পাশাপাশি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চলতি অর্থবছরে অতিরিক্ত প্রায় ২০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে। এতে জ্বালানি তেল কিনতে সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা ও লোকসান অনেক বাড়ছে। তাই এই খাতে সরকারকে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হবে, যা সরকারের বর্তমান আয় থেকে সংকুলান করা কষ্টসাধ্য।
তথ্য বিবরীতে সরকার আরও বলেছে, বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হলে উন্নয়ন ব্যয় কমাতে হবে। আবার ব্যাংকিং খাতে সরকারের ঋণ গ্রহণ অতিরিক্ত বাড়লে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।
সরকারের তথ্য বিবরণী অনুযায়ী, দেশে ব্যবহূত জ্বালানি তেলের প্রায় ৬৫ শতাংশই ডিজেল। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের মূল্য ছিল ব্যারেলপ্রতি (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) ৫১ দশমিক ৫২ ডলার। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১০৩ দশমিক ২১ ডলার। আর গত ২৮ ডিসেম্বর হয় ১২০ দশমিক ২৪ ডলার।
সরকার আরও বলেছে, দেশে বর্তমানে সংগ্রহ ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে ব্যবধানের কারণে ডিজেল, কেরোসিন ও ফার্নেস অয়েল বিক্রিতে সরকারকে লিটারপ্রতি যথাক্রমে ২১ দশমিক ৩৪ টাকা, ১৯ দশমিক ৮৪ টাকা ও ৯ দশমিক ৯৫ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির পরও সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। এ ছাড়া কলকাতায় এখন ডিজেলের মূল্য প্রায় ৭০ টাকা লিটার এবং পেট্রল প্রায় ১১২ টাকা।
তথ্য বিবরণীতে সবশেষে সরকার বলেছে, গত ২০১০-১১ অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানিতে বিপিসির লোকসান হয়েছে আট হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্য অব্যাহত থাকলে গতকালের দাম বাড়ানোর পরও চলতি অর্থবছরে জ্বালানি তেলের খাতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রয়োজন হবে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় চাপ আরও বাড়বে। এতে মূল্যস্ফীতিও ঘটবে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
সরকার গতকাল রাতে এক তথ্য বিবরণীতে বলেছে, বিগত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পাশাপাশি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চলতি অর্থবছরে অতিরিক্ত প্রায় ২০ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে। এতে জ্বালানি তেল কিনতে সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা ও লোকসান অনেক বাড়ছে। তাই এই খাতে সরকারকে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হবে, যা সরকারের বর্তমান আয় থেকে সংকুলান করা কষ্টসাধ্য।
তথ্য বিবরীতে সরকার আরও বলেছে, বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি অব্যাহত রাখতে হলে উন্নয়ন ব্যয় কমাতে হবে। আবার ব্যাংকিং খাতে সরকারের ঋণ গ্রহণ অতিরিক্ত বাড়লে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।
সরকারের তথ্য বিবরণী অনুযায়ী, দেশে ব্যবহূত জ্বালানি তেলের প্রায় ৬৫ শতাংশই ডিজেল। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের মূল্য ছিল ব্যারেলপ্রতি (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) ৫১ দশমিক ৫২ ডলার। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১০৩ দশমিক ২১ ডলার। আর গত ২৮ ডিসেম্বর হয় ১২০ দশমিক ২৪ ডলার।
সরকার আরও বলেছে, দেশে বর্তমানে সংগ্রহ ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে ব্যবধানের কারণে ডিজেল, কেরোসিন ও ফার্নেস অয়েল বিক্রিতে সরকারকে লিটারপ্রতি যথাক্রমে ২১ দশমিক ৩৪ টাকা, ১৯ দশমিক ৮৪ টাকা ও ৯ দশমিক ৯৫ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির পরও সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। এ ছাড়া কলকাতায় এখন ডিজেলের মূল্য প্রায় ৭০ টাকা লিটার এবং পেট্রল প্রায় ১১২ টাকা।
তথ্য বিবরণীতে সবশেষে সরকার বলেছে, গত ২০১০-১১ অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানিতে বিপিসির লোকসান হয়েছে আট হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্য অব্যাহত থাকলে গতকালের দাম বাড়ানোর পরও চলতি অর্থবছরে জ্বালানি তেলের খাতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রয়োজন হবে।
No comments